আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গল্প: "বাজি"

"আমারে ফিরায়ে লহো অয়ি বসুন্ধরে, কোলের সন্তানে তব কোলের ভিতরে"-শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচা ফেরীঘাটের একটি ফেরীর তিনতলায় দাড়িয়ে দূরের সাদা ধবধবে বালুচরটার দিকে তাকিয়ে ভাবনার নদীতে হাবুডুবু খাচ্ছিল অরণ্য। তৃতীয় সিগারেট টা হাতে জ্বলছে। দমকা হাওয়ায় চুলগুলো এপাশ থেকে ওপাশে উড়ছে। এমন বাতাসে সিগারেট টানতে কষ্ট হয়। কিন্তু এই সময়ে সিগারেট হাতে থাকলে নিজেকে ভাবুক ভাবুক মনে হয়।

নিজেকে ভাবুক ভাবাটা অরন্যের জন্য অন্যায় কিছু না। পাঁচফিট ছয় ইঞ্চি লম্বা ছিপছাপ বিশ বছর বয়েসী ধবল দেহের ছেলেটা, যার লম্বা চুল কালো শার্ট আর চোখের কালো সানগ্লাস অন্যরকম একটা বিশেষত্য এনে দিয়েছে। তিনতলায় আসা প্রায় প্রতিটি মেয়েরই নজর ছেলেটার দিকে আর ছেলেটার নজর অসীমে। একটা অনুভূতি কাজ করছে। সিগারেটের প্রতিটা টানের সাথে নিজেকে আরও হালকা ফিল করছে সে।

এক কেস হেনিকেন বিয়ার ছিল খাটের নিচে। সকালে সর্বশেষ ক্যানদুইটি সাবার করে গাড়িতে উঠে। অরন্যের এহেন কার্যক্রমের পেছনে একটা কারন অবশ্য ছিল। অনেকটা নাটকীয়। স্নিগ্ধার সাথে অরন্যের প্রেম ছিল প্রায় এক বছরের।

এলাকায় হঠাৎই তাদের ব্যপারটা রটে যায়। স্নিগ্ধার বাবা জানতে পেরে স্নিগ্ধাকে অন্য এক ছেলের সাথে বিয়ে দেয়। স্নিগ্ধাও বিয়েতে কোন আপত্তি করেনি। আর অরন্যের ক্ষোভটা সেখানেই ছিল। একমাস আগেও যে অরন্য সিগারেটের ধুয়া সহ্য করতে পারত না সে আজ বিবিধ নেশায় আসক্ত! সিগারেটের ফিল্টারটা কৌশলে দুই আঙ্গুলে টোকা দিয়ে পানিতে ছুঁড়ে ফেলে।

খানিকটা দূরেই অপর প্রান্তের ফেরীঘাট। নীচে গাড়িতে ওর বাবা মা আর ভাইবোনেরা। সপরিবারে ঢাকায় থাকে অরণ্যরা। সবাই একসাথে তার এক কাজিনের বিয়েতে ঝিনাইদাহে রওনা দিয়েছে। অরন্য আসতে চায়নি প্রথমে।

কারন পড়ালেখার পাশাপাশি তাকে বাবার ব্যাবসার একটি সাইটও দেখতে হয়, মেন্টাল ডিপ্রেশনও আরেকটি কারণ ছিল। অনেকটা জোড়াজোড়ি করেই তাকে আনা হয়েছে। ঝিনাইদাহের কালিগন্জে অরন্যের ফুপ্পিদের বাড়ির সামনে বিয়ের গেট সাজানো হয়েছে। মেঝ ফুপাত ভাইয়ের বিয়ে। ফুপা মারা গেছে প্রায় দশ বছর।

তিনি মুন্সিগন্জের লোক হলেও ব্যাবসার জন্য ঝিনাইদাহে থাকতেন। পরবর্তীতে এখানেই বাড়ি করে ফ্যামিলি নিয়ে থাকা শুরু করেন। শেষ বিকেলে অরন্যদের গাড়ি বিয়ের গেটের সামনে এসে থামে। গাড়ি থেকে নামতেই অরণ্যকে এসে জড়িয়ে ধরে তার কাজিন রবিন। রবিনরা বগুড়ায় থাকে।

