আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজব নয়, গুজব নয়, অবিশ্বাস্যও নয়....



আজব নয়, গুজব নয়, অবিশ্বাস্যও নয় কিন্তু সম্পূর্ণ সত্য; সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৈখালী গ্রামের অনিল কুমারের এই বটগাছটি গত ২১ এপ্রিলের কালবৈশাখী ঝড়ে হেলে পড়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক আজিজুল ইসলামের ফসলের ক্ষেতে। আজিজুল ইসলাম তার ফসলের ক্ষতির বিষয়টি অনিল কুমারকে জানালে তিনি গাছটি এক হাজার নয়শ টাকায় একই গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে দেন। গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ক্রয়কৃত বটগাছটি অপসারণ করার জন্য আমিরুল ইসলাম চারজন শ্রমিক নিয়োগ করেন। শ্রমিকরা গাছের একটি বাদে সবগুলি ডাল দুদিনে করাত দিয়ে কেটে ফেলেন। পার্শ্ববর্তী ফসলের ক্ষেতের দিকে থাকা ডালটি কাটার সময় গাছটি ধীরে ধীরে সোজা হতে থাকে।

বিষয়টি তাৎক্ষণিক এক কান থেকে দু-কান, দু-কান থেকে পাঁচ কান হয়। এরপর এলাকার শত শত মানুষ গাছটি দেখার জন্য ভীড় জমাতে শুরু করেন। কেউ বলছেন, অলৌকিক, কেউ বলছেন, রহস্যজনক। আবার কেউ বলছেন, এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। হিন্দুধর্মাবলম্বী মহিলারা সেখানে সাবা দেওয়া শুরু করেছেন।

এক টাকা, পাঁচ টাকার কয়েন, দু-টাকা, পাঁচ টাকার নোটও গাছটির গোড়ায় ফেলে যাচ্ছেন যে যার মত। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ বিভিন্ন রোগের আরোগ্যের জন্য গাছটির গোড়ার মাটি নিয়ে যেতেও শুরু করেছেন। বিষয়টি আসলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, গাছটির এক পাশে উঁচু জমি আর একপাশের জমি নিচু। গাছটি ঝড়ে ভাঙেনি, ডালের ভারে নিচু জমির দিকে হেলে পড়েছে।

কিন্তু উঁচু পাশের মাটির ভিতরে থাকা শিকড় ছিড়ে না যাওয়ায় তার টান ছিল সেদিকে। ফলে গাছটির একে-একে সবগুলো ডাল কাটার পর সেটি ভারমুক্ত হয়। ফলে ধীরে ধীরে গাছটি আবার সোজা হয়ে দাঁড়ায়। এটাই এখন অলৌকিক রহস্যময় ঘটনা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।