আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওরা বলে - আমি নাকি গালি দিয়েছি

পড়েছে আকাল - কাকের শ্রাদ্ধে ঘি ঢাল। ব্রাত্যজনে তুমি রেস্টিকটেড, সোনাগাছীর জন্য আনলিমিটেড। কে ওরা! কেঁচোর মেরুদন্ডহীনতা বা শ্লথের নিস্তেজ কশেরুকার অক্ষমতা-সেকি আমার অপরাধ! নিজেকে যত্নে না গড়েই বড়লোক প্রতিবেশীর পয়ঃদেশ চেটে সুখের ভানে বা নিজের মাঝে অবিরাম কামের সুখ খুঁজে না পাওয়ার অক্ষমতার উদগ্র হতাশা ও আত্মবিশ্বাসের দৈন্যতায় হিসহিসে লকলকে জ্বিহবাটায় লাল বিষ জড় করে ছুড়ে দেয় আমার ঘরেই প্রতিনিয়ত। তা ঠেকিয়ে দিয়ে আমি নাকি সংখ্যালঘুদের অপমানের পাপে পাপী হয়েছি। আমি আজ তাই সাজান কাঠগড়ায়।

আমার ফাঁসীর আদেশ আসছে-- ঘিনঘিনে মশার কাছে মানুষতো নিরুপায়ই যখন অনাবিল আবাসিকের ক্লেদ-কামক্লান্ত, বহুল চর্চিত যৌথ খামার থেকে নিঃসৃত যৌগিক পুঁজে ভরা ড্রেনের পানিতে শুটকীটেরা নিরন্তর উৎপাদনে অবিরাম ও সুরক্ষিত। সেফটিক ট্যাংকে, থিকথিকে কীটের গড়াগড়িই অপার আনন্দ-এটা স্বীকার করার পর ''সমতায় বিশ্বাস করিস যদি আয় এইখানে''-বলে হাজিরায় ডাকে। না গেলেই -তাদের ঘৃণা করার অপরাধে অপরাধী বনে যাই। হারজিরজিরে মাকে নিত্য অনাহারী রেখেই, ওরা মায়ের মাহাত্মতা আমাকে শিখিয়ে পড়িয়ে যায় নিশিদিন। সারা বছর পরগাছার মত বেঁচে-'ইয়েস স্যার', 'ইয়েস স্যার' বলে মীরজাফরের দল আমাদের উৎসবের দিন নোংরা সঙ্গকে মিয়াভাই বানিয়ে নিয়ে ফিরে অকস্মাৎ দাবী করে বসে- সেটা ও ওটাই আমাদের মৌলিকতা ও সার্বজনীনতা।

খরচ বাঁচাতে আমরা নিয়মিত চা খাইনা বা গলায় শ্লেষ্মা না থাকলেও চেঁচায়না কেউ লোম উঁঠে যাওয়া ও কুকুরের মত। আর তাই-ওরা আমার সংস্কৃতিকে 'শেফ' দিয়ে আরও উদার হয়ে আরো উদোম হয়ে সংগ নিয়ে ট্যাংকে ফিরে যায়। তর্জনী উচিঁয়ে যা বলে যায় আমি তার সারমর্ম করলে দাঁড়ায়-''আমাদের বাপ - দাদার সংস্কৃতি হল এটাই,বাপ-দাদাকে অপমান সহ্য হবে না''। আমি কড়িকাঠ গুনে ঠাকুরদার কোপিনপরা মুখটা স্মরণে আনি- আর বাপ-দাদার কথা ভেবেই শক্ত পায়ে দাঁড়াই - নিমিষে একদল বাঁদুড় ছড়ছড় করে পেচ্ছাব করে উড়াল দেয়। মাটিতে নখ গেড়ে আমি সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পরগাঁছা, কেঁচোর দল কন্ঠভোটে মীরজাফরের কাছে নালিশ দেয়-স্বকীয়তা ও সার্বজনীনতা ভংগের- মেরুদন্ড সোজা করা! সে এক মারাত্মক অপরাধ।

আজ এতসব কিছুর পর আমি জেনে যাই -শক্ত করে দাঁড়ানোই আমার সাত জন্মের শোধ- তাই আমি মাটির মাঝে নখ সেধিঁয়ে ঘুড়ে দাঁড়াই- ''কোথায় কোন শালা আছিস আয়'' বলেই দেই হাঁক। নিজেদের পশ্চাতদেশে পাতলা ছড়িয়ে কাঁচকি মাছের মত ওরা পালায় দু-একটা আছাড় খেয়ে নিজেদের পায়ের তলে ডলেও যায়। আর আমি দেখি আমার পাশে, এগিয়ে আসে বাংলার কিছু বাঘ। (ব্লগের তীব্র চুলকানীওয়ালা নয়া নাস্তিক, ঘৃণ্য রাজাকার ও দেশদ্রোহী শুশীল ও বাঁদুড়দের স্মরণে) - যাদের কার-ও কাছেই দেশ নিরাপদ না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।