আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুখ গহ্বরের ক্যান্সারে হার মানলেন গুরু

পপ জগতের স¤্রাট বীর সেনানি গুরু আজম খান হার মানলেন ক্যান্সারের কাছে, বড় অসময়ে। মাত্র ৬১ বছর বয়সে ভয়াল ওরাল বা মুখ গহবর ও ঠোঁটের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পুরো দেশকে শোকে ভাসিয়ে চলে গেলেন তিনি। দেশে এ রোগ নির্ণয় হওয়ার পর গত বছরের ১৪ জুলাই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে উন্নত চিকি?সার জন্য যান। মুখ গহ্বরে সফল অপারেশনের পর তার অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। আগে কথা বলতে, খেতে কষ্ট হলেও সমস্যা থেকে মুক্তি পান।

এমনকি তিনি ইত্যাদির জন্য গানও গান। অপারেশনের পর কেমোথেরাপি ও ক্যান্সারের আধুনিক চিকি?সা পদ্ধতি টমোথেরাপির পরামর্শ দেন চিকি?সক। তিনি দ্বিতীয়বারের মত সিঙ্গাপুরে গিয়ে বেশ কয়েক সাইকেল কেমোথেরাপি ও টমোথেরাপি নেন। কিন্তু তিনি চিকি?সা অসস্পূর্ণ রেখে দেশে চলে এসে হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবন করতে থাকেন। এটি তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।

মাত্র কয়েকমাসের মাথায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন এ কিংবদন্তী। আমেরিকায় প্রতিবছর ৩৪ হাজার জন ওরাল বা মুখ গহবর ও ঠোঁটের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৮ হাজার জন মারা যান। আমাদের দেশে ছেলেদের যত ক্যান্সার হয় তার মধ্যে দ্বিতীয় ও মেয়েদের তৃতীয় স্থানে আছে এটি। ধীরে ধীরে এ ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বাড়ছে। শুরুতে এ ক্যান্সার নির্ণয় করতে পারলে চিকি?সার মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব।

কিন্তু অজ্ঞতা, রোগকে না পাত্তা দেয়ার কারণে যখন এ ক্যান্সার ধরা পড়ে তখন কিছুই করার থাকে না। গবেষনায় দেখা গেছে এ ক্যান্সারে আক্রান্তের ৭৫ ভাগই এমন অবস্থায় চিকি?সকের কাছে আসেন যখন ক্যান্সার সারা দেহে ছড়িয়ে পড়েছে। ধুমপান, মদপান, জর্দা, পান-সুপারি, খয়ের, সাদাপাতা, হুকা, সিসা এ ঘাতক ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া প্রতি চারজনের তিনজনের মুল কারণ ধুমপান। যারা যত বেশি দিন ও পরিমানে ধুমপান করে তাদের এ ক্যান্সার হওয়ার হার তত বাড়ে।

মদপান করলে ঝুঁকি আরোও বেড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে রোদে থাকলে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি এ ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। সম্প্রতি গবেষনায় দেখা গেছে মেয়ের জরায়ু মুখ ক্যান্সারের জন্য দায়ী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসও এ ক্যান্সারের সাথে জড়িত। শুরুতে এ ক্যান্সার আক্রান্তের মুখ গহ্বরে যেমন জিহ্বা, মাঢ়ি, তালু বা ঠোঁটে সাদা বা লালচে প্রলেপ বা প্যাচ্ পড়ে। এটি ঘষলে ওঠে না।

মুখ গহবরে ক্ষত বা আলসার দেখা দেয়। মুখে অনেকের প্রায়ই সাদা প্রলেপসহ ক্ষত হতে দেখা যায়। এ সময় খেতে কষ্ট হয়। ক্ষত সাত দিনের মধ্যে আপনা-আপনি ভাল হয়ে যায়। একে আবার ক্যান্সার ভেবে ভুল করবেন না।

মুখের কোন ক্ষত যদি দিনের পর দিন না সারে তবেই তা ক্যান্সার হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে মুখ গহ্বরে গোটা মাংসপিন্ড হতে পারে। পরবর্তী সময়ে ক্ষত বা গোটা বড় হতে থাকে। মাঢ়ি ফুলে গেলে যারা আলগা দাঁত লাগান তাদের আলগা দাঁত ঠিকমত লাগে না। জিহ্বা ও চোয়াল নাড়াতে কষ্ট হয়।

