আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিনটিনপ্রেমীদের জন্য স্পিলবার্গ-পিটার জ্যাকসনের জব্বর উপহার

স্বপ্ন দেখাটা অভ্যাস হয়ে গেছে, আকাশ-কুসুম তো বটেই যারা কমিক বই পড়েন তাদের মাঝে টিনটিন কে চেনেন না এমন লোক পাওয়া যাবে না বললেই চলে। খুব সম্ভবত সারা পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় কমিক্স বলতে টিনটিনকেই বোঝানো হয়। ঠিক কবে আমি প্রথম টিনটিন পড়ি মনে নেই, তবে এটুকু মনে আছে এক বন্ধু স্কুলে নিয়ে এসেছিল কলকাতার ‘আনন্দ প্রকাশনী’ থেকে বাংলা অনুবাদের একটা বই; দেখেই ভাল লেগে যায়। এখনও টিনটিন পড়া শুরু করলে ফিরে যাই সেইসব দিনে, হয়ে যাই টিনটিন, আশেপাশে ঘুরঘুর করতে থাকে একটা শাদা কুকুর, নাম যার নাম বাংলায় কুট্টুস, ইংরেজিতে স্নোয়ি, ফ্রেঞ্চে মিলু। সাথে মাতাল ক্যাপ্টেন হ্যাডক বা কালা প্রফেসর ক্যালকুলাস।

মনে হয় চোখের সামনেই সবাইকে দেখছি। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল স্টিভেন স্পিলবার্গ টিনটিন নিয়ে বড়পর্দায় আসছেন। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে কয়েকবার পেছায় সেটা। এবার টিনটিনপ্রেমীদের হতাশ করছেন না তিনি। আরেক ওস্তাদ পিটার জ্যাকসনকে সাথে নিয়ে বেশ জোরেসোরে মাঠে নেমেছেন।

সব কিছু ব্যাটে বলে হলে ডিসেম্বরের ২৩ তারিখে পর্দা উঠবে “দ্য অ্যাডভেঞ্চার অফ টিনটিন” এর। আগাম হিসেবে কিছু পোস্টার আর ট্রেইলার প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশন ক্যারেক্টারে কারো চেহারা বিকৃত করা হয়নি। বরং হার্জের সেই টিনটিন, মিলু, বা হ্যাডকেরই দেখা পাওয়া যাবে। আশা করি স্পিলবার্গ-পিটার জ্যাকসন জুটি একটি মাস্টারপিস উপহার দিবেন আমাদের।

অফিসিয়াল পোস্টার মুভিতে ক্যাপ্টেন হ্যাডক টিনটিন ও হ্যাডক অফিসিয়াল ট্রেইলার: বোনাস: টিনটিনট্রিভিয়া * হাস্যকর শোনালেও ফ্রেঞ্চে টিনটিন নামের উচ্চারণ ত্যাঁত্যাঁ। * বেলজিয়ান কার্টুনিস্ট জর্জ রেমি ১৯২৯ সাল থেকে এর্জে (বাংলায় হার্জে নামে পরিচিত) ছদ্মনামে এই কমিক সিরিজটি রচনা করেন। * টিনটিনের কমিকসের বই পৃথিবীর প্রায় ৮০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটিরও বেশি বই। * টিনটিন তার দুঃসাহসিক অভিযান শুরু করে সোভিয়েতে এবং তার এই রোমাঞ্চকর কাহিনী নিয়ে লেখা হয় প্রায় ২৩টি বই।

* ‘দ্য সুটিং স্টার’ ছিলো প্রথম রঙ্গিন টিনটিন বই। পুরনো সব বই ছিলো সাদাকালো। পরে সেগুলো রঙ্গিন করা হয়। * হার্জের প্রথম বান্ধবীর নাম অনুসারে টিনটিনের পোষা কুকুরটির নাম রাখা হয় ‘মিলু’। * "টিনটিন ইন কঙ্গো"র বিরুদ্ধে ওঠে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ।

এ বইতে কঙ্গোবাসির চেহারা দেখানো হয় কালো বানরের মতো আর আর তারা কথা বলে নির্বোধের মতো। * টিনটিনের ৭৫তম জন্মদিন পালন করার জন্য ২০০৪ সালে বেলজিয়ামে রূপার ১০ ইউরো স্মারক মুদ্রা তৈরি করা হয়। * হার্জে ১৯৮৩ সালে "টিনটিন ও আলফ-আর্ট" অসমাপ্ত রেখেই মারা যান। তার ইচ্ছানুযায়ী মৃত্যুর পর টিনটিনের প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়া হয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।