আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ রাত চন্দ্রগ্রহন চলছে

আমি নাই। বাংলাদেশের সময় আজ রাত ১১টা ২৪ মিনিট ৬ সেকেন্ডে শুরু হয়েছে চন্দ্রগ্রহণ। দেখা যাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৭ সেকেন্ড পর্যন্ত। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া গিয়ে পড়ে চাঁদের উপর। পৃথিবীর বায়ূমন্ডল ভেদ করে সুর্র্য্যরে যে কিরণ মহশূন্যের দিকে যায়, সেই কিরণের কারণে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ লাল, বাদামি বা কালো রং ধারণ করে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার চন্দ্রগ্রহণের সময় চাদের রং হতে পারে রক্তলাল। এদিকে, বাংলাদেশ আ্যাস্ট্রোনমিক্যাল আ্যাসোসিয়েনের ক্যাম্প বসেছে ধানমন্ডি কাব খেলার মাঠে। আগ্রহীদের যে কেউ রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত এখানে চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেণ করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে পর্যবেণ ক্যাম্পের আয়োজন করবে বিজ্ঞানবিষয়ক সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্র। এ ক্যাম্প আজ বিকেল ৫টায় শুরু হয়েছে।

সূত্রঃ কালেরকন্ঠ। উল্লেখ্য, আরবীতে খুসুফ অর্থ চন্দ্রগ্রহণ এবং বিপরীত কুসুফ অর্থ সুর্য্যগ্রহণ। অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় যে, আজকে আমরা মুসলমান জাতি এই সূর্য্য এবং চন্দ্র গ্রহণে আনন্দে-উল্লাসে মেতে উঠি। এবং চিত্তবিনোদনের আশায় আমরা চন্দ্রও সুর্য্যগ্রহণ পর্যবেনের জন্য বিভিন্ন ক্যাম্পের ব্যবস্থা করে বসে আছি। অথচ, এই সময়ে বেশী বেশী করে নামাজ, সাদাকা এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা এই দুঃসময়ে।

আমরা মুসলমান জাতি তা জানি কি না, সেটাও জানি না। অথচ, এই সংকটময় সময়ে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থণা করা দরকার। কারণ, হাদিছের ভাষ্য অনুযায়ী এই গ্রহনের কারণে দুনিয়া ধ্বংসও হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আমরা কোরআন হাদিছ খুজলে পাই যে, বুখারী শরীফে হযরত আবু বকরা রা. বলেন, আমরা নবীজী সা.-এর কাছে বসা ছিলাম এবং সময় সূর্য্যগ্রহণ হয়। অতপর রাসুল সা. নিজ চাদর নিয়ে দাড়ালেন এবং মসজিদের পানে রওয়ানা হয়ে প্রবেশ করলেন।

আমরাও প্রবেশ করলাম। এই সময়ে রাসূল সা.-এর সাথে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। তখন সূর্য্যগ্রহন শেষ হয়ে যায়............ ...........................................হাদীছের শেষ পর্যন্ত। বুখারী শরীফের অন্য হাদিছে হযরত আয়েশা রা. বলেন, সূর্য্যগ্রহনের সময় রাসূল সা.-এর যুগে তিনি নামাজ পড়তেন। .............................................. হাদীছের শেষ পর্যন্ত।

উক্ত হাদিছ অনেক লম্বা। তাই সারমর্মটা উল্লেখ্য, রাসুল সা. এই সময় নামাজ এত লম্বা করতেন যে, প্রথম রাকাতের তুলনায় দ্বিতীয় রাকাত অনকে বেশী লম্বা হত, আর প্রথম রুকুর তুলনায় দ্বিতীয় রাকাত অনেক লম্বা করতেন এবং প্রথম সেজদার তুলনায় শেষ সেজদা অনেক লম্বা করতেন। এতেই বুঝা যায়, রাসূল সা. এই দুঃসময়ে নামাজ আদায় করতেন। শুধু নামাজই আদায় করতেন না, এর পাশাপাশি অনেক লম্বাও করতেন। এই হাদিছের শেষে তাও উল্লেখ আছে যে, রাসূল সা. বলেন, এই সময়ে তোমরা সাদাকা কর অর্থাৎ দান-খংরাত কর।

তাছাড়া বুখারী শরীফের অন্য হাদিছে আছে, যা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. তিনি বলেন, যখন নবীজীর সা. যুগে সূর্য্যগ্রহন হলে জামাতের সাথে নামাজ পড়ার জন্য মানুষদের আহ্বান করা হতে। তা না আমরা আজকাল এই দৃশ্যের মজা দেখার জন্য অপো করি। এ বিষয় অনেক লম্বা। সময় স্বল্পতার কারণে সম্পূর্ণটা বর্ণনা করতে পারলাম না। তবে নছিহত কবুলকারীদের একটু নছিহতই যথেষ্ট।

আসুন! আমরা এই সময়ে আল্লাহকে ভুলে না গিয়ে এই দুঃসময়ে নামাজে দাড়াই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।