আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্রিল্যান্সিং-আউটসোর্সিং বিষয়ে কিছু প্রয়োজনীয় টিপস

সোলায়মান

আমি ফ্রি-ল্যান্সিং করছি ২০০৯ থেকে। আমি যখন শুরু করেছি অনেক সমস্যা মোকাবেলা করেছি। কিন্তু কাউকে পাইনি যার কাছ থেকে পরামর্শ নিব। যারা নতুন ফি-ল্যান্সার আছেন এবং সমস্যায় পড়েছেন তাদের জন্য এ লেখা। ফ্রিল্যান্সিং-আউটসোর্সিং-এ বাংলাদেশ ধীরে ধীরে নিজের জায়গা মজবুত করছে।

এখানে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সুখের ব্যাপার হচ্ছে আমাদের সস্তা শ্রম। আমরা অনেকেই আছি যারা ঘন্টায় ১ডলার আয় করলে খুব খুশী হব। যদি আপনি প্রতিদিন ১০ঘন্টা করে কাজ করেন তাহলে ১০ডলার পাবেন। অর্থ্যাৎ মাসে ৩০০ডলার, যা টাকার হিসেবে ২১০০০ টাকা। খুবই লোভনীয় ব্যাপার।

অনেকেই টাকার অঙ্ক হিসাব করে ফ্রিল্যান্সিং-আউটসোর্সিং এ ঝাপিয়ে পড়ছে। অনেকেই না বুঝে বিড করে কাজ পেয়ে তারপর ঠিকমত কাজ ডেলিভারি দিতে পারেনা বা সময়মত কাজ ডেলিভারি দিতে পারেনা। এটা খুবই দুঃখজনক। নতুন ফ্রি-ল্যান্সারদের এব্যাপারে ভীষন সাবধান হওয়া উচিত। কারণ আপনি যখন ফ্রি-ল্যান্সার হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করেন তখন আপনি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সিলেক্ট করেন।

তার মানে আপনি বাংলাদেশি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন। আর যখন বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তখন আপনার দায়িত্ব-কর্তব্য অনেকখানি বেড়ে যাচ্ছে। আপনাকে সময়মত ও চাহিদা মত কাজ ডেলিভারি দিতে হবে। এ অবস্থায় আপনার কোন অপেশাদারি মনোভাবের কারণে পুরো দেশ অথবা দেশের অন্য নতুন ফ্রি-ল্যান্সারদের কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আশা করি আমরা দেশের সম্মান সবার উপরে রাখব।

নতুনদের যেকোন টিপস বা পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। সাধ্যমত চেষ্টা করব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।