আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাচ বাংলা ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলেঃ "সিগনেচার কেন বদলাবেন বাবা ! এটা আন এথিক্যাল"


আমি ডাচ বাংলা ব্যাঙ্কের অনেক পুরাতন গ্রাহক। কার্ড হাতে পাবার পর কখোনো টাকা তুলতে চেক বই ব্যবহার করতাম না। এমনকি ৫০,০০০ টাকা ও আমি এক দিনে তুলেছি বেশ কয়েকবার। ২/৩ বছর পর বড় অঙ্কের একটা টাকার চেক ভাংগাতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়লাম। এক কর্মকর্তা বলছে আমার স্বাক্ষর মিলছে না।

ছবি আর ইনফরমেশন সবই মিলছে। মহিলা কর্মকর্তা, সুতরাং এইটারে যত ভাবে সম্ভব প্যাচানোর চেষ্টা করল। শেষ পর্যন্ত চেক ম্যানেজারের কাছে পাঠাল সাথে আমাকে ও। ম্যানেজার অনেক দরকষাকষি শেষে সেটা আমার একাউন্ট সেটা ও বেশ কয়েকবার নিশ্চিত হবার পর ছাড় দিলেন। ঘটনা হচ্ছে স্বাক্ষরটা গত কয়েক বছরে এত বেশি বার ব্যবহার করতে হয়েছে যে, সেটা তার পূর্বের চেহারা হারিয়েছে।

আমি নিজে ও ব্যপারটায় বেশ অবাক। এর পরের তিন বছরে আমি সেটা আমার শেয়ারের লিঙ্কিং একাউন্ট এবং অফিসের স্যালারি একাউন্ট হিসাবে ও ব্যাবহার করছি। কয়েকমাস আগে কার্ডের একটা ডিস্পেন্স সমস্যায় মিরপুরের ব্রাঞ্চে গেলাম, সেখানকার কর্মকর্তা ও স্বাক্ষরের ব্যাপারটায় আপত্তি তুললে ও সেটার সফট কপি দেখিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিল। আমি নিজে ও আমার স্বাক্ষর চিনতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত ভাবলাম এইবার এলিফ্যান্ট রোডের ব্রাঞ্চে গিয়ে স্বাক্ষরটা বদলিয়ে নিই।

আসলে সময়ের অভাবে কাজটা আটকে ছিল। যাবার পর তারা ম্যানেজারের সাথে দেখা করতে বলল। যারা এলিফ্যান্ট রোডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে চিনেন তারা ভালো করে বলতে পারবেন, উনি সবাইকে বাবা বাবা করে কথা বলেন। গেলাম তার রুমে। তিনি পুরা ব্যাপারটা শুনে বললেনঃ "সিগনেচার কেন বদলাবেন বাবা ! এটা আন এথিক্যাল" তাকে অনেক বলে কয়ে ও রাজি করাতে পারলাম না।

বার বার বললাম যে এটা আমার স্যালারি একাউন্ট জনাব। তার ও সাফ কথা এই একাউন্ট বন্ধ করে নতুন একাউন্ট করেন, এটা আন এথিক্যাল। আনএথিক্স তোর পশ্চাতদ্দেশ দিয়া দিব হারামির বাচ্চা। শালা শুওরের বাচ্চারা কত এথিক্স বুঝে। তাদের পাছায় এখন তেল হইছে, লক্ষ লক্ষ গ্রাহক হইছে।

আমার মত দুই চার দশটা গ্রাহক চলে গেলে ও কিচ্ছু আসে যায় না। অথচ বুথ নষ্ট থেকে শুরু করে টাকা থাকে না' এই রকম অভিযোগ প্রায় সব গ্রাহকের। চিন্তা করতেছি আমার কার্ডটা যদি নষ্ট হয় বা হারিয়ে যায় তখন কি করব! শালার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কি উপায় আছে ? সে নাকি আবার ব্যাঙ্কের এভিপি। কি করা যায় একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া ছাড়া।
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।