আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘আমি হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ছোঁব,তোমার হয়ে বিষন্ন এক সন্ধ্যায়….’

দক্ষিণের জানলাটা খোলা..আলো আসে আলো যায়। ১.ক্ষণিকের পরিচয় পূর্বা খুবই উত্তেজিত,আজ তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ক্লাস। প্রথম ক্লাসটাই সকাল ৮টায়। এমনিতেই শীতের সকাল,লেপের নিচ থেকে উঠতে আলসামি লাগছে ওর,তবুও প্রথম ক্লাস যেহেতু যেতেই হবে। ঘুম ঘুম চোখে রেডি হয় পূর্বা।

ঘড়ির কাটায় চোখ পড়তেই চমকে ওঠে সে-৭.৪৫!!দৌড়াতে দৌড়াতে মেইন রোডে ওঠে আসে ও,কিন্তু রাস্তা আজ একদমই ফাঁকা। রিকশা নেই বললেই চলে,যাও আছে তারা ওই দিকে যাবে না। এত অনুরোধ করেও কাউকে রাজি করাতে পারলোনা ও। হঠাৎ একটা রিকশা এসে থামলো ওর পাশে,পূর্বার মেজাজ তখন সপ্তমে,একে তো প্রথম দিনে লেইট,তার উপর একটা রিকশাও যেতে রাজি হছ্ছে না। আপনি কি ভার্সিটির দিকে যাবেন?হ্যাঁ সূচক জবাব দেয় পূর্বা।

ছেলেটি বলে –আপনার যদি সমস্যা না থাকে আমার সাথে যেতে পারেন,আমিও ওইদিকে যাছ্ছি। পূর্বা তার স্বভাব সুলভ রাগীরাগী দৃষ্টিতে ছেলেটির দিকে তাকায়,ছেলেটি তাড়াতাড়ি বলে-না মানে দূর থেকে দেখলাম আপনি রিকশা পাছ্ছেন না,একই গন্তব্য তাই বললাম আর কি!পূর্বা কিছুক্ষণ ভেবে ছেলেটির সাথে উঠে পড়ে রিকশায়,রিকশা চলতে শুরু করে গন্তব্যে। ছেলেটি এবার মুখ খোলে,আমার নাম সুপ্রিয়। আপনার নামটা জানতে পারি?পূর্বা-দায়সারা ভাবে জবাব দেয় সে। কিসে পড়ছেন আপনি,কোন ইয়ার?-সুপ্রিয় জানতে চায়।

ফাস্ট ইয়ার,আন্তর্জাতিক সর্ম্পক। ও তাহলে তো তুমি আমার জুনিয়র,আমি ম্যাথমেটিক্স,ফাইনাল ইয়ার। সুপ্রিয় একের পর এক বকবক করেই যায়,পূর্বা সব শুনে আর ভাবে কি সমস্যায় পড়া গেল!রাস্তা যেন আজ শেষই হয় না। সুপ্রিয় বলে কি ব্যাপার কথা বলছ না যে?না মানে কথা বলার চেয়ে শুনতেই ভাল লাগে আমার। –পূর্বা জবাব দেয়।

তুমি ভাল শ্রোতা নও,সেই কখন থেকে প্রশ্ন করছি,জবাব দিছ্ছ না কেন?না মানে শুনতে পাইনি। সুপ্রিয় বলে-সমস্যা নেই,আমরা বোধহয় চলে এসেছি। এখানে নামিয়ে দিলেই হবে-পূর্বা বলে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুপ্রিয় হেসে বলে-থাক এত ফরমাল হতে হবে না,ধন্যবাদটা আপাতত তোলা থাক।

বলেই রিকশাওয়ালাকে তাড়া দেয় –চলেন মামা। পূর্বা পা বাড়ায় ক্লাসের দিকে সারাদিনের উত্তেজনায় ক্ষণিকের পরিচয়ে পরিচিত হওয়া সুপ্রিয়কে ভুলতে সময় লাগে না ওর। ২.অন্য সময়ের আর্বতন কদিন ধরেই সুপ্রিয় খুব বেশি চুপচাপ। বন্ধুরা ভেবে পায় না,ওর কি হয়েছে!কি রে তোর চোখের নিচে কালি পড়েছে যে,রাত জেগে জেগে নতুন সূ‍‍‍‍ত্র আবিষ্কার করছিস নাকি?-খোঁচা দিয়ে বলে শৈবাল। না রে দো্স্ত অন্য সমস্যা-সুপ্রিয় দুঃখী দুঃখী সুরে বলে।