ওরাও বিয়ে বাড়িতে এসেছে দুপুরের দিকে। রবিন বয়সে অরন্যের থেকে বড় হলেও দুজন অনেক ফ্রি। রবিন ঢাকায় দুবছর অরন্যদের সাথে থেকে পড়ালেখা করেছে। এখন সে বগুরাতেই একটি ব্যাবসা শুরু করেছে। সামনে তাকায় অরণ্য, বাড়িটা আগের মত নেই।

যখন সে দশ বছরের বালক ছিল তখন ফুপার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে দাদা দাদির সাথে এই বাড়িতে এসেছিল। প্রায় দুই সপ্তাহ ছিল এখানে। সারাদিন ঘুরে বেড়িয়েছে এই বাড়ি থেকে ঐবাড়ি। মাঝে মাঝে দেখত ফুপার শোকে ফুপ্পি বার বার মূর্ছা যায়। সারাদিন ঘুরে রাতে যখন পা ব্যাথা করত তখন দাদিকে বলত পা টিপে দিতে।

সেই দাদিও আজ আর নেই। অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। অনেক কিছু বদলে গেছে। একতলা পাকা দালানটা এখন দুইতলা করা হয়েছে। বাড়ির সামনে পাকা বাউন্ডারি করা হয়েছে।

পেয়ারা গাছ আর বারোমাসি আমের গাছটাও কেটে ফেলা হয়েছে। একে একে সবাই বাড়ির ভিতরে ঢোকে। কাধেঁর ব্যাগটা নিয়ে অরণ্য আর রবিন পা বাড়ায়। সদর দড়জা পার হয়ে ভিতরে ঢুকতেই একজোড়া গভীর কালো আর গোলাকার নয়নে নয়ন ভেরে অরণ্যের। চতুর্দশী ছিমছাম , শুভ্র বর্নের , বাড়ন্ত একটি মেয়ে।

উচ্ছল দুটি চোখ তার স্থির থাকতে চাইছে না। পড়নে লাল জামা, ঠোটে গোলাপ রাঙা লিপস্টিক, হাতে লালচুড়ি আর কপালে লাল একটি ছোট লাল টিপ ম্যাচ করে পড়েছে। দারুন লাগছে দেখতে এই চতুর্দশীকে। শহরের এত দূরে যে একটি মায়ে এতখানি স্ট্যান্ডার্ড এতটা শালীনতার মাঝে বজায় রাখতে পারে তা ছিল অরন্যের ধারনাতীত। তাকিয়ে থাকে অরণ্য।

মেয়েটি চোখ সরিয়ে নিয়ে লজ্জায় লাল হয়ে যায়। দ্রুত বাড়ির দিকে পালিয়ে যায়। বিয়ে বাড়িতে কি যেন এক অজানা কারনে মানুষের মন ভালো হয়ে যায়। চারিদিকে আনন্দ উল্লাস হৈ হুল্লর সবমিলিয়ে অন্যরকম একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অরণ্যের মনটাও ভালো লাগছিল।

কিছুক্ষন পরেই গায়ে হলুদ শুরু হবে। ঐ মেয়েটাকে দেখার পরে অরণ্যের কেমন যেন একটা ভালোলাগা শুরু হয়েছে। মেয়েটার চোখে অনেক মায়া। ফ্রেস হয়ে রবিনকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে আসে অরণ্য, এই রবিন ভাইয়া, আসার সময় যে মেয়েটি দেখলাম ঐটা কে? কেন? তোর পছন্দ হয়েছে? আরে কি যে বল। দেখে ভাল লাগল তাই তোমাকে বলললাম।

