আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইন্টারনেটে শিশুদের যৌননির্যাতন



কপি পেষ্ট(মূল- শাহ আলম বাদশাহ) ইন্টারনেট প্রযুক্তি হলো বর্তমান বিশ্বের সবচে‘ দ্রুততম ও অত্যাধুনিক একটি যোগাযোগ মাধ্যম। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার সবকিছুই এখন ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হয়েছে এবং হচ্ছে। আজ তাই এমন কোনো বিষয় নেই, যা ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যায়না। পুঁজিবিকাশের ধারায় বর্তমানে পাশ্চাত্যপন্থী বিকৃত মন-মানসিকতাসম্পন্ন একশ্রেণীর মানুষ অভিনব পদ্ধতিতে নারীকেও জঘন্যতম ব্যবসায়িক ভোগ্যপণ্যে অর্থ্যাৎ যৌনযন্ত্রেই পরিণত করেছে। নারীদেহ, নারীর রূপ-সৌন্দর্য, যৌনাঙ্গসমূহ, পোশাক-আশাক তথা নারীর সামগ্রিক যৌনতাকে উপজীব্য করে অকথ্য, বিকৃত ও কুরুচিপূর্ণ যৌনব্যবসায় ইন্টারনেটের হাজারো ওয়েবসাইটে এখন প্রকাশ্যে দৃশ্যমান, যার আধুনিক নাম হচ্ছে ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি।

১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার সিয়াটলের ‘A Personal Touch Services’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান সর্বপ্রথম ওয়েবভিত্তিক পতিতাবৃত্তির ব্যবসায় চালু করে। ঐ বছরই আমেরিকার এরিজোনাস্থ ‘Brandy`s Babes’ কোম্পানি পতিতাবৃত্তির বিজ্ঞাপন দিয়ে আরেকটি ওয়েবপেজ চালু করে। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালের শুরুতে প্রায় ২০০টি এ জাতীয় বিজ্ঞাপন ও যৌনসেবাদানকারী ওয়েবসাইটের পাশাপশি একই বছরের মাঝামাঝিতে বেশকিছু নগ্নতাকেন্দ্রিক ওয়েবক্লাবও চালু হয়। ১৯৯৫ সালের আগস্টের এক জরিপে তাই খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল ৩৯১টি পর্ণোগ্রাফিক ওয়েবপেজ। এ সংখ্যা ১৯৯৬ ও ২০০৫সালে এসে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৬৭৬ ও ১,৩১,০০,০০০টিতে।

বর্তমানে নর-নারীর পাশাপাশি শিশুদের যৌননিপীড়নমূলক অসংখ্য ওয়েবসাইটেরও সৃষ্টি হয়েছে, যা কোনোক্রমেই গ্রহনণযোগ্য হতে পারেনা। ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশনের (আইডব্লিউএফ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, শিশুদের যৌননিপীড়নের ছবি রয়েছে- ইন্টারনেটে এমন ওয়েসাইটের সংখ্যা গতবছর বেড়েছে। ওয়েবপেজে শিশুদের যৌননির্যাতন করার ছবি রয়েছে- ২০০৬ সালে এধরনের ৩১ হাজারেরও বেশি অভিযোগ আসে আইডব্লিউএফ এর কাছে। ২০০৫ সালের তুলনায় এটা ৩৪% বেশি। ফলে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে আইডব্লিউএফ তিনহাজার ওয়েবসাইটের ১০ হাজারেরও বেশি পাতায় শিশুদের যৌননির্যাতনমূলক উপাদান খুঁজে পায়।

সংগঠনটি জানায়, অভিযুক্ত তিনহাজার ওয়েবসাইটে যৌননিপীড়নের উপাদানের ছড়াছড়ি রয়েছে এবং ১২বছরের নিচের শিশুদের ছবিই এসব ওয়েবসাইটে বেশি স্থান পেয়েছে। এ হার শতকরা ৯১ ভাগ। এসব ওয়েবসাইটের মধ্যে সাড়ে দশ শতাংশই ছবি আদান-প্রদানের ওয়েবপেজ। আইডব্লিউএফ এর প্রধান নির্বাহী পিটার রবিন্স জানান, প্রায় একহাজার বাণিজ্যিক শিশু নির্যাতনের ওয়েবসাইট পাওয়া গেছে, যারা মূলত মেয়ে শিশুদের ধর্ষণের ছবি বিক্রি করে। এ ধরনের ওয়েবসাইটের নির্মাতারা চিহ্নিত হয়ে পড়া থেকে বাঁচতে প্রযুক্তিরও আশ্রয় নিচ্ছেন।

