আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিন লাদেনের উত্থান পতন

আমি এক ভবঘুরে; ঘুরি এ জগত জুড়ে

ওসামা বিন লাদেনের জন্ম ১৯৫৭ সালে৻ সৌদি আরবে একটি বিত্তশালী ঠিকাদার পরিবারে তিনি বেড়ে উঠেছেন৻ ওসামা বিন লাদেন তার পিতা মোহাম্মদ বিন লাদেনের ৫২ জন ছেলেমেয়ের মধ্যে ১৭তম৻ পিতার মৃত্যুর পরই তিনি ব্যবসার হাল ধরেন৻ সৌদি আরবের ৮০ শতাংশ রাস্তাঘাট তার পিতার কোম্পানি তৈরি করেছে বলে ধারনা করা হয়৻ মুজাহিদ বিন লাদেন ওসামা বিন লাদেন জেদ্দায় ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে লেখাপড়া করেন৻ পরে আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের দখল অভিযান তার জীবন বদলে দেয়৻ হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া বিলাসবহুল জীবন পরিত্যাগ করে তিনি আফগানিস্তানে চলে যান যেখানে তিনি আশির দশকে দখলদার সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে ধরেন৻ নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলেন যে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ বিন লাদেনসহ মুজাহিদদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়েছে৻ মিত্র থেকে শত্রু এই যুদ্ধে শেষ হওয়ার সাথে তার চিন্তা ভাবনাতেও পরিবর্তন আসে৻ মস্কোর প্রতি তার ঘৃণা ওয়াশিংটনের প্রতি ঘৃণায় পরিবর্তিত হয়৻ সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি তিনি আল কায়দা সংগঠন গড়ে তোলেন৻ এবং এই বাহিনীর পেছনে তার অর্থবিত্ত বিনিয়োগ করতে শুরু করেন৻ ওসামা বিন লাদেন বলেছিলেন যে তিনি ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন৻ তার দাবী মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমানদের মাটিতে মার্কিন সৈন্যের উপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এই যুদ্ধের ডাক দেন৻ সেসময় তিনি একটি ফতোয়া জারি করেন যেখানে তিনি ঘোষণা করেন মার্কিনদের হত্যা করা মুসলমানদের দায়িত্ব৻ শীর্ষ ফেরারি তার ৬ মাস পরেই কেনিয়া ও তাঞ্জানিয়াতে মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলা চালানো হয় যাতে ২২৪ জন নিহত এবং আরো প্রায় ৫,০০০ মানুষ আহত হয়৻ এই হামলার জন্যে ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয়৻ তার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ওসামা বিন লাদেনকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়৻ তাকে হত্যার জন্যে আফগানিস্তানেও অভিযান পরিচালনা করে৻ ওসামা বিন লাদেন ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর সারা বিশ্বের নজরে আসেন৻ টুইন টাওয়ারে পরিচালিত ঐ হামলায় তিন হাজারের মতো মানুষ প্রাণ হারায়৻ দুটো বিমান ছিনতাই করে বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে এই হামলা চালানো হয়৻ তার কয়েক বছরের মধ্যেই ওসামা বিন লাদেন বিশ্বের সবচে ঘৃন্য ও আতঙ্কিত ব্যক্তিতে পরিনত হন৻ পলাতক জীবন আন্তর্জাতিক বাহিনী ২০০১ সালে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে এবং ধারণা করা হয়েছিলো যে তোরা বোরার যুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছিলেন৻ তিনি তখন পাকিস্তানের সাথে সীমান্ত এলাকায় সরে যান৻ পরে ২০০৩ সালে আল জাজিরা টেলিভিশনে ওসামা বিন লাদেনের অডিও টেপ প্রচার করা হয়৻ বিন লাদেনকে এই বাড়িতে হত্যা করা হয় বিন লাদেন তার বক্তব্যে মুসলমানদের উদ্দেশ্য পবিত্র যুদ্ধ শুরু করার আহবান জানান৻ ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে গিয়ে আশ্রয় নেন৻ তালেবান অনুগত পাশতুন উপজাতির লোকেরা তাকে সেখানে আশ্রয় দেয়৻ পাকিস্তানে খালিদ শেইখ মোহাম্মদকে ২০০৩ সালে গ্রেফতার করার পর বিন লাদেনের সন্ধানে পরিচালিত অভিযান নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়৻ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও তাকে গ্রেফতারের জন্যে আফগান সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায়৻ ওইসব অভিযানে বেঁচে যাওয়ার পর অবশেষে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সেনাদের পরিচালিত অভিযানে তিনি নিহত হন৻ সূত্র:http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2011/05/110502_mrk_laden.shtml

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।