তুমি কিছু জান? আমিওত আজই এলাম, আমারও মেয়েটাকে ভালোই লাগে, খুব সুন্দর তাই না? তোমার আবার কি হইল? কিছু না। তোরও ভালো লাগে আমারও ভালো লাগে। এই মেয়েকে তোমার ভালো লাগে? তাহলে তো ওর সাথে আমারই প্রেম করতে হয়। (অনেকটা দুষ্টামি করে) এই মেয়ে চুপচাপ থাকে তুই পারবি না। কি বল এইগুলা, তুমি আমার সাথে থেকে এই জানলা? তোমার সাথে বাজি হয়ে যাক যে, আমি আর দুইদিন আছি আর এর মধ্যেই মেয়েটা আমার প্রেমে পড়বে।

ওকে দেখি কে মেয়েটাকে আগে পটাতে পারে। আমি এগ্রি ভাই, কিন্তু বাজিতে হারলে কিন্তু তোমাকে চরম মাশুল গুতে হবে। এখন নাও একটা সিগারেট ধরাও। (সিগার বক্স বের করে দেয় অরন্য) তুই সিগারেট ধরলি কবে? ও বুঝছি ঐ কাহিনী এতখানি? ধুর বাদ দাও এগুলা। এখন বল ঐ মেয়েটার সম্বন্ধে কি কি জানলা? ও, মেয়েটা খালামনিদের প্রতিবেশী, নাম তিথী, ওর বাবা একজন ডাক্তার, ও এবার ক্লাস এইটে আছে।

রবিন ভাই তুমি জানো বিয়ে বাড়িতে মেয়েদের কি জানি একটা হয়। আমার মতে তখন মেয়েরা ৯০% প্রেমে পড়ে। তখন তাদের সবকিছু কেমন জানি রঙিন মনে হয়। আর আমি আজ এই সুযোগটাই কাজে লাগাব। সন্ধার পরে গায়ে হলুদে লোক আসা শুরু হয়েছে।

তিনতলার ছাদে স্টেজ করা হয়েছে। দোতলায় বড় কাজিনের বউ লিনা ভাবি খোপায় দেয়ার জন্য ফুল এনে রেখেছে। অরণ্য সেখান থেকে একটা ফুল হাতে নিয়ে ছাদে চলে আসে। ছাদ পুরাই ফাঁকা, শুধু বরকে বসানোর জন্য স্টেজ সাজানো আছে। স্টেজের উপর শুয়ে গোলাপের পাপড়ি ছিড়ছিলো অরণ্য।

এমন সময় তিথী এসে পাশে দাড়িয়ে অরণ্যকে বললো, আমরা এত কষ্ট করে স্টেজ সাজালাম আপনি সেটা নষ্ট করতেছেন? আশে পাশে তাকিয়ে অরন্য হলুদের শাড়ি পড়া তিথীকে ছাড়া কাউকে দেখলো না। আপনি এখানে কেন এসেছেন? আমরা কষ্ট করে স্টেজ সাজালাম আর আমরা দেখতে আসব না? ও, ভুল হয়ে গেছে, আপনার নাম তিথী, ঠিক না? অন্যের মুখে নিজের নাম শুনে লজ্জা পায় তিথী। অরণ্যের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে নেয়। অরণ্য বলতে থাকে, তিথী, তুমি যে দেখতে অনেক কিউট সেটা কি তুমি জানো? তুমি দেখতে পূর্নিমা তিথীর ভরা চাঁদের মত, চোখের চাহনি তোমার অনেক তিক্ষ্ম। আর তুমি হাসলে মনে হয় দীর্ঘ বিরতীর পরে সূর্য হাসল।

তুমি কি এগুলা জান? শুনে তিথী নীচ দিকে তাকিয়ে লজ্জিত হয়ে নতজানু রইল। কমবয়সী মেয়েরা প্রশংশা শুনলে যা করে আর কি। দুই হাতের নখ নিয়ে নাড়া চাড়া শুরু করলো। অরন্য বুঝতে পারল হাতের ফুলটা অফার করার এটাই মোক্ষম সময়। তিথীর দিকে ফুলটা বাড়িয়ে দেয়।