এমনকি কয়েকটি বাণিজ্যিক শিশুনিপীড়নের ওয়েবসাইট চালাচ্ছে সংঘবদ্ধ অপরাধীরাই। তারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন সার্ভারে ছবি ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখছে এবং কোনো কম্পিউটারে তা নামানো হলেই কেবল পূর্ণ ছবিরূপে পাওয়া যাচ্ছে। ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচতে অপরাধীরা নিয়মিত সার্ভারও পাল্টাচ্ছে। ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো একটি ওয়েবসাইট চিহ্নিত করে তা বন্ধ করে দিতে যথেষ্ট সময় পাচ্ছে না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরাধীরা শিশুদের যৌননিপীড়নমূলক ছবিবিক্রির ক্ষেত্রে ছবি আদান-প্রদানের ওয়েবসাইটগুলোকেই ব্যবহার করছে।

অভিযোগ করলে এসব ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ ছবিগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলছে ঠিকই। কিন্তু অপরাধীরা আবারও এ ধরনের ছবি প্রকাশ (আপলোড) করছে। আইডবিউএফের কাছে আসা অভিযোগগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই এসেছে হটলাইনের মাধ্যমে। যুক্তরাজ্যের ওয়েবসাইটগুলোর ক্ষেত্রে আইডব্লিউএফ অভিযোগ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা বন্ধ করে দিতে সক্ষম হচ্ছে। তাই যুক্তরাজ্য থেকে শিশুদের হয়রানিমূলক ওয়েবসাইট প্রকাশ মূলত বন্ধ রয়েছে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সার্ভারগুলোই এখন অপরাধীরা ব্যবহার করে যাচ্ছে। আইডব্লিউএফ জানায়, অভিযুক্ত ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে ৫৫ শতাংশই প্রকাশ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আর ২৮ শতাংশ রাশিয়া থেকে। এ পর্ণোগ্রাফিক সাইটগুলো শিশু ও নারীসহ জনমানুষকে বিকারগ্রস্ত করে তুলছে। ফলে সমাজে ব্যভিচার, ধর্ষণ, নারী ও শিশুনির্যাতন ব্যাপকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত যৌনতার কারণে মরণব্যাধি এইডসও আজ পিছু নিচ্ছে নারী-শিশুসহ সমগ্র মানবজাতির।

পর্ণোগ্রাফি হলো আমাদের শিশু-কিশোর ও বয়ঃসন্ধিকালীন তরুণ-তরুণীদের নিকট এক ধরনের যৌনশিক্ষক। সাধারণত ১২-১৮ বছর বয়সী শিশুরাই পর্ণোগ্রাফি দেখে বেশি। নগ্ননারীদেহ বা ব্লু ফিল্ম দেখলে মানুষমাত্রই কামোত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং বিশেষত উঠতি শিশু-কিশোরদের মধ্যে পড়ছে এর মারাত্মক ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়া। কামোত্তেজক অভিজ্ঞতার কারণে এ বয়সী ছেলেমেয়েরা মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যার সম্মুখীন হতেও বাধ্য হচ্ছে। পর্ণোগ্রাফিক অভিজ্ঞতার চর্চা করতে গিয়ে আসক্তরা সমাজে সৃষ্টি করছে অস্থিতিশীলতা।

