আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠার পথে বিরোধিতার সেকাল-একাল



ইসলামের রাজনৈতিক ব্যবস্হার নাম খিলাফত,খিলাফতের শাসন ব্যবস্হা বিশ্বের অন্য সকল শাসন ব্যবস্হা সমূহের ভিত্তি, চিন্তা, ধারণা, গঠন, কাঠামো, আইন ও সংবিধান- এক কথায় সকল দিক থেকে পৃথক। ইসলামের খিলাফত ব্যবস্হা আল্লাহ প্রদত্ত একটি স্বতন্ত্র শাসন ব্যবস্হা যা কোন ক্রমেই রাজতান্ত্রিক, সাম্রাজ্যবাদী, ফেডারেল,প্রজাতান্ত্রিক কিংবা গণতান্ত্রিক নয়। খিলাফত প্রসংগে প্রবিত্র কোরআনে আল্লাহ " “আবার সেই সময়ের কথা স্মরণ কর যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বলেছিল আমি পৃথিবীতে খলিফা নিযুক্ত করতে চাই” (সূরা আল বাকারা ৩০) এ আয়াতে খিলাফত দ্বারা বুঝানো হচ্ছে “আল্লাহর দেয়া ক্ষমতার অধিকারী হওয়া” এ অর্থ অনুযায়ী সকল আদম সন্তান খিলাফতের দায়িত্ব প্রাপ্ত। “আমি তাকে বললাম হে দাউদ !আমি তোমাকে পৃথিবীতে খলিফা নিযুক্ত করেছি,কাজেই তুমি জনগণের মধ্যে সত্য সহকারে শাসন কর্তৃত্ব পরিচালনা করো এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করোনা। (সূরা সাদ ২৬)" এখানে খিলাফত দ্বারা বুঝানো হচ্ছে এমন এক রাষ্ট্র ব্যবস্হা যা আল্লাহর সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব মেনে নিয়ে তার প্রদত্ত শরীয়তের বিধান মোতাবেক তার প্রতিনিধিত্বে্র যথাযথ হক আদায় করে।

“আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন,তোমাদের মধ্যে থেকে যারা ঈমান আনবে ও মা’রুফ কাজ করবে তাদেরকে তিনি পৃত্থিবীতে ঠিক তেমনিভাবে খিলাফত দান করবেন যেমন তাদের পূর্বে অতিক্রান্ত লোকদেরকে দান করেছিলেন (সূরা আন নূর ৫৫) খিলাফত প্রসংগে রাসূল সঃ বলেন, “তোমাদের মধ্যে নবুয়ত থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা করেন, তারপর আল্লাহ তার সমাপ্তি ঘটাবেন। তারপর প্রতিষ্ঠিত হবে নবুয়তের আদলে খিলাফত তা তোমাদের মধ্যে থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা করেন, অতঃপর তিনি তা্রও সমাপ্তি ঘটাবেন। তারপর আসবে যন্ত্রণদায়ক বংশের শাসন, তা থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা করবেন। এক সময় আল্লাহর ইচ্ছায় এ্ররও অবসান ঘটবে। তারপর প্রতষ্ঠিত হবে জুলুমের শাসন এবং তা তোমাদের উপর থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা করবেন।

তারপর তিনি তা অপসারণ করবেন তারপর আবার ফিরে আসবে নবুয়তের আদলে খিলাফত। (আহমদ) নবুয়ত, খিলাফতে রাশেদা, যন্ত্রণদায়ক বংশের শাসন সবই শেষ হয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে আমরা শাসন ব্যবস্থার যে পিরিয়ড অতিক্রম করছি তা হল জুলুমের শাসন। খিলাফতে রাশেদা বলতে আমরা প্রথম চার খলিফার সময় কাল কে বুঝে থাকি। যন্ত্রণাদায়ক বংশের শাসন বলতে বুঝানো হয় খিলাফতের সেই সময় কাল যখন জোর পূর্বক বাইয়াত গ্রহন করা হতো এবং উত্তরাধিকর সূএে বাইয়াত হস্তান্তর করা হতো।

এক কথায় বাইয়াত ব্যবস্থার অপ ব্যবহার ও শরীয়তের অপ ব্যবহারকে বুঝানো হয়েছে। জুলুমের শাসন বলতে সেই শাসন কালকে বুঝানো হয়েছে যখন ইসলামি শাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল কি্ন্তু শাসকগণ শরিয়তের অপ প্রয়োগ করে জনগণের উপর অত্যাচার করতো এবং বর্তমান সময়ের শাসন ব্যবস্হা যেখানে মুসলিম নামধারী জালিম শাসকগণ কুফুরী ব্যবস্হা দ্বারা মুসলমানদেরকে শাসন করছে। হাদিসের শেষে মুসলিম উম্মাহকে সুসংবাদ দেয়া হয়েছে এ বলে যে, জুলুমের শাসনের অবসান ঘটবে এবং পুনরায় খিলাফত ফিরে আসবে। সুতরাং আজ মুসলিম উম্মাহর সর্ব প্রথম এবং সর্ব প্রধান কাজ হচ্ছে পুনরায় খিলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুস্টি হাসিল করা এবং পূর্ণাঙ্গ ভাবে ইসলামে প্রবেশ করা । আল্লাহ পথভ্রষ্ঠ মানব জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসার জন্যে যুগে যুগে নবী রাসুল পাঠিয়েছেন।

.............................. চলবে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.