আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৬টি দৈনিকের জরিপ হরতালের পক্ষে ৮০ শতাংশ ভোট

ইতিহাসের পেছনে ছুটি তার ভেতরটা দেখবার আশায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও ৩২ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়ে শেয়ারবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটসহ বিভিন্ন দাবিতে বিরোধী দল আয়োজিত হরতালের যৌক্তিকতা নিয়ে পাঠক জরিপ করে ৬টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা। পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত পাঠক জরিপের গড় ফলাফলে শতকরা প্রায় ৮০ জনই বিরোধী দলের এ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন দেখিয়েছেন। গতকালের দৈনিক যুগান্তরে জরিপের প্রশ্ন ছিল ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলসহ বিভিন্ন ইস্যুতে টানা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিরোধী দল। আপনি কি এটা সমর্থন করেন?’ এ প্রশ্নের জবাবে জরিপে অংশ নেয়া মোট ভোটারের মধ্যে হ্যাঁ বলেছেন ৮৭. ৪৬ শতাংশ এবং না বলেছেন ১২.০৫ শতাংশ। গতকালের কালের কণ্ঠের প্রশ্ন ছিল ‘সংবিধান সংশোধন কমিটির প্রস্তাবের প্রতিবাদে বিএনপি- জামায়াতের হরতাল কর্মসূচি সমর্থন করেন কি?’ এ প্রশ্নের জবাবে জরিপে অংশ নেয়া ভোটারদের ৭১.৩৯ শতাংশ হ্যাঁ এবং ২৮.৬১ শতাংশ না বলেছেন।

দৈনিক সমকালের গত ৬ জুন প্রকাশিত সংখ্যার প্রশ্ন ছিল ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আহূত হরতাল সমর্থন করেন কি?’ এ প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ৮১.৮২ শতাংশ, না বলেছেন ১৭.৯০ শতাংশ পাঠক। গতকালের দৈনিক যায়যায়দিনের প্রশ্ন ছিল ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে নির্বাচন সম্ভব- মার্কিন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির এ বক্তব্যকে আপনি সমর্থন করেন কিনা?’ এ প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ২২ শতাংশ এবং না বলেছেন ৭২ শতাংশ ভোটার। গতকালের বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রশ্ন ছিল ‘হরতাল প্রত্যাহারে এফবিসিসিআইর আহ্বান সমর্থন করেন কি?’ এই প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ৩৮.৯৩ শতাংশ এবং না বলেছেন ৬১.০৭ শতাংশ। দৈনিক প্রথম আলোর গত ৭ জুন সংখ্যা জরিপের প্রশ্ন ছিল ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই- খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সঙ্গে কি আপনি একমত?’ এ প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ৬৩.৪১ শতাংশ এবং না বলেছেন ৩৫.৩৭ শতাংশ ভোটার। একই পত্রিকার ৬ জুনের জরিপের প্রশ্ন ছিল ‘সংসদে আসুন, নইলে রায় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত- তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে বিরোধী দলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য যৌক্তিক বলে মনে করেন কি?’ এ প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ২৭.৮২ শতাংশ এবং না বলেছেন ৭০.৭৪ শতাংশ ভোটার।

দৈনিক প্রথম আলোর গত ৫ জুন সংখ্যার প্রশ্ন ছিল ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের পক্ষে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর অবস্থান যৌক্তিক বলে মনে করেন কি?’ এ প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ২১.৯২ শতাংশ এবং না বলেছেন ৭৬.৭৩ শতাংশ। গত ৯ জুন একই পত্রিকার প্রশ্ন ছিল ‘শেয়ারবাজারের পরিবেশ স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল- অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সঙ্গে কি আপনি একমত? এ প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ৯.০৭ শতাংশ এবং না বলেছেন ৮৯.৫৫ শতাংশ ভোটার। গত ২ জুন প্রকাশিত দৈনিক প্রথম আলোর প্রশ্ন ছিল ‘আদালতের রায় অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার সুযোগ নেই- সরকারের এ বক্তব্যের সঙ্গে কি আপনি একমত?’ এ প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ১৭.৫২ শতাংশ এবং না বলেছেন শতকরা ৮০.৭০ শতাংশ। গত ১০ জুন প্রকাশিত দৈনিক যুগান্তরের জরিপের প্রশ্ন ছিল ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবারও ক্ষমতায় বসলে সরাতে পারবেন না। আপনিও কি তাই মনে করেন?’ এ প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ১২.৪৮ শতাংশ এবং না বলেছেন ৮৫.৮৫ শতাংশ ভোটার।

একই পত্রিকার ৯ জুনের সংখ্যায় জরিপের প্রশ্ন ছিল ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির জন্য আলোচনার দরজা খোলা আছে। এতে বিএনপির সাড়া দেয়া উচিত বলে মনে করেন কি?’ এ প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ১৩.৮৩ শতাংশ এবং না বলেছেন ৮৩.৯৬ শতাংশ ভোটার। দৈনিক ইত্তেফাকের গত ৬ জুন প্রকাশিত সংখ্যার জরিপের প্রশ্ন ছিল ‘তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার আগেই বিরোধী দলের হরতাল আহ্বান যৌক্তিক হয়েছে বলে মনে করেন কি?’ এ প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ৬৪ শতাংশ এবং না বলেছেন ৩৫ শতাংশ ভোটার। গত ১০ জুন প্রকাশিত দৈনিক কালের কণ্ঠের জরিপের প্রশ্ন ছিল ‘সরকার গত বছর বিরোধী দলের পক্ষ থেকে দেয়া বাজেট প্রস্তাব না মানায় দেশের অর্থনীতি আজ ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়া। আপনি কি এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত?’ এ প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ৭০.৯৫ শতাংশ এবং না বলেছেন ২৯.০৫ শতাংশ।

একই পত্রিকায় গত ৯ জুন প্রকাশিত সংখ্যার প্রশ্ন ছিল ‘আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন- বিরোধী দল না এলেও সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিরোধী দল ছাড়া এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়াকে আপনি সমর্থন করেন কি?’ এ প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন ১৪.৬৫ শতাংশ এবং না বলেছেন ৮৫.৩৫ শতাংশ ভোটার।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।