কেন রে কি হয়েছে?-শাওন জানতে চায় উৎসাহী কন্ঠে। ‘’LOVE AT FIRST SITE’’-যাকে বলে তাই হয়েছে আমার। কি??-সবাই উচ্চস্বরে চিৎকার করে উঠে। কখন,কবে এই দূর্ঘটনা ঘটালি তুই!!!না মানে সেই দিন লিফট দিয়েছিলাম রিকশায়,কলাভবন আসলাম একসাথে। –সুপ্রিয় বলে।

একদিন লিফট দিলি আর তাতে তোর প্রেম হয়ে গেল?মেয়েটাকে চিনিস তুই ভালভাবে!না,চিনি না,তবে এখন চিনে নিব,এই মেয়েকেই আমি চাই আমার জীবনে-সুপ্রিয় দৃপ্ত কন্ঠে বলে। ধীরে ধীরে পূর্বা যেন সুপ্রিয়ের পুরোটা অস্তিত্ব দখল করে নেয়। সুপ্রিয় বসে থাকে ক্লাসে ওর মন থাকে দূরে কোথাও। সুপ্রিয় সেই রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে পূর্বার জন্য। সময় গড়িয়ে দিনের বয়স বাড়ে কিন্তু পূর্বা যেন ষোল কোটি মানুষের ভীড়ে মিলেমিশে একাকার।

কোথাও সে নেই। বন্ধুরা চিন্তিত সুপ্রিয়র জন্য,সবাই মিলে ঠিক করল সুপ্রিয়কে এই বিপদ থেকে বের করবে ওরা। কিছু করতে হবে দুজনকে কাছে আনার জন্য। অবশেষে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ওরা পূর্বার সেল নম্বর যোগাড় করে এনে দিল সুপ্রিয়কে। অনেক বার কল করতে যেয়েও মুঠোফোনটা রেখে দেয় সুপ্রিয়,অসম্ভব নার্ভাস লাগে ওর।

গলা শুকিয়ে আসে ওর,কেন সে নিজেও বুঝতে পারে না। অবশেষ এক বিকেলে সাহস করে পূর্বার নম্বরে কল করে সে,ডায়াল করার পরই কলার টিউনে ভেসে আসে-‘মাঝে মাঝে তোমায় ভেবে এলোমেলো লাগে সবই,মাঝে মাঝে তোমার চোখে কে আঁকে অন্য ছবি। ’ ৩.গোলকধাঁধার জীবন দুবার তিনবার রিং হবার পর কম্পিউটারের পর্দা থেকে চোখ ফিরিয়ে মুঠোফোনটা হাতে নেয় পূর্বা। অপরিচিত নম্বর দেখে ধরবে কি ধরবে না দ্বিধায় পড়ে যায় সে। কিছুক্ষণ পর কল রিসিভ করে ও,হ্যালো,কে বলছেন?পূর্বা বলছো?-ওপাশ থেকে জানতে চায় একটা তরুণ কন্ঠ।

জ্বী,কিন্তু আপনি কে বলছেন?আমি সুপ্রিয়,ওই যে সেদিন রাস্তায় দেখা হল। ও আছ্ছা,কেমন আছেন আপনি?ভালো,তুমি কেমন আছ?-জানতে চায় সুপ্রিয়। ভালো-পূর্বা বলে। অল্পকিছু কথা বলেই ফোন রেখে দেয় সুপ্রিয়,বিশ্বাসই হয়না সে পূর্বার সাথে কথা বলল কিছুক্ষণ আগে। অবাক পূর্বা বুঝতে পারে না,মিনিটের পরিচয়ে তাকে কল করল কেন সুপ্রিয়,নম্বরই বা পেল কোথায়!!সাতপাঁচ ভেবে আবার কাজে মন দেয় সে।

৪.আলোকিত আধাঁর কিংবা অন্ধকারাছ্ছন্ন আলো সুপ্রিয় যেন সেই দিনের পর থেকে নিজের পুরানো প্লাটফরমে ফিরে আসে। আগের চেয়ে বেশি হাসিখুশি,অনেক বেশি প্রাণচঞ্চল। পূর্বাকে কল করার আগে যে নার্ভাসনেস ছিল তা কেটে যায়। কাউকে এতটা ভালবাসা কি যায় ভেবে পায় না সুপ্রিয় । প্রায়ই কল করে ওকে,বেশিরভাগ দিনই রিসিভ করে না পূর্বা।

খুব মন খারাপ হয় ওর,ইছ্ছে করে প্রতি মিনিটে মিনিটে ওকে কল করে,sms দেয়। পূর্বার নম্বর ডায়াল করতে করতে আঙ্গুল ব্যথা হয়ে যায় তার। পূর্বা যদি কল রিসিভ না করে কিভাবে ওকে মনের কথা বলবে বুঝে উঠতে পারে না সুপ্রিয়। sms এর পর sms পাঠায় ওকে,প্লিজ আমার কল ধর অন্তত একবার। মাঝেমাঝে পূর্বা কল রিসিভ করে।

