আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২২ টাকায় কেনা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়, ৩০ টাকা কার পকেটে যায় ?

ইতিহাসের পেছনে ছুটি তার ভেতরটা দেখবার আশায় বহু আষাঢ়ে গল্প শুনায় আমাদের মন্ত্রী মহোদয়রা। অমুক দেশে চালের দাম এত, তমুক দেশের চালের দাম আমাদের দেশের চালের দামের চেয়ে কম, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বাড়ছে বলে আমাদের দেশে তার প্রভাব পড়ছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় আমাদের দেশের চালের দাম কম আরও কতকি। আর আমরাও হাদারাম জনগন মন্ত্রীদের এইসব গল্প শুনে বাহবা দিচ্ছি, আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলছি। কিন্তু আসলেই কি তাই ? নাহল মানলাম বিদেশে বাজারে চালের দাম বাড়ছে, কিন্তু আমরা বছরে কত মন চাল আমদিনী করি যে তার প্রভাব এভাবে আমাদের বাজারে পড়বে, যেখানে গেল দুই বছর যাবত পশ্চিমা বিশ্বে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার পরও বাংলাদেশ কেবল কৃষির ওপর ভর করে সেই প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে পেড়েছে। তাহলে এই কৃষকদের উতপাদিত চালের দামে কেন আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব পড়বে ? তাছাড়া টিসিবি যেখানে বাজার থেকে ২২ টাকা করে চাল কিনে আনে, সেই চাল কেন ৫২ টাকা হয় ? তাহলে কি এই চাল সারা বিশ্ব ঘুরে তারপর বাংলাদেশে এসে বিক্রি হয় ? নাহলে চালের ওপর আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব পড়বে কেন আমার মাথায় আসে না।

আপনাদের কারো জানা থাকলে জানাবেন। এই অতিরিক্ত ৩০ টাকাই বা কারা খায় তারও কোন উত্তর আমার জানা নাই। সবকিছুর মূলে যে কথা তাহল এই অতিরিক্ত ৩০ টাকা ব্যায় বাড়ার কারনে মানুষের ঘরে ঘরে যে হাহাকার চলছে তাকি ঐ গন্ধযুক্ত চাল খাওয়া মানুষদের কানে যায় ? তাদের তো কোন সমস্যা হয় না, চালের দাম ৫২ টাকা হলেই কি আর ৫২০ টাকা হলেই কি !! কিন্তু দেশে অধিকাংশ মানুষ যেখানে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত সেখানে দ্রব্যমূল্যের এই পাগলা ঘোড়া কে আটকাবে, কেউ কি একটু বলতে পাড়েন ??? আধাপেটা আর উনো পেটা থাকতে থাকতে আর যে পাড়ছিনা। পেটের জ্বালায় কোন দিকে যাই তারও কোন কূল কিনারা করতে পাড়ছিনা। যাওয়ার রাস্তা থাকলে জানাইয়েন প্লীজ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।