আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পথ দীর্ঘ !

মানুষ যখন সাম্প্রদায়িক চিন্তায় অপরকে আঘাত করে তখন তারা আর নাগরিক থাকেনা,হয়ে উঠে সাম্প্রদায়িক। তাদের কাছে দেশ বলতেও থাকেনা কোন কিছু, তাদের কাছে দেশ হয়ে উঠে হাজার মাইল বিস্তৃত সাম্প্রদায়িক উপাসনালয়। রাজনৈতিক দলগুলো "ধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা" এই বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক উপাসনাগার হিসেবে দেখতে চাচ্ছে । বিএনপি ভয়ংকর এক খেলা খেলছে কেবল ক্ষমতার জন্য, আর আওয়ামীলীগও খেলছে ক্ষমতার জন্য । সরকারের শেষ বছরে ঘটনা ঘটবে এটা আঁচ করা গিয়েছিলো।

শেষের দিকে ক্ষমতার জন্য সরকারের মত বিরোধীদলগুলোও মরিয়া হয়ে উঠেছে কিন্তু সরকার তাদের ভুল গুলো কমিয়ে আনতে পারেনি । তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্হা নিয়ে আওয়ামীলীগ চরম স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়েছে । বিএনপির প্রধান দাবি শাহবাগের আন্দোলনের ডামাডোলে মরতে বসেছে, তাই তারা শাহবাগকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে অবান্তর অবাস্তব ভাষায়। শাহবাগকে সরকার তার ধারাবাহিক ব্যর্থতার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে যেন শাহবাগ তাদের লেজুড়ে একটি অঙ্গ, বিটিভির সংবাদে তেমন করেই দেখানো হয়। সরকার ও বিরোধীদল উভয়ই শাহবাগের মর্জি মাপতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা সম্ভবত জানেও না শাহবাগ কি, এর চরিত্র কেমন, এটা কোন দিকে যাবে ? এবং বলে রাখা দরকার শাহবাগকে এরা কেউ-ই চায়না।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সরকার প্রথম দিকে শুরু করে নাই, গঠিত ট্রাইবুনালের জন্য ভবন,জনবল,যোগাযোগ,গবেষণাগার, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন সবসময়ই ছিল । ঘাটতি গুলো সরকারের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে বারবার কিন্তু একনায়ক-তান্ত্রিক অপরিপক্ক হাসিনা সরকার বারবার অন্ধ থেকেছে অজ্ঞ থেকেছে। সরকার কতটা নাজুক তার প্রমান আমরা বারবার পেয়েছি, সে পাওয়া ভয়ংকর ভাবে তীব্রভাবে প্রকাশিত হলো শেষ সপ্তাহজুড়ে। বর্তমান রাজনৈতিক ধারা সম্পূর্ণ নষ্ঠ হয়ে গেছে, হাসিনা-খালেদা-এরশাদ-জামাত এরা সবাই প্রমানিত অযোগ্য । যুদ্ধাপরাধী এজেন্ডা কোন দলীয় এজেন্ডা নয় এটা জাতীয় এজেন্ডা এর বস্তবায়ন নিশ্চয়ই হতে হবে।

বাংলাদেশের সচেতন মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দাতাদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়না, আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা আছে তারা তাদের যোগ্যতার প্রমান রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সামনের দিনগুলো খুব অসুন্দর মনে হচ্ছে, গণতন্ত্র হুমকির মুখে আছে বাংলাদেশের মানুষ হুমকির মুখে আছে। সমস্ত বাংলাদেশ জুড়ে শাহবাগের ছেলেমেয়েদের সামনে এক দীর্ঘ অমসৃণ অগ্নি পরীক্ষা, তাদের শক্তি ও যোগ্যতার প্রমান তাদের দিতে হবে। ভীতিকর কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে শর্টকার্ট রাস্তায় শাহবাগ তথা বাংলাদেশের মানুষদের সকল চাওয়া পূর্ন হবার নয়। জ্বলে-জ্বলে সোনা খাঁটি হয় আমাদের ও মাসুল দিতে হবে ।

শাহবাগ এমন এক উত্থান যার সমাপ্তি হবে সেই দিন যেদিন বাংলাদেশ হয়ে উঠবে সবার জন্য একটি দেশ ,একটি রাষ্ট্র । মানবিকতার আন্দোলন চলবেই,সততার আন্দোলন চলবেই, সাম্যের আন্দোলন চলবেই ,শাহবাগের আন্দোলন চলবেই। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।