ফলে পরকিয়া প্রেম, সংসারে ভাঙ্গন ও অশান্তিসৃষ্টি বিশেষতঃ শিশুধর্ষণ, নারীধর্ষণ, নারীনির্যাতন এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত তালাকের সংখ্যাও দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। পর্ণোগ্রাফিতে আক্রান্ত শিশুরা রুগ্ন-মানসিকতাসম্পন্ন হওয়ায় বড়দের সাথে তাদের সম্পর্কও ঘনিষ্ট করতে পারছে না এবং তাদের পারস্পারিক দূরত্ব কেবলই বাড়ছে। ফলে তারা বড়দের এড়িয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছে। পিতামাতার অজান্তেই আজকাল শিশুরা দিনরাত যখন খুশি সাঁতার কাটতে পারছে ইন্টারনেটের পর্ণোসমুদ্রে। পর্ণোছবি বয়স ও লিঙ্গনির্বিশেষে সবারই ক্ষতি করলেও বিশেষতঃ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোমলমতি শিশুদের যে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক সর্বনাশ ডেকে আনছে, তা অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী এবং অপূরণীয়।

A Journal of American Media Association-এ প্রকাশিত ২০০১ সালের এক জরিপ মতে, পূর্ববর্তী ১২ মাসে নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী শিশু-কিশোরদের ১৯% কোনো না কোনোভাবেই যৌনাবেদনের (Sexual Solicitation) মুখোমুখি হয়েছে। ফলে ইন্টারনেট মাধ্যমটি উভয়সংকটে ফেলেছে সচেতন অভিভাবকদের। ইন্টারনেট একদিকে শিশু-কিশোরদের দিচ্ছে জ্ঞানের অবারিত দরজা অন্যদিকে এর ঘাড়ে সওয়ার হয়েই আসছে হাজার হাজার পর্ণোগ্রাফিক ওয়েবসাইটের মতো সমাজ ও নৈতিকতা বিধ্বংসী দানব। শিশুরা জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার পাশাপাশি লোভনীয় ও চিত্তাকর্ষক শিকারী এ পর্ণোসাইটের ফাঁদে পড়ে চারিত্রিক অবক্ষয়ের দিকে দ্রুত ধাবিত হচ্ছে। World Wide Web এর সর্বাপেক্ষা লাভজনক ব্যবসায়ের অন্যতম হচ্ছে পর্ণোগ্রাফি।

আর শুধু ‘চাইল্ড পর্ণোগ্রাফি’ থেকেই প্রতিবছর তিনলাখ বিলিয়ন ডলার আয় হয়ে থাকে। তাই শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, সবার জন্যই পর্ণোগ্রাফি হচ্ছে নৈতিক অবক্ষয়ের মোক্ষম হাতিয়ার। এর ফলে তৈরি হচ্ছে এমন সব ভবিষ্যৎ নাগরিক যারা নৈতিকভাবে হচ্ছে বিকৃত ও দূর্বলচরিত্রের অধিকারী। সবচে বেশি আশংকার ব্যাপার হচ্ছে-যেসব শিশু ইন্টারনেট ব্যবহার করছে জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার আশায়, এদের বিরাট একটি অংশ পর্ণোর ফাঁদে পড়ে হয়ে যাচ্ছে বিকৃত রুচিসম্পন্ন ও সমাজবিরোধী। প্রযুক্তিগতভাবে শিশুনির্যাতনের জন্য এরচে বড় হাতিয়ার বোধকরি দ্বিতীয়টি আর নেই।

আবহমানকাল থেকেই আমাদের সমাজব্যবস্থা সবসময় সুকুমারবৃত্তি ও ভালো কাজের লালন করে থাকে। কিন্তু পর্ণোগ্রাফি সাইটগুলো পুরুষদের কামোত্তেজনাকে শুধু বিকৃত ও জ্বালাময়ীই করে তুলছে না, আমাদের পশুশক্তিকেও তীব্রভাবে জাগিয়ে তুলছে। ফলে সমাজে নারীজাতির সম্মান ও মর্যাদা মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে এবং ভোগের সামগ্রী হিসেবেই তারা পুরুষ কর্তৃক হচ্ছে সামগ্রিকভাবে চিহ্নিত-চিত্রিত-ব্যবহৃত। এজন্যই পাত্রদের কাছে পাত্রী হিসেবে নারীর মূল্যায়ন এখন পণ্যসামগ্রীর সমতুল্য, যৌতুক বা বিনিময় না দিলে তাদের বিবাহ হওয়াই দুস্কর। এটা নিঃসন্দেহে নারীজাতির জন্য অত্যন্ত কলঙ্কজনক।

