আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Road painting ... At Shahjalal University of Science & Technology

ভালো লাগেনা,ভালো লাগাতাম,লাগাতে লাগাতে এখন সব ভালো লাগাই! মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে গেলে মনে হয় থাকুক আর কটা দিন,পরে ফেলা যাবে। থেকে যায়,অথবা রেখে দেই। আজকে শুরু হলো শাহজালাল এর দীর্ঘ রোড পেইন্টিং। আজকে সকাল থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হলো ভর দুপুরে। সকাল থেকে রোদের তাপ বেড়ে চলেছিলো।

আমি একটু দেরি করে গেলেও শুরু হলো বেশ দেরি করে,একগাদা উৎসাহী ছাত্রছাত্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে পড়েছিলো নিজেদের মতো। বেলা বাড়তে থাকলেও তাদের উৎসাহে কোনো ভাটা পরতে দেখলাম না। আমিও অনেকদিন পর অনেগুলো মানুষের সাথে একটা সুন্দর কাজের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। অবশেষে শুরু হলো রাস্তা পরিষ্কার করা,যদিও কাল রাতে নাকি ধোয়া হয়েছিলো। গেট থেকে আসার রাস্তা থেকে শুরু হলো,শেষ হবে সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম পর্যন্ত,সম্ভব হলে হল পর্যন্ত হবে।

অনেকগুলো গ্রুপ একসাথে কাজ করতে লেগে গেলো- রোদ মাথায় করে! আমি প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেও পরে ব্যপারটায় অভ্যস্ত হয়ে গেলাম,জুতো খুলে চক হাতে বসে আঁকতে লেগে গেলাম আর বাকিদের দেখে। এমনিতে এক কিলো রোড রিকশা নিয়ে পার হয়ে যাই,আর আজকে কতোবার যে হাটলাম,তার হিসাব মেলাতে পারছিনা এখনও। রং করা শুরু করলেও আমার পা বিদ্রোহ করে বসলো,হাত ও। আর টানতে পারছিলাম না। চলে গেলাম চা খেতে, কাপ এ পোষালো না,তাই গ্লাসে চা দিলো মামা।

তখন এক কাপ কড়া লিকার এর চা আমার মেজাজ টা ঠিক করে দিলো,আর ভাবলাম কেন এতদিন এইসব থেকে দূরে ছিলাম। আজকে তোমার জন্মদিন,সু,আমি তোমাকে বলতে পারিনি তা বলতে পারবেনা,আমি আজকে এই বছরের প্রথম কোকিলের ডাক শুনেছি,সকালে, মনে হচ্ছিলো আমাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতেই অথবা তোমাকে মনে করতে। বিকেলের উল্টো হাওয়া যখন ঝেড়ে পরিষ্কার করা পাতাগুলোকে আবার এনে ফেলে রাস্তায়,আমরা কেউ বিরক্ত হলাম না,যে ধুলোর ভয়ে আমি পা ঢেকে রাখি, সেই ধুলো আমি ঝেড়ে পরিষ্কার করে তবেই আঁকতে লাগলাম। অনেক ক্লান্ত শরীর,কাল আবার যেতে হবে... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।