আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামী-বাকশালী ও ইন্দুস্থানী দালালগণ বলে কিঃ মধ্যপ্রাচ্যের ৪০ লক্ষ কর্মরত বাংলাদেশীর বদলে এদেশে ডাষ্টবিনের খাওয়াও ভাল

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ মিথ্যা কথা, ইতিহাস বিকৃতি, ওয়াদা ভঙ্গ, আমানত খেয়ানত করা আওয়ামী-বাকশালী গংদের মজ্জাগত অভ্যাস। স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন আমাদের এক বিশাল প্রাপ্তি। কিন্তু দেশটি জন্মের অংকুরেই তার স্বাভাবিক অগ্রসরতাকে ধ্বংস করা হল সমাজতন্ত্র ও লুটপাটের মাধ্যমে। পাকিস্তান হতে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম মূলত অর্থনৈতিক বৈষম্যর কারণে। আমাদের লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের চেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ আরো ভাল ভাবে চলবে।

যে পাট বাংলাদেশের সোনালী আশ বলা হয় ১৯৪৭ সালের পূর্বে এই অঞ্চলে কোন পাটকল ছিল না। এ দেশের কৃষকের প্রচন্ড পরিশ্রম ও কষ্টে উৎপাদিত কাঁচা পাট প্রায় সব চলে যেত পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের বিভিন্ন পাটকলে। তারপর বৃটিশ শাসনের অবসান হলে এদেশে বহু পাটকলের পাশাপাশি, বস্ত্রকল, চিনিকল, পেপারমিল সহ ব্যাপক শিল্পায়ন ঘটে। ফলে ভারতে ৪৭ পরবর্তী অনেক সময় পর্যন্ত সেখানকার পাটকল গুলিকে পড়তে হয় বিপাকে। এখানকার কল কারখানার তথা শিল্পের ৯০% মালিক ছিল পশ্চিম পাকিস্তানীরা।

তারপরেও পৃথিবীর বৃহত্তম পাটকল আদমজী ছিল আমাদের গর্ব। স্বাধীন বাংলাদেশে এ দেশের জনগণ ভেবেছিল যে সাবেক পাকিস্তানের যে অভূতপূর্ব শিল্পার্জন ধরে রেখে আমরা আরো এগিয়ে যাব। আর অগ্রসর হওয়াতো দূর আদমজী, আহমদ বাওয়ানী জুটমিল সহ, চিনিকল, বস্ত্রকল ও পেপার মিল সমূহ সমাজতন্ত্রের আদর্শে জাতীয়করণ করে সর্বত্র লুটপাটের মহোৎসব ঘটানো হয়। ১৯৭২ গেল আসল ৭৩ এভাবে ১৯৭৪ সালে ধান সহ ফসলের বাম্পার ফলন ঘটল(সহজিয়া কড়চাঃ সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রথম আলো, ৮ই জানুয়ারী ২০০৮ইং)। কিন্তু এই বাম্পার ফলন ঘটা সত্ত্বেও ঐ বছর বড় বন্যার অযুহাতে সীমাহীন মজুদদারী ও কালোবাজারির কারণে ঘটল র্দূভিক্ষ।

যা পাকিস্তানের ২৪ বছর শাসনামলেও ঘটেনি। কমপক্ষে লক্ষাধিক মানুষ অনাহারে মারা যায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ ডাষ্টবিন হতে কুকুর ও কাকের সাথে কাড়াকাড়ি করে উচ্ছিষ্ট খেয়ে জীবন বাচিয়েছিল। অথচ ঐ সময়েই আওয়ামী-বাকশালীদের কারসাজিতে লবণের সের হয়েছিল ৮০ টাকা। শেখ মুজিব ১৯৭০ সালে বলেছিলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে চালের মণ ২০ টাকা করবেন।

অথচ তার জ্ঞাতসারেই তার দলীয় লোকেরা নগ্ন ভাবে পুলিশ-প্রশাসনের সহায়তায় খাদ্য দ্রব্য মজুদ করে র্দূভিক্ষ ঘটায়। এই যখন ৭৪ সালে পুলিশ প্রশাসন সীমাহীন ব্যার্থতার পরিচয় দিল তখন মুজিব বাধ্য হয়ে সেনা তলব করেন। দেখা গেল অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ১০০%ই আলীগের নেতা-কর্মী। এভাবে ৪০-৪৫ দিন সেনা অভিযান চালানোর পর মুজিব নিজেই তা প্রত্যাহার করে গ্রেফতারকৃতদের জেল থেকে ছেড়ে দেন। ৭১এ যুদ্ধ বিদ্ধস্ত স্বাধীন বাংলাদেশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তারা তেমন সাহায্য করেনি।