অথচ বিশ্বের সবধর্মে ও আইনেই নারীকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার, বিক্রি ও অপব্যবহার সম্পূর্ণরুপে অনৈতিক এবং মারাত্মক শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের জন্য বাস্তবতা হলো- শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে যেমন বিচ্ছিন্ন করা যাবে না তেমনি ইন্টারনেটকে সম্পূর্ণ পর্ণোমুক্ত করাও সম্ভব নয়। অথচ শিশুদের এ আগ্রাসন থেকে বাঁচাতেই হবে। এজন্য সবার আগে মা-বাবা, অভিভাবক, শিক্ষক, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পাবলিক পলিসি মেকারদেরই সচেতন হতে হবে। অভিভাবকগণ শিশুদের দিকে কড়ানজর রাখবেন যাতে তারা জানতে পারেন, তার সন্তান কোন ধরনের সাইট খুলছে।

বাসার কম্পিউটারগুলোও রাখতে হবে জনসমাগমমূলক উম্মুক্তস্থানে যাতে শিশুদের কম্পিউটার চর্চার দৃশ্য অভিভাবকের নজরে সহজেই পড়তে পারে। অভিভাবকগণ সন্তানের অনলাইন বন্ধুদেরও চিনে রাখতে পারেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকালীন সন্তানদের পাশে থেকে তাদের যথেষ্ট সময়ও দিতে হবে। মাঝেমাঝে কম্পিউটারের অপরিচিত ফাইলগুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সন্তানকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে যেনো সে কখনো সামনাসামনি অপরিচিত কারো সামনে ওয়েব-ক্যামেরাতে না বসে। অথবা তার আসল নাম, ঠিকানা না জানায় কিংবা তার নিজের ছবিও কখনো পোষ্ট না করে।

পর্ণো-ওয়েবসাইটে সে প্রবেশ করেছে কখনো জানতে পারলেও রাগারাগী না করে বরং সমঝোতার ভিত্তিতেই কথা বলতে হবে এবং তাকে বোঝাতে হবে। আমাদের কিছু প্রযুক্তিগত ও শিক্ষাগত পদক্ষেপও নিতে হবে। সাথে সাথে আইনগত ও নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিমালাও গ্রহণ করতে হবে। প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা হিসেবে বাসা-বাড়ি, বিদ্যালয়-কলেজ বা সাইবার ক্যাফেগুলোতে ফিল্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে স্মরণ রাখতে হবে, ফিল্টার ব্যবস্থাও শতভাগ নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি নয়।

তবে ফিল্টার পর্ণোগ্রাফিক নির্মূল করতে না পারলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে। সাইবার ক্যাফেতে শিশুদের জন্য সুনির্দিষ্ট উম্মুক্তস্থানে কম্পিউটারগুলো এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে কর্তৃপক্ষ দূর থেকে প্রতিটি কম্পিউটারকেই মনিটরিং করতে পারেন। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও সাইবার ক্যাফেগুলোর জন্য সরকারিভাবে সুস্পষ্ট আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে যাতে পর্ণোসাইট প্রদর্শণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্পষ্টভাবে ঘোষিত হয়। সরকারি নীতিমালা হবে এমন যেনো ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারগুলো জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করতে বাধ্য থাকে। আশার কথা যে, সম্প্রতি পর্ণোগ্রাফির বিরুদ্ধে একটি আইন প্রণয়ন করেছে সরকার, যা শুভ লক্ষণ।

কেননা এই ধরনের অভিনব অপরাধের জন্য আমাদের দেশে কোন আইন ছিল না। এই আইনে পর্ণোগ্রাফি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, প্রচার ইত্যাদি অপরাধের কারণে ৭-১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধানসহ জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু এরপরও কথা থাকে যে, আইন দিয়ে যেমন সব কাজ হয় না, তেমনি আইনের কঠোর প্রয়োগ ছাড়া এ অপরাধ দমনও সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি নিরপেক্ষভাবে ও নির্লোভভাবে এ অপরাধদমনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়, তবে আশা করা যায় কিছুটা হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।