আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সখি, নয় ছয় কারে কয়?



প্রথম আলো, ০১-০৫-২০১১ লিমনের মায়ের মামলা আসামিরা এখনো স্বাভাবিক দায়িত্বে লিমন হত্যাচেষ্টা মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। মামলার আসামি RABএর ছয় সদস্য স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করছেন। RABএর পক্ষ থেকেও আসামিদের ব্যাপারে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া নেয়নি। জানতে চাইলে RAB-৮-এর পরিচালক লে. কর্নেল মনিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মামলার ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। মামলার কাগজপত্র পেলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এএসএম শাহজাহান এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হলে সাধারণত তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অবশ্য বরখাস্তের ব্যাপারে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সাময়িক বরখাস্ত না করা হলেও কেউ আসামি হলে তাঁকে সেখানে রাখা উচিত নয়। লিমনের মায়ের করা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঝালকাঠির রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘থানায় কোনো মামলা হলেই আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে, এমন নিয়ম নেই। মামলা দায়েরের পর তদন্ত এবং সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তবেই গ্রেপ্তার করা হয়।

’ লিমনের মায়ের করা মামলার তদন্তকারী আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বাভাবিক নিয়মে তদন্ত চলছে। ’ লিমনের ভাই হেমায়েত হোসেন বলেন, মামলা দায়েরের পর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও থানার পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার তো দূরের কথা, গ্রেপ্তারের চেষ্টাও করেনি। সাধারণ মানুষের নামে এমন মামলা হলে এতক্ষণ ধরপাকড়ের কত চেষ্টা হতো, তার ঠিক নেই। গত ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে RABএর নিষ্ঠুরতার শিকার হয় কলেজছাত্র লিমন হোসেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে লিমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি সাজানো মামলায় গোপনে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্র দেওয়ার দুই দিন পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। লিমনের আইনজীবী নাসির উদ্দিন কবির বলেন, সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে লিমনের জামিনের জন্য আবেদন করা হবে। এদিকে ঝালকাঠির পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, লিমনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দেওয়া চিঠি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পৌঁছেছে। ঢাকা থেকে ফ্যাক্স করে চিঠিটি পাঠানো হয়। জেলা পুলিশ সুপার মো. শামসুদ্দিন চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।