সুপ্রিয় তার ভাললাগার কথা বলে ওকে,ওকে নিয়ে স্বপ্নের কথা বলে,পূর্বা কিছুই বলে না। দুজনের সব কথা একটা প্রশ্নে এসে থেমে যায়-ভালবাসো?? ৫.পরাজিত স্বপ্ন-সময়-বাস্তবতা ক্লাস,মিড,নতুন হলের জীবন সব মিলিয়ে ব্যস্ততায় দিন কেটে যায় পূর্বার। ইট-কাঠের নাগরিক বস্তিতে পূর্বা নিজেকে বেশ মানিয়ে নেয়। তার চোখে আগামীর স্বপ্ন। স্বপ্নে স্বপ্নে খেয়ালি পূর্বার দিনগুলো পূর্ণতা পায়,জীবন পায় পথ চলার স্বার্থকতা।

ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে সুপ্রিয়র ফোন যেন তাকে একটু আনমনা করে দেয়। তার খুব ভয় হয় কেন সুপ্রিয় এমন করে কাউকে না চিনে কি এতটা ভালবাসা যায়?একটা অচেনা ছেলের স্বপ্নের সাথে নিজেকে জড়ানো কি ঠিক হবে?সুপ্রিয় বারবার বলে,পূর্বা আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি,তুমি শুধু আমাকে একটা সুযোগ দাও,প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিও না। আমি তোমার ব্যাপারে সত্যি সিরিয়াস। পূর্বা অবিরত প্রত্যাখান করে সুপ্রিয়কে,অস্বীকার করে তার হৃদয়নিংড়ানো ভালবাসাকে। সুপ্রিয় বারবার জানতে চায়,কেন তুমি এমন কর আমার সাথে,একটা ছেলে তোমার জন্য এতটা কষ্ট পাছ্ছে আর তুমি নির্বিকার হয়ে থাক,কিভাবে এতটা পাষাণ হলে তুমি?নিশ্চুপ পূর্বা সুপ্রিয়কে এড়িয়ে চলে,সে শুধু চায় সুপ্রিয় তাকে ঘৃণা করে দূরে সরে যাক।

পূর্বার জীবনে কাউকে দরকার নেই,ভাগ্যে যা থাকে তাই হবে তার,এত ভালবাসার ভার বইতে পারবে না সে। সুপ্রিয় হাল ছাড়ে না,শুধু জানতে চায় এতটা ইমোশনলেস কেন তুমি?তুমি যদি মনে কর তোমার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে তোমাকে আমি ভুলে যাব সেটা হবে তোমার ভুল ধারনা। তোমাকে ভালবাসি এবং চিরদিন বাসবো। যদি চাও আমি তোমাকে ভুলে যাই তাহলে আমার ভালবাসাগুলো ফেরত দিয়ে যাও। পারবে তুমি তা??? ৬.“মিটিল না সাধ ভালবাসিয়া তোমায়/বাসিতে ভাল পুনঃ আসিব ধরায়/আবার বিরহে তব কাঁদিব/আবার প্রণয় ডোরে বাঁধিব।

” সময়ের মানচিত্র বদলে যায়। শীত চলে যায়,বসন্ত,গ্রীষ্ম আসে আবার আপন গন্তব্যে চলে যায়। বর্ষা আসে আপন রূপে। আকাশের অশ্রু ঝরেই চলে একটানা,অবিরাম। খোলা আকাশের নিচে আরেকজন মানুষ কাঁদে,ব্যাকুল হয়ে কাঁদে।

শ্রাবণের বৃষ্টি আর সেই মানুষটির কান্না মিলেমিশে একাকার হয়ে যেন বর্ষাকে পূর্ণতা দেয়। শ্রাবণধারা যেন বাঁধ ভেঙে দেয় সেই মানুষটির সহ্যের। অনেক অনুরোধের পর ফোন ধরে পূর্বা। সুপ্রিয় বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে বলে-পূর্বা তোমার কথাই রাখবো আমি। তোমাকে ভুলে যেতে চেষ্টা করব কতটুকু পারব জানিনা।

তোমাকে sms বা কল না করে কিভাবে থাকব জানিনা। তোমাকে sms বা কল না করলে ভেব না তোমাকে ভুলে গেছি,ভেব না তোমাকে আর ভালবাসি না। জানিনা কিভাবে বেঁচে থাকবো তবুও তোমাকে মনে থাকবে চিরদিন,ভাল থেকো। ফোন কেটে দেয় সুপ্রিয়। বাস্তবতা আর স্বপ্নের মোহ-মাঝে শুধু একটা স্বীকৃতির ব্যবধান,দূরত্ব ক্রমে বেড়ে যায়।