খাবার গিলতে ও চাবাতে কষ্ট হয়। ওজন কমে যেতে থাকে। ক্ষতস্থান থেকে টিস্যু নিয়ে পরীক্ষা করে ক্যান্সার কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়। এছাড়াও রোগের প্রোগনোসিস বা অগ্রগতি সম্বন্ধে জানার জন্য এন্ডোসকপি, এক্সরে, এমআরআই, সিটিস্ক্যানের প্রয়োজন হতে পারে। এ রোগের চিকি?সা পদ্ধতি কি হবে তা নির্ভর করে ক্যান্সার কোন স্টেজে আছে।

সাধারনত সার্জারির মাধ্যমে ক্যান্সার আক্রান্ত অংশ ফেলে দিয়ে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেয়া হয়। শুরুতে এ ক্যান্সার নির্ণয় করে সঠিকভাবে চিকি?সা করতে পারলে ক্যান্সারকে জয় করা সম্ভব। ৮০-৯০ ভাগ পুরোপুরি সুস্থ হন। কিন্তু দেরি হয়ে গেলে এ সম্ভবনা ক্ষীণ হতে থাকে। তারপরও গবেষণায় দেখা গেছে দেরিতে রোগ নির্ণয় হওয়ার পরও যারা চিকি?সকের পরামর্শমত কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি নিয়েছেন তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার শতকরা ৬০ ভাগ।

এটাও কিন্তু কোন অংশে কম নয়। আমাদের পপগুরু সঠিকভাবে কেমোথেরাপি ও টমোথেরাপি সম্পন্ন করলে আমাদের মাঝে আরোও বেশি দিন পেতাম হয়তবা। এ রোগ প্রতিরোধে ধুমপান বাদ দেয়ার কোন বিকল্প নেই। গবেষণায় দেখা গেছে এ রোগ নির্ণয় করার পরও যদি ধুমপান ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে রেডিওথেরাপি ভাল কাজ করে। মদপান না বলুন।

রোদে বেশিক্ষণ থাকবেন না। বেশি রোদে গেলে ছাতা বা হ্যাট বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। এ ক্যান্সার স্ক্রিনিং এর জন্য ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সীরা প্রতি তিন বছর পর একবার ও ৪০ বছর বয়সীরা প্রতি বছর একবার চিকি?সকের শরনাপন্ন হোন। পপ জগতের স¤্রাট বীর সেনানি গুরু আজম খান হার মানলেন ক্যান্সারের কাছে, বড় অসময়ে। মাত্র ৬১ বছর বয়সে ভয়াল ওরাল বা মুখ গহবর ও ঠোঁটের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পুরো দেশকে শোকে ভাসিয়ে চলে গেলেন তিনি।

দেশে এ রোগ নির্ণয় হওয়ার পর গত বছরের ১৪ জুলাই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে উন্নত চিকি?সার জন্য যান। মুখ গহ্বরে সফল অপারেশনের পর তার অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। আগে কথা বলতে, খেতে কষ্ট হলেও সমস্যা থেকে মুক্তি পান। এমনকি তিনি ইত্যাদির জন্য গানও গান। অপারেশনের পর কেমোথেরাপি ও ক্যান্সারের আধুনিক চিকি?সা পদ্ধতি টমোথেরাপির পরামর্শ দেন চিকি?সক।

তিনি দ্বিতীয়বারের মত সিঙ্গাপুরে গিয়ে বেশ কয়েক সাইকেল কেমোথেরাপি ও টমোথেরাপি নেন। কিন্তু তিনি চিকি?সা অসস্পূর্ণ রেখে দেশে চলে এসে হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবন করতে থাকেন। এটি তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। মাত্র কয়েকমাসের মাথায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন এ কিংবদন্তী। আমেরিকায় প্রতিবছর ৩৪ হাজার জন ওরাল বা মুখ গহবর ও ঠোঁটের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৮ হাজার জন মারা যান।

আমাদের দেশে ছেলেদের যত ক্যান্সার হয় তার মধ্যে দ্বিতীয় ও মেয়েদের তৃতীয় স্থানে আছে এটি। ধীরে ধীরে এ ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বাড়ছে। শুরুতে এ ক্যান্সার নির্ণয় করতে পারলে চিকি?সার মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব। কিন্তু অজ্ঞতা, রোগকে না পাত্তা দেয়ার কারণে যখন এ ক্যান্সার ধরা পড়ে তখন কিছুই করার থাকে না। গবেষনায় দেখা গেছে এ ক্যান্সারে আক্রান্তের ৭৫ ভাগই এমন অবস্থায় চিকি?সকের কাছে আসেন যখন ক্যান্সার সারা দেহে ছড়িয়ে পড়েছে।

