আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরি একটু দুষ্ট তো

মুক্ত মন....সারাক্ষণ

ঈদের শপিং করতে বউ আর ছেলেকে নিয়ে গেলাম মার্কেটে। দুজনই আমাকে মহা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিল। কেউ একজন একটা থ্রি-পিছ কিংবা শাড়ি নেড়ে ছেড়ে দেখছেন- বউ তার হাত থেকে একপ্রকার সেটা কেড়ে নিয়ে নাকি-সুরে বলে উঠল, আঁমি এঁটা দেখবো, আঁমি এঁটা দেখবো। এঁটা আমার খুঁব পঁছন্দ হইছে। "এটা তো আরেকজন দেখছে, তুমি অন্যটা দেখো।

" ফিস ফিস করে বললাম আমি। " নাঁ আঁমি এটাই দেখাবো, এঁটা অঁনেক সুঁন্দর। " আমি বউর হাত ধরে টেনে অন্য দিকে নিয়ে যাই। এবার আসি ছেলের কথায়। তাকে নিয়ে যে দোকানেই ঢুকি আমার কোল থেকে ঝাঁপ দিয়ে সে সেলস্ গার্লদের কোলে চলে যায় আর আম্মু আম্মু বলে অনবরত তাদের মেক-আপ করা দু'গালে চুমু খেতে শুরু করে দেয়।

"সরি একটু দুষ্ট তো" বলে ছেলেকে কোলে টেনে নিয়ে অন্য দোকানে যাই আমি। একটি দোকানের ট্রায়াল রুমের দরজায় মডেল, অভিনেত্রী জয়া আহসানের শাড়ি পরহিত বিশাল এক ছবি সাঁটানো। আমি আর ছেলে দুজনই জয়া আহসানের ছবির দিকে তাকিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছি। খানিক বাদে ছেলে কোল থেকে নামার জন্য উস-খুস করতে লাগলো। আমি বিরক্ত হয়ে দিলাম তাকে নামিয়ে।

সে আম্মু আম্মু বলতে বলতে দৌড়ে গিয়ে টসা টস জয়া আহসানের ছবিতে একের পর এক চুমু খেতে লাগল। ছেলের মা একটু দূর থেকে দৌড়ে এসে আমাকে ধমকাতে লাগল- এসব কি হচেছ? হচ্ছে কি এসব? "ছেলে জয়া আহসানকে আম্মু ডেকে চুমু খাচ্ছে। " "কি খাচ্ছে?" "চুমু খাচ্ছে?" "তোমরা বাপ-বেটা দুটাই বদমাস!" বলে ছেলেকে জোড় করে কোলে তুলে নিয়ে গদ গদ করতে করতে ছেলের মা অন্য দিকে চলে গেল। আশপাশের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে। যেন সার্কাস দেখছে।

দারুণ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেলাম আমি! দারুণ বিব্রতকর অবস্থায়!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।