চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
কিছুক্ষন আগে ইসলামে বহুবিবাহ নিয়ে একটি পোষ্টে দেখলাম নাস্তিকেরা প্রচন্দ ক্ষেপা। রাগে রীতিমত কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে। ইসলাম এত খারাপ এক পুরুষকে সুযোগ দেয় একাধিকা মেয়ে বিবাহের।
নাষ্তিকদের দৃষ্টি কিন্তু ইসলামেই সীমাবদ্ধ, অন্যদিকে যায়না।
কিছু তথ্য দিলাম যাতে করে বুঝা যাবে ইসলামের বাইরের দেশ গুলাতে মেয়েদের নিয়ে কি করা হয়।
সেক্সট্যুরিজম জিনিষটা বিদ্যান নাষ্তিকদের ভালভাবেই বোঝার কথা।
পৃথিবী যে কয়টি দেশ সেক্সট্যুরিজমের জন্য বিখ্যাত তা হল, ব্রাজিল, কোষ্টারিকা, কিউবা, কেনিয়া, নেদারল্যান্ড ফিলিপাইন থাইল্যান্ড এবং ডোমানিকান রিপাবলিক।
মুসলমান দেশ একটাও নাই। নাষ্তিকদের অসন্তুষ্টির এটিও একটি বড় কারন।
শিশু বা চাইল্ড সেক্সট্যুরিজমের জন্য বিখ্যাত জায়গা হল, থাইল্যান্ড, কেম্বোডিয়া, ইন্ডিয়া, ব্রাজিল এবং মেক্সিকো।
ইন্ডিয়াতে বোধহয় আমাদের দেশ থেকে নারী পাচার হয়।
আমেরিকার Utahতে ৪০,০০০ মানুষ একাধিক বিয়ে করেন, যা কিনা জনসংখ্যার ২%।
সবচাইতে বেশি আলোচিত শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন চার্চের লোকজনেররা, যারা কিনা একাধিক ত দুরের কথা সারা জীবন কুমারত্ব গ্রহনের মহান কাজে ব্রত।
সবচাইতে বেশি শিশুরা যৌন নির্যাতনের সম্মুখীন হয় দক্ষিন আফ্রিকাতে।
আমেরিকা এবং ইউরোপের চিত্রও ভয়াবহ।
বৃটেনে 8% ছেলে এবং12% মেয়ে এবং আমেরিকাতে17% ছেলে 28%মেয়ে যৌন নির্যাতনের সম্মুখীন হয়। ২০০৫সালে 83,600 যৌন নির্যাতনের রিপোর্ট লিপিবদ্ধ হয়।
0.2% মেয়েরা নিজের বাপ আর 3.7% মেয়ের সত বাপের সাথে যৌন মেলামেশা করে।
9.6%শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের কাছে যৌনভাবে নির্যাতনের সম্মুখীন হয়।
ইন্ডিয়াতে চিত্রটি আরো ভয়াবহ।
53.22% শিশুরা যৌনভাবে নির্যাতনের সম্মুখীন হয়।
200,000 নেপালি মেয়েকে যাদের বয়স কিনা ১৪র নীচে যৌনদাসী হিসাবে বিক্রি করে দেয়া হয় ইন্ডিয়াতে। ভারতে হালকা চামড়ার নেপালী কুমারিদের কদর অত্যন্ত বেশি।
যে দেশগুলোতে মেয়েদের যৌন কাজের জন্য মেয়েদের পাচারের ঘটনা সবচাইতে বেশি ঘটে তা হল জাপান, জার্মান, ইউরোপের অন্যান্য দেশ।
ফিলিপাইন আর থাইল্যান্ড থেকে অসংখ্য মেয়ে পাচার হয় জাপানে।
পূর্ব ইউরোপ থেকে পাচার হয় পশ্চিম ইউরোপে।
এখন নাস্তিকদের কাছে আমার প্রশ্ন উন্নত বিশ্বের উন্নত লাগামহীন জীবন যাপনের গুনগ্রাহী হয়ে কিভাবে উনারা এসব অন্যায় নিরবে হজম করে ফেলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।