আর ভারত ছিল ১৯৬২তে চীন ও ১৯৬৫-৭১এ পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ চরম ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ। তাই ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশকে কোন প্রকার সাহায্য করাই সম্ভব ছিল না। এমনকি মুজিব কোলকাতা সমুদ্র বন্দর ৬ মাস ব্যাবহার করতে চাইলেও ভারত বলে তারা ৬ ঘন্টার জন্যও তা দিতে পারবে না। ইতিমধ্যে মুজিব বার বার চেষ্টা করছিলেন যুক্তরাষ্ট্র সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের। এক দিকে ভারতপন্থী তাজউদ্দিন গং অন্যদিকে সমাজতন্ত্রীদের জন্য মুজিব মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে সৌদির সাথে সম্পর্ক গড়তে পারছিলেন না।

একদিকে তাজউদ্দিন গংরা বলত যে তারা ৭১ সালে আমাদের বিরুদ্ধে ছিল তাই তাদের সাথে কোন সম্পর্ক নয় এবং অন্যদিকে সৌদি সহ কুয়েত-আমিরাতের দাবী ছিল গো. আযম, নিজামী সহ এ দেশীয় পাকিস্তানের দোসর যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশে প্রত্যাগমনের ও রাজনীতি করার সুবিধা দান। তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার বদলে ইসলামী দল গুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ। কিন্তু মুজিব এ বিষয়ে কোন অগ্রসর হতেতো পারেন নি উল্টো ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এক দলীয় বাকশাল গঠন করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেন। আর বাংলাদেশ ছিল চরম অনিশ্চয়তার মুখে, অর্থনীতি ছিল চরম ভাবে বিপর্যস্ত। আমাদের সত্যিকার অর্থে কোন বন্ধু ছিল না।

৮ কোটি লোকের বাংলাদেশ পরে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে যেখানে আমরা ছিলাম সীমাহীন র্দূনীতিগ্রস্থ বটম লেস বাস্কেট তথা তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ। এভাবে ঘটনা পরিক্রমায় ৭৫এ ১৫ই আগষ্ট, ৩রা এবং ৭ই নভেম্বর স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সিপাহী জনতা ক্ষমতায় বসায়। জিয়া ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে এক দলীয় বাকশালের অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েম সহ ৯০% মুসলমানের দেশের আকাংখার সংবিধান কায়েম করেন। আমাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়ন সহ চীন, সৌদি, কুয়েত সহ মধ্যপ্রাচ্যের ধনী প্রায় সকল দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তখন সৌদি, কুয়েত ও আমিরাতের বেশ কিছু শর্ত ছিল এই জামাত সহ অনেক কিছু সংশোধনের ফলে ৮ কোটি লোকের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জিয়া ঐ সমস্ত শর্ত মেনে নেন।

আজকে সৌদিতেই ২৫ লক্ষ বাংলাদেশী বৈধ ভাবে এবং অবৈধ ভাবে ৩ লক্ষ আছে। আমিরাতে ১০-১১ লক্ষ, কুয়েতে ৩ লক্ষ, বাহারাইন, ওমান, কাতার সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ৪০-৪৫ লক্ষ বাংলাদেশী কর্মরত আছে। ৭০লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশী সর্বশেষ ২০০৯-১০ অর্থবছরে যে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে তার ৭-৮ বিলিয়নই আসে মধ্যপ্রাচ্য হতে; Click This Link ঐ সময়ে যদি জিয়া সৌদি, কুয়েত ও আমিরাত সহ মধ্যপ্রাচ্য দেশ সমূহের শর্ত গুলি মেনে না নিতেন তাহলে কি আজকে প্রায় ৪৫ লক্ষ বাংলাদেশীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হত? আজকে কি বাংলাদেশ প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারত? আলীগ বাংলাদেশের উন্নয়ন ঘটাতেতো পারেই না উপরন্ত সকল ভাল অর্জন ধ্বংস করে দেয়। ১৯৭৫-৯৬ দীর্ঘ ২১ বছরে যেখানে দেশে শেয়ার কেলেংকারী তথা লুটপাট হয় নি সেখানে তারা দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই ৪০ হাজার কোটি টাকার মত লুটপাট করেছে। আবার ২০১০ সালে ১ লক্ষ কোটি টাকার মত লুটপাট করে ৩০ লক্ষ সাধারণ শেয়ার ব্যাবসায়ীদের সর্বসান্ত করেছে।

