আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহা ছেলেটা!!

রাতুল কখনো ভাবেনি ভালাবাসা জিনিষটা তার কাছে কোনদিন ধরা দিবে না! ভালোবাসা বলতে কোন মেয়ের ভালোবাসা মানে নরম হাতের ছোয়া, একটু স্পর্শ, এক সাথে রিকশায় বৃষ্টিতে ভেজা, স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবি দেখো ,টিএসসিতে বসে আড্ডা, ছবিরহাটে মামুর দোকানে চা খাওয়া, বেইলিরোডে জুসবারে ফ্রেসজুসে চুমুক দেয়া বা হোক সে শাহবাগ মোড়ে আড্ডা। রাতুলের সংগ্রামী জীবনে সবার ভালোবাসাই পেয়েছে। মা, বাবার চোখের মণি, ছোট ভাই বোনের কাছে আদর্শ। গ্রামের লোকদের কাছে সোনার ছেলে। শুধু একটা অপ্রাপ্তীই তাকে তারা করে বেড়ায়, সে হচ্ছে প্রিয়ার ভালোবাসা! বাবা মা মেয়ে দেখছে ছোট ভাই বোনেরাও বাদ যাচ্ছে না উঠে পরে লেগেছে।

এমনকি ছোট ভাইদের গার্লফ্রেন্ডরাও দেখছে। রাতুল ভেবে ভেবে আৎকে ওঠে অচেনা একটা মেয়েকে বিয়ে করবে! কিছুদিন অন্তত চেনা জানা হলে মেন্টালি এডজাস্টম্যান্টা ভালো হতো। দূরর আমি কি ভাবছি বাপ, দাদারাতো প্রেম পিড়িতি করে বিয়ে করেনি তাদের সর্ম্পকতো ঠিকই টিকে আছে। গ্রামে গিয়ে রাতুল মেয়ে দেখে পছন্দ করেছে মেয়ে দেখতে মাসআল্লাহ, রাতুল রাজি বিয়ে করবে! হায় কিসের কি পদ্মা নদী পার হয়েই মনে হলো ইসস অচেনা অজানা মেয়েকে বিয়ে করবো! ফোন করে না বলে দিলো। চোখের সামনে ভেসে উঠলো নাফিসার মুখখানি।

কি সুন্দর! কি নিস্পাপ একটা মেয়ে। দেখেলে বোঝাই যায় না তার জীবনে এত কিছু ঘটেছে। না জেনে প্রেমে পড়েছিলো রাতুল, আগের প্রেমিকের সাথে কি কি হয়েছিলো সবই বলে দিয়েছিলো রাতুলের কাছে। রাতুলের মন তখন থেকেই উঠে গেছে, তবুও বেশ কিছুদিন প্রেমটা চলছিলো কিন্তু ভালোবাসার ছোয়া ছিলো না। রাতুল কতরাত ঘুমোতে পারেনি , নাফিসার আগের প্রেমিকের সাথে রগরগে দৃশ্যটা চোখের সামনে কল্পনায় ভেসে উঠতো।

রাতুল, নাফিসার সাথে ব্রেকআপ হওয়ার পর ঘুমোতে পারেনি, খেতে পারেনি, অফিস করতে পারেনি তার ভুবনটাই যেনো ভুলে ভরে যাচ্ছিলো! নাফিসা রাতুলকে ভালোবাসতে পারেনি নাফিসা শুধু রাতুলকে ব্যহার করে তার পুরাতন প্রেমিককে ভুলতে চেয়েছিলো! ছিঃ বলে উঠলো রাতুল, মাওয়ার ইলিশ পরিবহনের গাড়ির সব যাত্রী ছিঃ শব্দে জেগে উঠলো। একজন বলে উঠলো কি কোলে বমি করে দিয়েছে কেউ। সুপারভাইজার দৌরে কাছে আসলো কি হয়েছে ভাই, পাশের যাত্রী কিছুটা ভরকে গেলো পাগল নাকি! রাতুল নিজেকে গুছিয়ে নিলো এই পার্টটা সে ভুলে থাকতে চায়। বাবা মায়ের প্রিয় সন্তান হয়েছে, ভাই বোনের শ্রদ্ধা পেয়েছে, আশে পাশের লোকজন ভালো মানুষ হিসেবেই চেনে। এখন শুধু দায়িত্ববান স্বামী ও স্নেহময় পিতা হতে চায় রাতুল।

প্রেমের অপ্রাপ্তিটা এখন আর রাতুলকে ব্যথাতুর করছে না , আহা ছেলেটা!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।