আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই হলো সেই শামীম ওসমান......!

কবরীর দিকে তেড়ে গেলেন মারমুখী শামীম ওসমান সরকারি দলের সাংসদ সারাহ্ বেগম কবরীর দিকে মারমুখী ভঙ্গিতে তেড়ে গেলেন একই দলের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সামনেই ঘটল ঘটনাটি। জেলা প্রশাসক (ডিসি) বসে বসে শুধু দেখলেন। গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে একটি সভা চলাকালে প্রথমে বাগিবতণ্ডা, তারপর তুমুল হট্টগোল বেধে যায়। সাংসদ কবরী সাংবাদিকদের বলেন, ডিসি-এসপিসহ সভায় উপস্থিত সবার সামনেই শামীম ওসমান তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন।

একপর্যায়ে আসন ছেড়ে ছুটে এসে তাঁকে ধাক্কা দেন। এর আগে গত বছর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় শামীম ওসমানের বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ নাসিম ওসমান বর্তমান ডিসির সামনেই কবরীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তবে শামীম ওসমান কবরীকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে সভায় উপস্থিত অনেকেই এই সভায় শামীম ওসমানের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কী কারণে, কিসের ভিত্তিতে, কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তা কেউ স্পষ্ট করে বলছেন না।

সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রশ্ন করেন, শামীম ওসমান সাংসদ নন, আইনশৃঙ্খলা কমিটিতেও নেই, আওয়ামী লীগের বড় কোনো পদেও নেই, তাহলে তাঁকে কেন সভায় ডাকা হলো? তবে জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে শামীম ওসমানকে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে ২৪ টাকা ভাড়া নির্ধারণের দাবি করে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বাসভাড়া কমানোর পক্ষে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। এ সময় শামীম ওসমান তাঁর বক্তব্যের মাঝখানে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এর প্রতিবাদ জানান। এ পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের বক্তব্যকে সমর্থন জানান কবরী।

এ সময় শামীম ওসমান কবরীকে অশ্লীল গালি দিয়ে বলেন, ‘...তুই চুপ কর। ’ কবরী উত্তরে বলেন, ‘তুই চুপ কর। ’ বিতণ্ডার একপর্যায়ে শামীম ওসমান আসন ছেড়ে উঠে সাংসদ কবরীর দিকে তেড়ে যান এবং কবরী ও আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তুমুল বিতণ্ডায় লিপ্ত হন। কয়েকজন পরিবহনমালিক নেতা এ সময় শামীম ওসমানের পক্ষে এগিয়ে এসে বাগিবতণ্ডায় লিপ্ত হন। শামীম ওসমান ও দুজন পরিবহনমালিক নেতা তখন আনোয়ার হোসেনের গায়ে ধাক্কা দেন।

সাংসদ নজরুল ইসলাম ও এসপি শেখ নাজমুল আলম দুই পক্ষকে শান্ত করার পর বৈঠক পুনরায় শুরু হয়। এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে বিপুল পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। সভায় শামীম ওসমান বলেন, কবরী ও আনোয়ার হোসেন সরকারি দলের লোক হয়েও বাসভাড়া কমানোর দাবিতে আহূত হরতালে প্ররোচনা দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। কবরীও শামীম ওসমানকে পরিবহন সিন্ডিকেটের হোতা হিসেবে উল্লেখ করেন। View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।