ধুমপান, মদপান, জর্দা, পান-সুপারি, খয়ের, সাদাপাতা, হুকা, সিসা এ ঘাতক ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া প্রতি চারজনের তিনজনের মুল কারণ ধুমপান। যারা যত বেশি দিন ও পরিমানে ধুমপান করে তাদের এ ক্যান্সার হওয়ার হার তত বাড়ে। মদপান করলে ঝুঁকি আরোও বেড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে রোদে থাকলে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি এ ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

সম্প্রতি গবেষনায় দেখা গেছে মেয়ের জরায়ু মুখ ক্যান্সারের জন্য দায়ী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসও এ ক্যান্সারের সাথে জড়িত। শুরুতে এ ক্যান্সার আক্রান্তের মুখ গহ্বরে যেমন জিহ্বা, মাঢ়ি, তালু বা ঠোঁটে সাদা বা লালচে প্রলেপ বা প্যাচ্ পড়ে। এটি ঘষলে ওঠে না। মুখ গহবরে ক্ষত বা আলসার দেখা দেয়। মুখে অনেকের প্রায়ই সাদা প্রলেপসহ ক্ষত হতে দেখা যায়।

এ সময় খেতে কষ্ট হয়। ক্ষত সাত দিনের মধ্যে আপনা-আপনি ভাল হয়ে যায়। একে আবার ক্যান্সার ভেবে ভুল করবেন না। মুখের কোন ক্ষত যদি দিনের পর দিন না সারে তবেই তা ক্যান্সার হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে মুখ গহ্বরে গোটা মাংসপিন্ড হতে পারে।

পরবর্তী সময়ে ক্ষত বা গোটা বড় হতে থাকে। মাঢ়ি ফুলে গেলে যারা আলগা দাঁত লাগান তাদের আলগা দাঁত ঠিকমত লাগে না। জিহ্বা ও চোয়াল নাড়াতে কষ্ট হয়। খাবার গিলতে ও চাবাতে কষ্ট হয়। ওজন কমে যেতে থাকে।

ক্ষতস্থান থেকে টিস্যু নিয়ে পরীক্ষা করে ক্যান্সার কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়। এছাড়াও রোগের প্রোগনোসিস বা অগ্রগতি সম্বন্ধে জানার জন্য এন্ডোসকপি, এক্সরে, এমআরআই, সিটিস্ক্যানের প্রয়োজন হতে পারে। এ রোগের চিকি?সা পদ্ধতি কি হবে তা নির্ভর করে ক্যান্সার কোন স্টেজে আছে। সাধারনত সার্জারির মাধ্যমে ক্যান্সার আক্রান্ত অংশ ফেলে দিয়ে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেয়া হয়। শুরুতে এ ক্যান্সার নির্ণয় করে সঠিকভাবে চিকি?সা করতে পারলে ক্যান্সারকে জয় করা সম্ভব।

৮০-৯০ ভাগ পুরোপুরি সুস্থ হন। কিন্তু দেরি হয়ে গেলে এ সম্ভবনা ক্ষীণ হতে থাকে। তারপরও গবেষণায় দেখা গেছে দেরিতে রোগ নির্ণয় হওয়ার পরও যারা চিকি?সকের পরামর্শমত কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি নিয়েছেন তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার শতকরা ৬০ ভাগ। এটাও কিন্তু কোন অংশে কম নয়। আমাদের পপগুরু সঠিকভাবে কেমোথেরাপি ও টমোথেরাপি সম্পন্ন করলে আমাদের মাঝে আরোও বেশি দিন পেতাম হয়তবা।

এ রোগ প্রতিরোধে ধুমপান বাদ দেয়ার কোন বিকল্প নেই। গবেষণায় দেখা গেছে এ রোগ নির্ণয় করার পরও যদি ধুমপান ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে রেডিওথেরাপি ভাল কাজ করে। মদপান না বলুন। রোদে বেশিক্ষণ থাকবেন না। বেশি রোদে গেলে ছাতা বা হ্যাট বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন।

এ ক্যান্সার স্ক্রিনিং এর জন্য ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সীরা প্রতি তিন বছর পর একবার ও ৪০ বছর বয়সীরা প্রতি বছর একবার চিকি?সকের শরনাপন্ন হোন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।