আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Doctor-রা কি সাংবাদিকদের শত্রু??

*সাংবাদিকরা সুযোগ পাইলেই ডাক্তার-দের Bamboo দিতে ছাড়ে না...!!! ২৫/০৫/২০১১ এর মানবজমিন দেখেন... ডাক্তারের প্রতারণা, গৃহবধূর সর্বনাশ বুধবার, ২৫ মে ২০১১ স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে: নিজেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রাজশাহী নগরীর ন্যাশনাল ক্লিনিকে স্তনের টিউমার অপারেশন করায় প্রতারণার দায়ে নুরুল ইসলাম প্রামাণিক জনি নামের এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ক্লিনিক মালিক হারুন-অর-রশিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তারা রাজপাড়া থানা পুলিশের কাছে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় ভুয়া ডাক্তার জনি ও ক্লিনিক মালিকসহ ৬ জনকে আসামি করে রাজপাড়া থানায় মামলা করেছেন প্রতারণার শিকার গৃহবধূ এমিলির ভগ্নিপতি আবুল কালাম। গ্রেপ্তারকৃত জনি পল্লী চিকিৎসক বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ই মে বগুড়া শিবগঞ্জের খোরশেদ শেখের স্ত্রী এমিলি বেগম স্তন টিউমারের চিকিৎসা নিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরের দিন নগরীর দাশপুকুর এলাকার দালাল মশিউর (৫০) রোগীর ভগ্নিপতি আবুল কালামকে ভুল বুঝিয়ে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার ন্যাশনাল ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা ভুয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বহরমপুর এলাকার জনি (৩৫) ও খড়খড়ি এলাকার হারুন-অর-রশিদ (৩৮), আয়নাল হক (৩৮), নগরীর ভাটাপাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম বাবলু ও শফিউল্লাহ (৩৬) তাদের কাছে জানতে চান কি হয়েছে। এমিলি তার সমস্যার কথা বললে জনি বিকালে অপারেশন করার কথা বলে ৪০০০ টাকা নিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি করে নেয়। এরই মধ্যে অপারেশন করে, রোগ নিশ্চিত করার জন্য এমিলির টিউমার স্থানের মাংস বায়োপসি টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে।

এরপর ১১ই মে থেকে ১৭ই মে পর্যন্ত এমিলি ন্যাশনাল ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকেন। এর মাঝে জনি তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। ১৮ই মে দুপুর ১২টার দিকে ৮০০০ টাকা বিল নিয়ে তাদের ক্লিনিক থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। এমিলি প্রেসক্রিপশন মোতাবেক ওষুধ খেতে থাকে। ওই ওষুধ খাওয়ার পর এমিলির অপারেশনের স্থান থেকে রক্ত পানি বের হতে থাকলে তারা জনির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

সেই সঙ্গে বায়োপসি টেস্টের রিপোর্টের বিষয়টি জানতে চাইলে তাদেরকে ক্লিনিকে এসে যোগাযোগ করতে বলে জনি। এরই প্রেক্ষিতে রোববার রাত ১১টার দিকে এমিলি ও আবুল কালাম ন্যাশনাল ক্লিনিকে যান। এ সময় জনি জানায়, এমিলির স্তনে ক্যান্সার হয়ে গেছে, ১২ হাজার টাকা লাগবে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে। এরপর ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাফিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করার জন্য আরও ১৬ হাজার টাকা লাগবে। এছাড়াও তাৎক্ষণিক ভাবে এমিলিকে ১২৬০ টাকা মূল্যের ৪টি ইনজেকশন দিতে হবে বলে জানায়।

তারা আবুল কালামের কোন সম্মতি ছাড়াই পরীক্ষা ও ইনজেকশন দিয়ে বিল ধরিয়ে দেয় রোগীর স্বজনের হাতে। এ সময় আবুল কালাম তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করে বলেন, আমাকে কিছু না জানিয়েই আপনারা এতগুলো ওষুধ দিলেন ও পরীক্ষা করলেন কেন? আমার কাছে এত টাকা নাই। দু’জনের কাছে দু’টি মোবাইল ও নগদ এক হাজার টাকা আছে তা নিয়ে আমাদের যেতে দিন। এরপর জনি তাদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে ক্লিনিক থেকে রাত সোয়া দুইটার দিকে ছেড়ে দেয়। এতে আবুল কালামের সন্দেহ হলে সোমবার দুুপুরে রাজপাড়া থানায় তিনি অভিযোগ করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান ভুয়া ডাক্তার জনি ও ক্লিনিক মালিক হারুন-অর-রশিদকে গ্রেপ্তার করে। রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান জানান, ন্যাশনাল ক্লিনিক থেকে ভুয়া ডাক্তার জনি ও ক্লিনিক মালিক হারুন-অর-রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্লিনিকে ২টি চেয়ার ও ৬টি বেড ছাড়া প্রয়োজনীয় কিছুই নেই। রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোকাররম হোসেন জানান, আবুল কালামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গ্রেপ্তারকৃত দুই জনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা তাদের প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি জানান। এদিকে, এমিলির দুলাভাই আবুল কালাম গতকাল বিকালে জানান, এমিলির শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। তাকে আবারও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসক জানিয়েছেন, আবারও তার টিউমারের অপারেশন করতে হবে।

Source:http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=10066:2011-05-24-16-00-39&catid=49:2010-08-31-09-43-32&Itemid=83 **এখন কথা হল যে লোক Doctor-ই না,তার ভুলের জন্য ডাক্তার-দের দায়ী করে শিরোনাম লেখার মানেটা কি?? এগুলা দেখার কি কেউ নাই??? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।