আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেরা মুভি ডিরেক্টর( আমার দর্শন)

I always tell the truth. Even whn I lie. ছোট বেলা থেকেই আমার সপ্ন যে আমি মুভি বানাবো। আমার ফিল্ম অস্কার পাবে। এসব আজে বাজে সপ্ন দেখে নিজেকে কিভাবে যেন তৈরী করে ফেলেছি। মুভি পাগল হিসাবে বন্ধু,ব্লগ, ফেসবুক,টুইটার সমাজে আমার ভালো নামডাক রয়েছে। যাই হোক সেই সুবাদে প্রচুর পরিমান মুভি দেখছি।

বিভিন্ন রকম ভাষার বিভিন্ন রকমের পরিবেশের মুভি দেখেছি। শিখেছি(খূব অল্প)। জেনেছি অনেক কিছু। আমার মতে একটি মুভিকে আনন্দদায়ক এবং প্রাঞ্জল করার পেছনে সবথেকে বড় হালটা ধরেন মুভির ডিরেক্টর। তো এবারের পোষ্ট হলো ডিরেক্টরকে নিয়েই।

আমার দেখা সেরা ডিরেক্টরদের নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা করা হবে এখানে। একটা কথা বিশেষভাবে মনে রাখা প্রয়োজনিয় তা হলো আমার বয়স ১৫ এবং আমি খুব কম ফিল্ম দেখেছি। তাই আমার দর্শন ততটা পরিপুর্ন হবে বলে আমি আশা করিনা। আপনারাও করবেননা। মতবিভেদ থাকতেই পারে>>>> Steven Spielberg December 18, 1946 in Cincinnati, Ohio, USA হলিঊডের নামিদামি যেসব ডিরেক্টররা আছেন তাদের মাঝে তিনি অন্যতম।

তিনটি অস্কার পেয়েছেন। পাশাপাশি আরও বিভিন্নরকম ১১৮ টা পুরস্কার পেয়েছেন। এর বাইরেও ৮৮তা নোমিনেশন পেয়েছেন। তিনি ৫০টা মুভি ডিরেকশন দিয়েছেন। প্রডিউস করেছেন ১২৮টি মুভি।

শর্টকাটে এই হলো স্পেলবার্গ। তখ ক্লাস ৫ কি ৬ এ পড়ি। ডাইনোসর নিয়ে একটা মুভি দেখলাম। ভয়েতো রাতে ঘুম আসেনা। কি দেখলাম এটা।

এত বড় বড় প্রানি যদি বাংলাদেশে আসে তাহলে আমি কই যাব। আমার আম্মুর কি হবে? এই কথা ভেবে চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে লাগলো। পরবর্তিতে অনেক বছর পরে নিজের ভুল বুঝতে পারলাম। তখনতো ইন্টারনেট শিখেছি। খুজে মুভিটা বের করে ফেললাম।

Jurassic Park । এই মুভির ডিরেক্টর হলো স্পেলবার্গ। পরে আরেকটু খোজ নিতেই জানা গেল এই লোক E.T.: The Extra-terrestrial (1982) এবং A.I. Artificial Intelligence (2001) এর ডিরেক্টরও তিনি । তারপর একের পর এক দেখা শুরু করলাম। মূলত E.T.: The Extra-terrestrial (1982) এবং A.I. Artificial Intelligence (2001) দিয়ে তার প্রেমে পড়লাম।

এই দূটো মুভির মাঝে এমন কিছু ছিল যা আমার কিশোর মনকে নাড়া দিয়ে গেল। আরো সমৃদ্ধ করলো আমার চিন্তা ভাবনাকে। স্পেলবার্গ কে আমি যতটানা ডিরেক্টর হিসেবে চিনি তারচেয়ে বেশী চিনি একজন দার্শনিক হিসেবে। তার চেয়েও বেশি চিনি একজন ঐতিহাসিক হিসেবে তার চেয়েও বেশি চিনি একজন আবেগি হিসেবে। তার মুভিতে রচিত আবেগগুলো আমি বাস্তবে পাইনি।

Indiana Jones সিরিজের প্রটিতি মুভি তিনি দেখিয়েছেন উপরের আলোচিত বিষয়গুলো। ইন্ডিয়ান সমাজ, মানুষের আচার আচরন, কথাভঙ্গি, বিদেশি দেখে চমকে যাওয়া সব কিছু খুব নিপুন ভাবে তৈরী করেছেন। মুভিতে তৈরী করা পরিবেশগুলোতে রয়েছে সৌন্দর্য। Indiana Jones, The Lost World: Jurassic Park, Schindler's List, E.T.: The Extra-Terrestrial মুভিগুলোতে যে পরিবেশ দেখা গেছে তা সত্যি মারান্তক। উনবিংশ শতাব্দির কাহিনি তিনি গড়ে তুলেছেন বর্তমানে।

কিন্তু পরিবেশ দেখে আপনার স্বিকার করতে হবে যে এটা প্রশংসনিয়। ২০০৮ সালে রিলিজ করা মুভি Indiana Jones and the Kingdom of the Crystal Skull মুভিতে যে ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে তা এখনো অনেক ডিরেক্টরের হাতে পৌছায়নি। কিন্তু তারপরো তিনি তার মেধা দিয়ে এর সদব্যবহার এবং পরিবেশ ঠিক রেখে কাজ শেষ করেছেন। আমার দর্শনে তার সেরা ৫ টা মুভি। Schindler's List একটা দেশে যুদ্ধ মানেই শত্রু শত্রু খেলা না।

নিজের মনের সাথে যুদ্ধ। আবেগের সাথে যুদ্ধ। সময় ও পরিবেশের সাথে যুদ্ধ। অর্থের সাথে যুদ্ধ। এইসব ব্যাপার নিয়েই এই মুভিটি বিস্তারির আলোচনা করবে।

Minority Report (2002) অতীত, বর্তমান কে চিন্তা করে ভাবা হয়েছে ভবিষত। টপিক ক্রাইম। কেমন হতে পারে সন্ত্রাসিরা, কেমন তাদের আচরন। কে কি কিভাবে? সব কিছুকেই একটা পরিপুর্ন রুপ দেওয়া হয়েছে এ মুভিতে। E.T.: The Extra-terrestrial (1982) কিশোর মনের সপ্ললোকে ঘোরাঘুরি করা হয়েছে এখানে।

Raiders of the Lost Ark (1981) ইন্ডিয়ানা জোন্সের প্রথম মুভি। আডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য আর্দশ এটা। A.I. Artificial Intelligence রোবট। এবং উচ্চমাত্রার। তার মাঝে যা আছে মানুষের মাঝেও তাই আছে।

সে রোবটকে নিয়ে কাহিনি। প্রেম, ভালোবাসা। কিশোর উদ্দিপনা, হিংসা, বিদ্বেস সব কিছু মিলিয়ে একটা আবেগের গোলা। চলবে>>>>> এখান থেকে মুভিগূলো ডাউনলোড করতে পারবেন (টরেন্ট) এর পরের পর্বে থাকবে M. Night Shyamalan মুভি বিষয়ক আমার আরো ১০ টি পোষ্ট ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।