আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পূঁজি বাজার নিয়ে বর্তমান বাজেটে যত প্রস্তাবনা...........আর কালোটাকার বিধান

বাজেটের পূর্বে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতিকম কোনো সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না। এর প্রতিফলন পাওয়া গেছে নতুন অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতাতেও। অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার মুনাফা থেকে করযোগ্য সীমার চেয়ে বেশি আয় করলেও কর অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখার প্রস্তাব করেছেন তিনি। বিনিয়োগকারীদের টিআইএন প্রদর্শনেরও কোনো বাধ্যবধকতা থাকছে না বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। পুঁজিবাজারে আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে লভ্যাংশ ঘোষণার ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে কর রেয়াত দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।

এতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি ২০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দেবে, তারা ১০ শতাংশ হারে কর রেয়াত পাবে। আর যারা ১০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ ঘোষণা করবে, তাদের ৩৭.৫ শতাংশ হারে করপোরেট কর দিতে হবে। তবে সব ব্যাংক বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪২.৫ শতাংশ করপোরেট কর অপরিবর্তিত থাকবে। কর রেয়াতের সুবিধা এসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করের হার ২৭.৫ শতাংশ।

আর তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানিকে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যেসব মোবাইল ফোন সেবাদানকারী কোম্পানি তাদের পরিশোধিত মূলধনের ন্যূূনতম ১০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়বে এবং যাদের আইপিওপূর্ব প্লেসমেন্টের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ হবে, তাদের ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ হারে করপোরেট কর প্রযোজ্য হবে। অন্যান্য মোবাইল ফোন অপারেটরকে এখনকার মতো ৪৫ শতাংশ হারেই কর দিতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি বন্ডে ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছেন তিনি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।