এমনি সময় অরণ্যের সেজ ফুপি ছাদে চলে আসে। অরণ্য হতবম্ভ হয়ে তিথীকে বললো, ফুলটা স্টেজে সাজিয়ে দিন, বাম পাশে একটা রোজ মিসিং দেখা যাচ্ছে। তিথী ফুলটা নিয়ে মুখচাপা হাসি দিয়ে স্টেজের বামদিকে চলে যায়। ফুপি চলে গেলে তিথী ফুলটা তার হাতে নিয়ে সিঁড়ির দিকে যাওয়ার সময় পিছন ফিরে অরন্যের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে নিচে নেমে যায়। অরণ্যের বুঝতে বাকি থাকে না যে তার মিশন ঠিকভাবেই আগাচ্ছে।

গাঁয়ে হলুদের সময় বরের পাশেই তিথী বসা ছিল। সেই সুযোগে অরণ্য অনেকগুলো ছবি তুলে নেয় ওর। বরের গাঁয়ে হলুদ দিয়ে অরন্য তিথীর মুখে হলুদ মেখে দেয়। তিথীর ভিতরের প্রেমবোধ ততক্ষনে অনেকটা জেগে উঠেছে। পুরটা সময় তিথী অরণ্যের দিকে তাকিয়েছিলো আর শুধু হেসেছে।

রাতে ডিসিশান হলো অরন্য আর রবিন ছাদে স্টেজে ঘুমাবে। নীচে থেকে তিথী বালিশ নিয়ে এল। বালিশ দিয়ে যাওয়ার সময় অরন্য তিথীর হাত ধরে ফেললো। দুই তিনবার হাত মোড়ামোড়ি দিয়ে তিথী নিথর দাড়িয়ে রইল। অরন্য হাতটা ছেড়ে দিয়ে হাসতে থেকে আর তিথীর চলে যাওয়া দেখে।

রবিন ভাই বাজিতে হারার লক্ষন দেখে আরো শক্ত শর্ত জুড়ে দেয়। তিথীর মুখ থেকে ভালবাসি শব্দটা যদি তার সামনে বের করতে পারে তবেই অরণ্য শর্তজয়ী হবে। পরদিন দুপুরে সবাই যখন মেয়েবাড়ি যাবার প্রস্তুত তখন তিথীকে দেখতে পায় রাতুল। বিয়ে বাড়িতে যখন গেট ধরার ভিড় তখন অরণ্য আবার তিথীর পাশ দিয়ে দাড়িয়ে তিথীর হাত চেপে ধরে। তিথী কাঁপছে বুঝতে পারে হাতটা ছেরে দেয়।

এবার তিথী অরণ্যের কনিষ্ঠ আঙ্গুলটা ধরে ফেলে। অরণ্য অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। নতুন বউ নিয়ে আসা হলো বাড়িতে। সকল আনন্দের মাঝে তিথী ভালোবাসা নামের একটি শব্দে আনণ্দ খুঁজেছিল। কিশোরী মনে প্রেমের প্রথম শিহরণ তিথীর মাঝে বসন্ত হয়ে এসেছিল।

পরেরদিন সকালে অরণ্য তিথীকে খুঁজতে থাকে। আজ অরণ্যের শেষ দিন। বাবা আরো দুইদিন এখানে থাকবে তাই অরণ্যকে চলে যেতে হবে ব্যাবসা দেখতে। তিথী নতুন বউয়ের সাথে পার্লারে গেছে জানতে পেরে রবিনকে নিয়ে পার্লারের দিকে যায় ও। দুতলায় পার্লারের সামনে লম্বা স্কুলঘরের বারান্দার মত একটা বারান্দা।

