আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মে মাসে দেখা মুভিস

মে মাসটা মন্দ যায় নি। সব মিলিয়ে এগারোটি সিনেমা দেখা হলো। এ মাস কোলকাতার বাংলা সিনেমার মাস। ছয় ছয়টি সিনেমা দেখে ফেল্লাম অটোগ্রাফ, ভারত, ২০১১ সত্যাজিতের নায়ক অবলম্বনে শুভব্রত মিত্রের প্রথম পরিচালনা। উঠতি এক যুবক সিনেমা নির্মান করে ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার তরুণ চ্যাটার্জীকে নিয়ে।

নায়িকা পরিচালকেরই লিভিং পার্টনার শ্রনন্দিতা। সিনেমা নির্মান শেষ কিন্তু প্রচার হবে কিসে? তরুণ চ্যাটার্জীর গোপন স্ক্যান্ডালটি হয়ে উঠতে পারে সাফল্যের হাতিয়ার। চমৎকার সব গান। ভালো লাগবে। তরুন চ্যাটার্জি চরিত্রে প্রসেনজিত।

লিখেছিলাম এ নিয়ে, রাজনৈতিকে প্রকাশিত: http://goo.gl/HJnpv রেটিং: ৪.৫/৫ Chalo Lets Go, ভারত, ২০০৮ অঞ্জন দত্তের পরিচালনা। তিন বন্ধু একটা ট্রাভেল এজেন্সি খুলে বসে। সেখানে বারোয়ারি যাত্রী। এক এক জনের এক এক রকম চরিত্র। যাত্রাপথে নানা রকম কাহিনী।

মজার সিনেমা। রেটিং: ৪/৫ Gran Torino, ইউএসআ, ২০০৮ গ্রেট ক্লিন্ট ইস্টউড পরিচালক। একাকী এক বুড়ো যার কাছে দুনিয়ার সব কিছু্ই প্রচন্ড বিরক্তিকর, বিশেষত টিনএজ জেনারেশন, কিভাবে যেন পাশের বাড়ির জাপানীজ একটা ফ্যামেলির ছেলেটা এবং মেয়েটার সাথে খাতির হয়ে গেল। কিন্তু ঝামেলা বেধে গেল উঠতি বয়সের বখাটে ছেলেদের সাথে। ওরাই একদিন রেপ করে পাশের বাড়ির মেয়েটাকে।

প্রতিশোধ নিতে উঠে দাড়ায় বুড়ো লোকটা, তার বয়স প্রায় নব্বুই ! রেটিং: ৪.৫/৫ থানা থেকে আসছি, ভারত, ২০১০ ১৯৬৬ তে উত্তম কুমার এর সিনেমার রিমেক। এবার তার জায়গায় সব্যসাচী চক্রবর্তী। ধনাঢ্য এক ব্যবসায়ীর মেয়ের এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠানের রাতে কোন এক বস্তিতে আত্মহত্যা করলো একটি মেয়ে, তার কাছে পাওয়া গেল একটি ডায়েরী, সেখানে ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর পরিবারের সকলের নামই লেখা। ইন্সপেক্টর তিনকড়ি হালদার এলেন সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। বেরোতে লাগলো একটি একটি অজানা কাহিনী।

রিমেকে সব্যসাচী সাফল্যের সাথে উতরে গেছেন। লিখেছিলাম একটি রিভিউ: http://goo.gl/X5g1I রেটিং: ৪/৫ মনের মানুষ, ভারত-বাঙলাদেশ, ২০১০ গৌতম ঘোষের পরিচালনা। লালনের ব্যক্তিজীবন নিয়ে সিনেমা। বেশ পরিশ্রমের সাথে সিনেমাটা তৈরী, সেটা বোঝা যায়। ইতিহাসের সাথে মিল রেখেই গল্প এগিয়েছে।

আর অসাধারণ সব লোকেশন। সিনেমা হিসেবে মনের মানুষ দারুন কিন্তু লালনের দর্শন আমার ভালো লাগেনি। রেটিঙ: ৫/৫ কালপুরুষ, ভারত, ২০০৫ বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের পরিচালনা। সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ রাহুল বোস জীবনের কোথাও কোন প্রভাব রাখতে পারে না, কিন্তু তার বাচ্চাকাচ্চাদুটোর সাথে তার ভারী ভাব। মাঝে মাঝে সে শৈশবের সেই বাশী শুনতে পায়।

স্ত্রী সুপ্রিয়া তার সামনেই পরকীয়া করে আরেকজনের সাথে। সবাইকে ফেলে দুমাস আমেরিকায় কাটিয়ে আছে। অসাধারণ এক কবিতা। রেটিং: ৫/৫ বিবর, ভারত, ২০০৮ যৌবনে কমুনিস্ট আন্দোলন করা বিরেশ ঘোষ চাকরী করতে এসে দুর্নীতির পরিবেশে হাসফাস করে, রাতে মদ খায়, একটা কলগার্লের সাথে সম্পর্ক। এনআরআই হরলাল ভট্টাচার্যকে ফাসাতে একদিন খুন করে বসে তাকে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত হরলাল আটকা পড়ে না। বড়দের মুভি। রেটিং: ৩/৫ Conviction, ইউএসআ, ২০১০ অসাধারন এক সিনেমা, বাস্তব ঘটনার উপর নির্মিত। কেনি ওয়াটার্স এর মাথা একেটু গরম, তাই বলে সে খুন করেনি, কিন্তু সাজা হয়ে গেল সারা জীবনের জন্য। বোন অ্যানি বেটি ওয়াটার্স সব রকমের চেষ্টা করলো, টাকার অভাবে একজন ভালো অ্যাটর্নি দিতে পারলো না, তাই নিজেই ল পরা শুরু করলো।

ততদিনে আবিস্কার হয়েছে ডিএনএ টেস্ট। জটিল সিনেমা, হিলারী সোয়াংক অভিনয় করছে। রেটিং: ৪.৫/৫ The Truman Show, ইউএসআ, ১৯৯৮ একটা লোকের পুরো জীবনটাই সিনেমার সেটে, সেখানে বাকী সবগুলো মানুষ একএকটি চরিত্র। আর তাদের কর্মকান্ড দেখছে সারা বিশ্বের মানুষ। দারুন কনসেপ্ট।

ব্রিলিয়ান্ট। জিম ক্যারি অভিনীত। রেটিং: ৫/৫ Udaan, ভারত, ২০১০ বাবা যদি বাবা না হয়ে অফিসের বস হয় তবে কেমন লাগে? চমতকার এই সিনেমাটা কিছুদিন আগে পুরস্কার পেল। দারুন সিনেমা। রেটিং: ৪.৫/৫ আপনিও শেয়ার করুন আপনার দেখা মুভিস হয়ে যান দারাশিকো ব্লগের একজন ফ্যান ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।