আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩৪ বছর পর মানুষ অমর হইবো /মানুষ আর মরবে না: অনলাইন টাইম ম্যাগাজিনে

তক
মানবজমিন ডেস্ক: আর মাত্র ৩৪ বছর বাকি। এরপরই ২০৪৫ সালের পরে মানুষ আর মরবে না। মানুষ হবে অমর। ওই সময়ের মধ্যে কম্পিউটার হবে অতিমাত্রায় বুদ্ধিমান। শুধু বুদ্ধিমানই নয়।

মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান। যখন এটা ঘটবে- মানবতা, আমাদের দেহ, মন- এমনকি আমাদের সভ্যতা পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে যাবে। সে অবস্থা থেকে আর পিছনে ফেরা যাবে না। অনলাইন টাইম ম্যাগাজিনে ১০ই ফেব্রুয়ারি ‘২০৪৫: দ্য ইয়ার ম্যান বিকামস ইমরটাল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কম্পিউটার প্রযুক্তি দিনে দিনে দ্রুত থেকে দ্রুতগতির হচ্ছে।

এ কথা সবাই জানে। কম্পিউটার দ্রুতগতির হচ্ছে বলে আমাদেরও গতি বাড়ছে। এভাবে কম্পিউটারের গতি বাড়তে বাড়তে এমন এক সময় আসবে যখন তার বুদ্ধিমত্তা মানবজাতির সমান হয়ে যাবে। একে বলা যেতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এক সময় তা আমাদের সমকক্ষ হয়ে যাবে।

এর ফলে শুধু পাটিগণিতই দ্রুততম সময়ে করা যাবে না। এর মাধ্যমে পিয়ানোর মিউজিক কম্পোজ করা যাবে। তা ব্যবহার করে গাড়ি চালানো যাবে। বই লেখা যাবে। নৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।

এমন সব হাজারো প্রশ্নের সমাধান দিয়ে দেবে কম্পিউটার। এভাবে কম্পিউটারকে উন্নত করতে করতে এমন একটা পর্যায়ে চলে যাবে যখন সেই কম্পিউটার আমাদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে। তখন একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানীর চেয়ে তারই কম্পিউটার বেশি জানবে। এমন কম্পিউটার অবিশ্বাস্যরকম দ্রুতগতিতে কাজ করবে। মুহূর্তেই তা অসংখ্য ডাটা নিয়ে কাজ করবে।

ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান কম্পিটারের আচরণ নিয়ে পূর্বাভাস করা এখন হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু তাকে একদিন আমাদের ব্যক্তির মতো করে দেখতে হবে। তার সঙ্গে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিষয়ে তথ্য শেয়ার করতে হবে। এসব নিয়ে অনেক তত্ত্ব আছে। হতে পারে একদিন আমরা তাদের সঙ্গে সুপার ইন্টেলিজেন্স সাইবর্গ হিসেবে আবির্ভূত হবো।

হতে পারে আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের বলিরেখার চিকিৎসা দিতে সাহায্য করবে এবং আমাদেরকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জীবন দেবে। হয়তো আমাদের চেতনা স্ক্যান করে কম্পিউটারের মধ্যে ঢুকিয়ে দেবো। আর এভাবেই ভার্চুয়ালি বা কৃত্রিমভাবে আমরা একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে চিরদিনের জন্য বেঁচে থাকবো। কম্পিউটার হয়তো আমাদের মানবিকতায় রূপ নেবে এবং আমাদের বিলুপ্তি ঘটবে। এমন পরিবর্তনকে বলা হয় সিঙ্গুলারিটি।

ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, যখন আমরা সিঙ্গুলারিটির কথা বলছি তখন বিষয়টি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মতো মনে হতে পারে। তবে এটা সায়েন্স ফিকশনের একটি পূর্বাভাস ছাড়া কিছু নয়। এটা কোন হাল্কা বিষয় নয়। এটা আগামীর পৃথিবীর জীবনধারার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব। বুদ্ধিবৃত্তিক অনেক তত্ত্ব আছে সায়েন্স ফিকশনে।

তাতে বলা হয় অতিমাত্রায় বুদ্ধিকে একত্রিত করে একটি সাইবর্গ তৈরি করা যায়। কিন্তু সিঙ্গুলারিটি এমন একটি তত্ত্ব, যা সযত্ন বিবর্তনকে নির্দেশ করে। মানুষ আজকাল এই তত্ত্বটি বোঝার জন্য অনেক অর্থ খরচ করছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা প্রতিষ্ঠা করেছে সিঙ্গুলারিটি ইউনিভার্সিটি। এর বয়স এখন তিন বছর।

সেখানে গ্র্যাজুয়েট ও নির্বাহীদের ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি কোর্স পড়ানো হয়। এর স্পন্সর হলো গুগল। এর প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ গত বছর এ নিয়ে কথা বলেছেন। এখন মানুষ দলে দলে এ বিষয়ে জানতে চায়। কিন্তু তারা যা জানতে চান, সিঙ্গুলারিটি তার চেয়েও অনেক বেশি।

এই ধারণাটিকে যদি প্রতিষ্ঠিত করা যায় তাহলে তা হবে মানব জাতির ভাষা আবিষ্কারের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিঙ্গুলারিটি শব্দটি এসেছে জ্যোতির্বিজ্ঞান থেকে। এটা সময় ও স্থানকে নির্দেশ করে। যেমন একটি ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের ভিতরের অবস্থাকে সিঙ্গুলারিটির সঙ্গে তুলনা করা চলে। সেখানে সাধারণ পদার্থবিদ্যার কোন নিয়মকানুন খাটে না।


 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।