আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঋণ করে বিয়ে, শোধ করতে গলদঘর্ম

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে দুই বন্ধুর আলাপচারিতা। একজন আগামী ডিসেম্বরে বিয়ে করবেন, হাতে টাকা পয়সা নেই। জানতে চাইছেন ব্যাংক ঋণ পাওয়া যাবে কি না। অন্য বন্ধু বলছেন তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। বিয়ের সময় ঝোঁকের বশে ঋণ নিয়ে তিনি কী সীমাহীন দুর্গতিতেই না পড়েছেন।

বিয়ের দুই বছর পরও দেনা শোধ হয়নি।
বাংলাদেশের মধ্যবিত্তদের জন্য বিয়ে মানেই সামাজিকতা, জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান। কিন্তু বিয়ের আংটি থেকে শুরু করে বিয়ের খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত সবকিছুর খরচই কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা পড়েছেন বিপাকে।
গত ১০ বছরে বাংলাদেশে চাল, ডাল, তেল, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় মানুষের যেমন নাভিশ্বাস উঠেছে, তেমনি বিয়ের খরচ সামাল দিতে গিয়ে সদ্যবিবাহিতরা পড়ছেন বিপদে। অনেকে অফিস থেকে আগাম বেতন তুলে নিচ্ছেন, কেউ কেউ নিচ্ছেন ব্যাংক ঋণ।

তারপর ঋণ শুধতে গিয়ে  হচ্ছেন গলদঘর্ম তাঁরা।
একজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘একটু জাঁকজমক করে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম বলে বেশ ভালো অঙ্কের টাকা ঋণ নিলাম। বিয়ের পর খাওয়া-দাওয়া, বাড়িভাড়া, ঘোরাফেরায় কত খরচ হবে—এমন একটা হিসাবও করে ফেললাম। কিন্তু প্রতি মাসেই বাজেট ফেল। এ মাসে পানির কল নষ্ট, তো ও মাসে বিদ্যুত্ বিল বেশি আসে, পরের মাসে হয়তো কিনতে হলো জন্মদিন বা বিয়ের উপহার।

’ কোনো দিকে আর কূল দেওয়া যায় না। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।