আদমজী পাটকলের মত বিশ্বের অনন্য নজির গ্রামীণ ব্যাংককে লুটপাটের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। তাই ডঃ ইউনুস শংকিত হয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিটি কর্মচারীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। এই যখন অবস্থা তখন জিয়ার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনকে কদর্য ভাষায় সমালোচনা করে আওয়ামী-বাকশালী ও ইন্দুস্থানী গংরা সেই ৪০-৪৫ লক্ষ বাংলাদেশীদের কর্মের বদলে আমাদেরকে ডাষ্টবিনের খাওয়া খেতে বলছেন; Click This Link এই পোষ্টের ১৭, ১৯ ও ২১ নং কমেন্টের অবস্থা দেখেন। এরা ১৯৭২-৭৫, ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯ হতে আজ পর্যন্ত তাদের প্রিয় আলীগের র্দূনীতি ও লুটপাটতো শিকার করেই না বরং কেউ বাংলাদেশের ভাল করলেও তার চরিত্র হনন কিভাবে করবে তার জন্য সদা সচেষ্ট থাকে। একটি মানুষ যখন সাগরে ঝড়ে পরে ভাসতে থাকে তখন সে কোন জাহাজ পেলে উদ্ধারের জন্য উতালা হয়ে যায় তখন সে দেখে না যে কে তাকে উদ্ধার করল কারণ জান বাচানোটাই ফরজ।

সৌদি, কুয়েত এরা শর্ত দিয়ে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেনি। বরং স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মজবুত করেছে। গো. আযম, নিজামী, হাসিনার বিয়াই মোশারফ রাজাকাররা চাইলেই আর বাংলাদেশকে ১২০০ মাইলের ভারত টপকে পাকিস্তান বানাতে পারবে না। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে জার্মানী পোল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের দারুণ ক্ষতি করেছিল। অথচ উল্লেখিত দেশ সমূহ আজকে জার্মান অর্থনীতির উপর প্রচন্ড নির্ভরশীল।

তার মানে কি এই দাড়ায় যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাদের অবস্থান ভুল ছিল অথবা জার্মানীর অত্যাচার সঠিক ছিল? মোটেই না বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এটাই প্রকৃতি। এমনকি ভিয়েতনাম ১৯৬৮-৭৫ মার্কিনিদের দ্বারা সীমাহীন ভাবে নির্যাতিত হলেও তারা দেদারসে মার্কিন বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন বাজার ধরে রাখার জন্য বদ্ধপরিকর। কথায় আছে ভাতদে নইলে মানচিত্র খাব! একটি দেশের অর্থনীতিই মূল চালিকা শক্তি। আজকে ১৬ কোটি লোকের বাংলাদেশে গার্মেন্টেস সহ কয়েকটি রপ্তানি দ্রব্যের পর পরই ৭০ লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশের পাঠানো রেমিটেন্স আল্লাহর অশেষ রহমতে দেশকে মোটামুটি টিকিয়ে রেখেছে। এরা আবার গলাবাজি করে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশীরা শ্রম দিয়ে আয় করে, আরে ব্যাটা এই বাংলাদেশীদের জায়গায় যদি সৌদি সহ অন্য দেশগুলো নেপাল, ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান হতে শ্রমিক নিত তখন তোরা কি করতি? তখন এই ৭-৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তগোরে কে দিত? ২০০৮ সালে নির্বাচনী প্রচারণায় আলীগ ইন্টারন্যাশনাল কানেক্টিভিটির মুখোশে ভারতকে করিডোর দেওয়ার স্বপ্নে উদগ্রীব থেকে বলেছিল যে তারা ভারত সহ নেপাল, ভুটান ও চীনকে ট্রানজিট দিয়ে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানিয়ে দিবে।

এখন চীন, নেপাল-ভুটানতো দূর উল্টো ভারতও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে তাদের জাহাজ, ট্রাক চালানোর জন্য এক পয়সা টোল দিতেও নারাজ। তারা আবার বলে যে মধ্যপ্রাচ্যের ৪০ লক্ষ বাংলাদেশী কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর বদলে ডাষ্টবিনের অখাদ্য-উচ্ছিষ্ট খেতে। এটাই হল তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির নমুনা। এদের চোখের সামনে হাসিনা ২০০০ সালে কোলকাতায় যেয়ে পর পুরুষের হাতে সিদুর পড়া এবং মূখ্যমন্ত্রীর ডাক শুনেও তাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তিই থাকে। কুলাঙ্গার অসভ্য-বর্বর, মূর্খ বলেই মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সর্বনাশ চায় এবং এ দেশকে আফ্রিকার মাদাগাস্কার, এঙ্গোলা, রুয়ান্ডার মতন বানাতে চায়।

যাদের নেত্রী শেক হাচিনা ২০০০ সালে তার পিতা ও পরিবারের হত্যার হুকুমদাতা হেনরী কিসিঞ্জারকে ঢাকায় দাওয়াত দিয়ে এনে হাসি মুখে পুরস্কার নেয় তাদের মুখে শহীদ জিয়ার বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের কর্মকান্ডকে সমালোচনা মানায় না।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।