আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিনলিপি-২১

............................................

আজকে একটা বিশাল ঘুম দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে একটু বসতেও পারিনি এর মধ্যে আসলো আব্বুর ফোন। আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি কোন হলে থাকি। এরপর বললো তোমার বড় চাচী তোমার ফোন নাম্বার খুঁজছিল। সে ঐদিকে গেছে। তুমি পারলে দেখা করে এসো।

আমি বললাম, আচ্ছা। আব্বুর সাথে কথা বলার পরপরই চাচীর ফোন আসলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, চাচী আপনি কোথায়? চাচী কেন তুমি আসবে? বলে এড্রেস বলা শুরু করল। বের হওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও বের হতে হলো। যদিও বেশি দূরে না।

আমাদের ইউনির মধ্যেই আরকি। আমি শুধু একটা ভালো জামা পরেছি তাতেই আমার এক রুমমেট আরেক রুমমেটকে বলা শুরু করলো, চানা আমাদেরকে কিচ্ছু বলেনা! নিশ্চিত সে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যাচ্ছে... দেখ ফোন আসলো আর ওমনি সে সাজগোজ করে বের হয়ে যাচ্ছে... আমি বললাম, চুপ! বড়চাচীর সাথে দেখা করতে যাচ্ছি! তারা বিশ্বাস করেনা। আমি চলে যেতে যেতে বললাম, যা মন চায় ভাবো তোমরা। ভাবতে ভাবতে না খেয়ে মরো। তোমরা মরলে আমার সাথে সাথে তোমাদের ডেপ্টের স্যাররাও খুশি হবে! ওরা বলে, আমরা মরলে তুমি খুশি হবা? চাচীর কাছে গিয়ে খাওয়া নিয়ে ব্যাপক চিপাচিপি সহ্য করতে হলো।

আমি বলি, আমি খেয়ে আসছি। তারা বলে, একটু খাও...অল্প খাও... আমাদের নবীজীরও খেতে ভালো না লাগলে খেতেন না। তাই আমিও সেটা ভেবে আর ভদ্রতা করলাম না। খাওয়া দাওয়া নিয়ে সাদাসাদি আমার খুব অপছন্দ। আমি নিজেও কাউকে কখনো খাওয়া নিয়ে কষ্ট দেইনা।

কিন্তু আমি অবাক হলাম আমার চাচীর আক্কেল দেখে। তিনি আমাকে একটা মেয়ের সাথে বকবক করতে বসিয়ে দিয়ে পাশের ঘরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন! আমি চাচীকে না বলে কীভাবে বের হই! ঐ মেয়েটার সাথে বকবকই করতে হলো আমাকে। বুড়া আমির খানের প্রশংসা শুনতে শুনতে কানটা খচখচ করতে লাগলো। কিন্তু চাচীর ওঠার নাম নেই। এরই মধ্যে আমাকে আবার খাও খাও বলে গেল।

যদিও অসুস্থ মানুষকে ঘুস থেকে ওঠানো ঠিক না তারপরও আমি চাচীকে ঐখানে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করলাম। তারপর বিদায় নিতে যাবো তখন বলে, মামণি তোমার হল এখান থেকে এইটুকু পথ। থাকো তুমি! আমি বললাম, চাচী আমার পরশুদিন পরীক্ষা। না গেলে পড়া হবেনা। (মনে মনে বললাম, আপনি তো ঘুমাবেন! আমি কি করবো!) চাচীর কাছ থেকে ছুটি নিয়ে ঐ বাসা থেকে বের হয়ে একটা শান্তির নি:শ্বাস ফেললাম।

আমার মাঝে মাঝে পড়ালেখা করতে একটুও ভাল লাগেনা। আর যতোসব আকাম আছে সেগুলো করতে মন চায়। গতকাল রাতে ফোনে ছিল ১৫০ টাকার বেশি। ফোনটা নিয়ে গুতাগুতি চরম পরিমাণে হওয়ায় আজকে বেলা ১০টায় দেখি ব্যালেন্স ২০ টাকার কমে! ফাইনাল পরীক্ষার সময় এই সমস্যায় বেশি ভুগি। এজন্য মোটামুটি গোছানো পড়াগুলোও নষ্ট হয়ে যায়।

আসলেই...সব ভালো যার শেষ ভালো তার! ১৫ তারিখ পরীক্ষা শেষ আর ১৮ তারিখ ভাইবা। তারপরে ছুটি। ভাবলেই খুশিতে চোখ ছলছল করে উঠছে এই খুশিতে ভাবছি আজ থেকে আর ফাঁকি দিবো না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।