আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনোবিজ্ঞানীরাই কম বেতন পেয়ে মন খারাপে ভুগছেন!

মনের কথা ব্লগে বলে ফেলুন,নয়তো মনে কথার বদহজম হবে মনস্তত্ব বিজ্ঞান৷ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা সাঙ্গ করে চাকরি খুঁজতে গিয়ে বেশ বিপত্তি৷ সবচেয়ে কম বেতনে কাজ করতে হচ্ছে মনস্তত্ববিদদের৷ ছবি অ্যামেরিকার৷ বলছে গবেষণা৷ ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বিষয়টি নিয়ে গবেষণায় নেমে পড়েছিলেন গত কয়েকমাস ধরে৷ সেই দলের নেতার নাম ডোনাল্ড রাঝেচকি৷ প্রকাশ পেল তাঁর দলের গবেষণাপত্র৷ দেখা গেল, মনস্তত্ব নিয়ে যেসব স্নাতক দীর্ঘ সময় আর অর্থব্যয় করে ডিগ্রি লাভ করছেন, চাকরির বাজারে গিয়ে সেই স্নাতকদের বেশ হতাশ হতে হচ্ছে৷ যেসব চাকরি তাঁরা পাচ্ছেন, তাতে বেতন বড়োই কম৷ মানে, অন্যান্য পেশায় যাওয়া স্নাতকদের অনুপাতে৷ মনস্তত্ব বিজ্ঞানের ছাত্রদের বা স্নাতকদের এই করুণ পরিণতির কারণটা কী? গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সচরাচর যে সমস্ত চাকরি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকে, সেগুলি বেশ ধরাবাঁধা৷ মানসিক রোগীদের ডে-কেয়ার সেন্টারের ম্যানেজারের চাকরি, ডে-কেয়ার শিক্ষকের পদ, সরকারি মানসিক সমস্যার পরামর্শদাতা হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করা৷ এছাড়া সমাজসেবা মূলক প্রকল্পের কাজ আর এর বাইরে আরেকটি চাকরির সুযোগ এই স্নাতকরা পেয়ে থাকেন, তাহল মানসিক যন্ত্রণা বা পীড়নের শিকারদের পরামর্শদাতার কাজ৷ তো, ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদলের প্রধান ডোনাল্ড রাঝেচকি তাঁর গবেষণাপত্রে দেখিয়েছেন, এইসব চাকরির কোনটাতেই বছরে ৩৫ হাজার ডলারের বেশি বেতন হয়না৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের জন্য নির্দিষ্ট বেতনের অনুপাতে যা কিনা অনেকটাই কম৷ তবে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হওয়ার পরে মনস্তত্ব বিজ্ঞানীদের পরিস্থিতিটা এতদিনে সামনে এসেছে৷ এই বিভাগের বিশেষ দপ্তরে যা কিনা এই বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যতের দিকটি বিবেচনা করবে৷ বলা বাহুল্য, কম বেতনে কাজ করতে হলে যে মানসিক গ্লানি তৈরি হয়, মনের বিজ্ঞানীরা নিজেরাই যদি তার শিকার হয়ে পড়েন, তবে তো চিত্তির! সুতরাং, এই বিজ্ঞানীদের জন্য কিছু করা দরকার এবং তাড়াতাড়ি বলেই রিপোর্টের অভিমত৷ এখন ফলাফলের প্রতীক্ষা৷ dw-world.de

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।