অরণ্য ভিতর থেকে তিথীকে বাইরে ডেকে আনে। অতপর তাকিয়ে থাকে। চার হাত পিছনেই রবিন দাড়িয়ে আছে। অরণ্য সিগার বক্স থেকে একটি সিগারেট ঠোটের আগায় নিয়ে লাইটার বের করতে পকেটে হাত দেয়। তিথী অরণ্যের ঠোট থেকে সিগারেট টা নিয়ে নিচে ফেলে দেয়, আপনি এত সিগারেট খান কেন? তুমি করে বলো।

না, আগে বলেন আর সিগারেট খাবেন না। আমি আর সাড়ে তিন ঘন্টা পরে এখান থেকে চলে যাব। মানে?আপনি আজই চলে যাবেন? যাওয়ার আগে তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি শব্দটা শুনতে চাই, এখানে বলব? তোমার ইচ্ছে। চাইলে নাও বলতে পার। আমি আপনাকে ভালোবাসি, না, বলো আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমি তোমাকে ভালবাসি, হয়েছে? শোন তিথী, আমি আজ চলে যাব, দশ বছর পর এসেছি আবার ঠিক সাত বছর পরে আমি এখানে আসব, আমার পড়ালেখার জন্য বাইরে ভিসা হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই।

তুমি যদি আমাকে সত্যিকারি ভালবাস তবে অপেক্ষা করতে পার আর যদি চাও নাও করতে পারো, আমার কোন অভিযোগ থাকবে না। তিথী নীরব দাড়িয়ে আছে। অরণ্য মেঝেতে কিছু অশ্রুফোটা পরতে দেখে দুহাতে তিথীর মুখটা উপরের দিকে তুলে ধরে, তিথী অরণ্যের বুকে জাপটে ধরে। তিথীর চোখের কাজল আর অশ্রু একাকার হয়ে অরণ্যের সাদা শার্টটা ভিজিয়ে দেয়। চক্ষুলজ্জা দমন করে মেয়েটা কিভাবে একটা শহুরে ছেলেকে ধরে আছে তাই দেখছিলো সবাই কৌতুহল নিয়ে।

তিথীকে বুকে ধরে রবিনের দিকে তাকিয়ে জয়ী বীরের মত হাসি হাসলো অরণ্য। বৌভাত অনুষ্ঠানের মাঝেই অরণ্যকে বিদায় নিতে হলো, যাওয়ার পথে রবিন অরণ্যের হাতে একটি সাদা কাগজ ধরিয়ে বললো মেয়েটাকে ঠকানো তোর উচিৎ হয়নি, মেয়েটা এখনও কাঁদছে। তোর সামনে আসতে পারবে না, তাই আমাকে দিয়েই পাঠালো। ভুল আমরা করেছি মেয়েটা কেন কাঁদবে? তোর উচিৎ ছিল সব খুলে বলা। অরণ্য নীরব চলতে থাকে।

কাগজটা পকেটে রেখে দেয়। আরিচা ঘাটে এসে ফেরীর সম্মুখ প্রান্তে দাড়িয়ে কাগজটা বের করে, একটা ফোন নাম্বার, নিচে লেখা অপেক্ষায় থাকব। কাগজটা নৌকা বানিয়ে পদ্মার বুকে ভাসিয়ে দেয় অরণ্য। দেখতে দেখতে নৌকাটি হারিয়ে যায়। হারিয়ে যায় ছোট একটি প্রেমের ইতিহাস।

একমাস পরে ভিসা পেয়ে অরণ্য চলে যায় ইংল্যান্ডের একটি সরকারী ইউনিভার্সিটিতে, ফেলে যায় অনেক স্মৃতি অনেক আবেগ। সেই ভুলে যাওয়া স্মৃতির মাঝে এটিও ছিল একটি। আজ সেই স্মৃতি তাকে অনেক অনেক কষ্ট দিচ্ছে। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে, তিথী, আজ আমি নিজের কাছেই প্রতারক। জানি তোমার ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য আমি না।

তবুও পারলে ক্ষমা করে দিও এই আমাকে। আজ থেকে দশটি বছর পরে, দেখা হবে তোমার সাথে..। গান কৃতজ্ঞতা: ব্লগার রাজসোহান
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.