তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে...জীবনের নিয়মে....
বৃষ্টি চেয়েছিলে তুমি মেঘের কাছে মেয়ে
তাই আজ গর্জে গর্জে মেঘ কান্না ঝরিয়ে যায়
অবিরাম, ঝুপঝুপ করে নামে জানালার কাঁচে।
এপাশে আমার অগোছালো ঘরের অন্ধকারে
ইজেলে সেঁটে থাকা পার্চমেন্টে ঝড় তুলতে চায় পেন্সিল।
তোমার মুখের পোর্ট্রেট অথবা ফেলে যাওয়া তোমার পথ
আঁকবে বলে অন্ধকারে স্মৃতি হাতড়ায় এ মন।
খুঁজে পায় না সে কিছু শুধু শব্দহীন
আর্তচিৎকারে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তুলতে চায়।
অস্থির অস্থিরতায় ভরে থাকা মন কাঁদতেও পারে না আজ
সব জল শুকিয়ে আজ সে বিরান প্রান্তর।
হঠাৎ লাফিয়ে উঠে স্কালপেলটা হাতে নেই
মনে হয় এক পোচে দরদর করে নামিয়ে আনি
কালচে কষ্টমাখা রক্তগুলো।
পেন্সিলে নয়, বৃষ্টির জলে খুন মিশিয়ে
জলরঙে আঁকবো তোমার প্রতিকৃতি।
কিন্তু পারি না, পারবো না আমি আমার নষ্টপ্রাণের
অস্তিত্বের রঙে রাঙাতে তোমার মুখ।
সব ছুড়ে ফেলি, ভেঙে ফেলি জানালার কাঁচ
আজ আমার ঝড় চাই, আকাশভাঙা ঝড়।
যে ঝড় ভেড়ে দেবে এ দুচোখের বাঁধ
ভেজাবে এ মন বর্ষার জলে।
পারি না, আমি আজ কিছুই পারি না
ভেঙে ফেলি পেন্সিল, জানালার বাইরে ছুড়ে দেই
পার্চমেন্ট, ইজেল, স্কালপেল, গীটার......সব।
আস্তে আস্তে গভীর রাতে থেমে যায় বরষা
কালো স্বচ্ছ আকাশের বুকে জেগে ওঠে তারা।
অনেক দিন পর আবার, অনেক দিন পর
দু'চোখ বেয়ে নেমে আসে 'বৃষ্টিধারা। '
........একাকীত্ব।
০২ মে ২০১১
উৎসর্গঃ বৃষ্টিধারা -কে, বৃষ্টিটা যার অনেক দরকার ছিল।
তবে কবিতার "মেয়ে"টা অবশ্যই অন্য কেউ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।