অসংখ্য মূহুর্তের যোগফলে যে অপেক্ষা,যেন অনতিক্রম্য তা। খুব বদলে যেতে ইছ্ছে করে সুপ্রিয়র,কিন্তু পরিস্থিতি ওকে বন্দী করে রাখে তার শব্দের সীমানায়। সুপ্রিয় বারবার চেষ্টা করেও হেরে যায়,তবু হারতে ভালবাসে। ৭.“বন্ধু,আমার বুকের মাঝে বির্সজনের ব্যথা” জীবন চলে যায় যেতে হয় বলে। পূর্বা আর সুপ্রিয় তবুও বেঁচে থাকে পৃথিবীতে।

পথ চলে নিজের অজান্তে একই আকাশের নিচে। দুজনের অবস্থানগত দূরত্ব হয়ত থাকে কিন্তু মনের দূরত্ব কতটুকু সেটা কি কেউ জানে! ঘোরের মধ্যে দিন কেটে যায় পূর্বার,বেঁচে তো থাকে সে। কেন যেন মনে হয় সেই বেঁচে থাকার কোন ছ্ন্দ নেই। জীবনের সুরটা যেন কেটে গেছে কোথাও,কি যেন হারিয়ে গেছে জীবন থেকে। গল্পের বইয়ের একটা পাতায় এসে সময় থমকে যায়,মিউজিক প্লেয়ারে গান গুলো বেজে চলে নিজের মত করে,ভাললাগা প্রিয় কবিতারা অবহেলায় পড়ে থাকে টেবিলের এক কোণে।

তীব্র বর্ষণে পূর্বার শুধু মনে পড়ে একটি মুখ,অশ্রুসজল সেই দুটি চোখ,তার কাতর অনুনয়। খুব ইছ্ছে করে সুপ্রিয়র সাথে কথা বলতে,কিন্তু কোন মুখে সে সুপ্রিয়র সামনে গিয়ে দাঁড়াবে!একটা মানুষকে সে কিভাবে এতটা কষ্ট দিতে পারল!নিজের অজান্তে দুচোখ ঝাপসা হয়ে আসে ওর। পূর্বা বুঝে উঠতে পারে না কি করবে,খুব অসহায় মনে হয় নিজেকে তার। তার সাজানো পৃথিবীকে যেন সুপ্রিয় একবারে তছনছ করে দিয়ে গেল। পূর্বার আকাশেও এখন বৃষ্টি ঝরে সেই একই সুরে যে সুরে বৃষ্টি ঝরে বাইরের পৃথিবীতে।

৮.‘অভিমানী মেঘ সরে সরে যায়,অজানায় তার সীমানা হারায়’ অন্য আর দশটা দিনের মতই ছিল সেদিনটা। অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছে তো পড়ছে। আনমনা পূর্বা হলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি ছুয়ে দেখছিল। দেখছিল কান্নার জলের মত বৃষ্টির জলেও কি একই রকম দুঃখের রং মেশানো থাকে!!হঠাৎ তার চোখ চলে যায়,হলের উল্টো দিকের রাস্তায়। কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে দাঁড়িয়ে সেই মায়াবী চোখ দুটো অপলক তাকিয়ে আছে ওর দিকে।

পূর্বার দুচোখের সীমানায় ভেঙে আসা কান্না যেন বাঁধ মানে না। দৌড়ে নিচে নেমে আসে সে,নতমুখে সামনে গিয়ে দাঁড়ায় সুপ্রিয়র। সুপ্রিয় শুধু জিজ্ঞেস করে,ভালবাসো??পূর্বা মৃদু স্বরে বলে-বাসি। সুপ্রিয় আলতো করে জড়িয়ে ধরে পূর্বাকে,স্বর্গ থেকে আসা বৃষ্টিধারা যেন জলের বিন্যাসে সীমাহীন উল্লাসে রিমঝিম ছন্দে নেমে এসে ভিজিয়ে দেয় অনেক মান-অভিমানের পর ফিরে পাওয়া ভালবাসাকে……। দূরে কোথাও বেজে চলে-‘ভালবাসি ভালবাসি…..এই সুরে কাছে দূরে….. পূর্বা আর সুপ্রিয় তাদের পৃথিবীতে খুশী থাকুক,আমরা চলুন ‘TRIMATRA’ র একটা গান শুনে আসি-‘বৃষ্টির ধরণীতে’View this link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৪ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।