আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৮ অগাস্ট মীর কাসেম আলীর পক্ষে শুনানি

আগামী ৮ অগাস্ট অভিযোগের বিষয়ে আসামি পক্ষের শুনানির দিন ঠিক করেছে ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেয়।
সকালে মীর কাসেম আলীকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
শুনানিতে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী ১৪টি অপরাধের বর্ণনা দেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন।
এগুলোর মধ্যে দুটি হত্যাসহ আটক, অপহরণ, নির‌্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ১২টি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।


এরপর আসামিপক্ষের শুনানির জন্য দিন ঠিক হয়। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ আলামিন বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারের থাকা কাসেমের সঙ্গে দেখা করার জন্য অনুমতি চাইলে ২৮ জুলাই ও ১ অগাস্ট কারাফটকে দুজন আইনজীবীকে দেখা করার অনুমতি দেয় ট্রাইব্যুনাল।
২৬ মে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে ২৭ জুন অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করে ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষকে সাক্ষীর তালিকাসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জমা দেয়ার আদেশও দেয়া হয়।
কিন্তু আসামিপক্ষ সময় চাইলে শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১৮ জুলাই ঠিক করা হয়।

কিন্তু সেইদিনও পিছিয়ে ২৫ জুলাই ঠিক করা হয়।
গত ৬ মে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুন্ঠনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি অভিযোগে তদন্ত চূড়ান্ত করে প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।
১৬ মে তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
সেদিন সাংবাদিকদের জানানো হয়, মীর কাসেম আলী ইসলামী ছাত্রসংঘের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি সংগঠনটির পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ সম্পাদক হন।


তার বিরুদ্ধে গালিব হোটেলে স্থাপিত নির‌্যাতন সেলে বিভিন্নজনকে ধরে নিয়ে গেয়ে নির‌্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগ ছাড়া বাকী সব অভিযোগেই অপহরণের পর নির‌্যাতনের বর্ণনা রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে ১১ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তর সালের ২৮ নভেম্বর শহীদ জসিমসহ ছয়জনকে ধরে নিয়ে নির‌্যাতন করে হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
১২ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ তিনজনকে অপহরণ করে নির‌্যাতন করে দুজনকে হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলা হয়।
বাকি অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে ওমর-উল ইসলাম চৌধুরী, লুৎফর রহমান ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খান, আব্দুল জব্বার মেম্বার, হারুন অর-রশিদ খান, মো. সানাউল্লাহ চৌধুরী, নুরুল কুদ্দুস, সৈয়দ মো. এমরান, জাকারিয়া, সুনীল কান্তি বর্ধণ ও নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে অপহরণ করে নির‌্যাতন করার অভিযোগ।

 
গত বছরের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ওইদিনই মতিঝিলে দৈনিক নয়াদিগন্ত কার‌্যালয় (দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশন) থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
পরে ১৯ জুন মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে মীর কাসেমের জামিন আবেদন খারিজ করে ৫ জুলাই তার বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেয় আদালত।
৮ জুলাই ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে মীর কাসেমকে সেফ হোমে নিয়ে দুইবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।