আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিশ-টিভি জেনারেশন

সবাই মিলে দেশটাকে সুন্দর করতে যা কিছু করণীয় তার জন্যে নিজেকে বিলিয়ে দিব

চমকপ্রদ বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সাথে সাথে ভয়াবহ পরিণতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে আমাদের যুবসমাজের মধ্যে। বিজ্ঞানের এই নয়া নয়া আবিষ্কার এখন হয়ে উঠছে সহজলভ্য। আর তাতে যুবসমাজ ঝুঁকে পড়ছে অনুৎপাদনশীল খাতে সময় ক্ষেপণের কাজে। লেখাপড়ার প্রতি মনোনিবেশের স্পৃহা হারানোর সাথে সাথে সত্যিকারের সামাজিকতা ভুলে যাচ্ছে। তাদের নিত্য সঙ্গী এখন মোবাইল ফোন, আই-ফোন, আই-প্যাড, নেটবুক, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটার, টিভি ইত্যাদি।

এতে সামাজিক, মেধাবৃত্তিক ক্ষতির সাথে সাথে ক্ষতি হচ্ছে স্বাস্থ্যেরও। মোবাইল ফোনে এখন শোনা যায় এফ এম রেডিও, করা যায় বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা, পাঠানো যায় টেক্সট মেসেজ, দেখা যায় ইন্টারনেট। এত কিছু সুবিধা যদি একসাথে পাওয়া যায় তাহলে তো আর কথাই নাই। সময় কাটানো কোন বিষয়ই না। লেখাপড়া কখন করবে? সহজলভ্য এবং বহনশীল কম্পিউটার এনে দিয়েছে পৃথিবীকে কোলের উপর।

তাতে আছে গেম্‌স, অডিও ভিডিও চ্যাট করার সুবিধা আর আছে ইন্টারনেটের যাবতীয় বিষয়। এত সময় কাটানোর ব্যবস্থা থাকতে লেখাপড়ার কি আর দরকার? এবং হচ্ছেও তাই। লেখাপড়া ছেড়ে এরা এই সমস্ত বিনোদন উপাদানের পেছনে ছুটছে। টেলিভিশনের কথা না বললেই নয়। সারাদিন ছায়াছবি দেখার যেমন চ্যানেল আছে, তেমনি আছে সারাদিন খেলাধূলার চ্যানেল।

পৃথিবীর কোথাও না কোথাও, কোন না কোন টুর্নামেন্ট হচ্ছে আর তাই ঘরে বসে দেখছে আমাদের সন্তানেরা। লেখাপড়ার সময় কই। যাও বা একটু পড়তে বসে, তাও মাঝে মাঝে খেলার আপডেট না দেখলে হয় না। এর ফল কি দাঁড়াচ্ছে? আমারই এক আত্মীয়র ছেলে ঢাকার এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। বড়লোক বাবার ছেলে।

তাতে যা চাই তা পাই অবস্থা বিদ্যমান, বলাইবাহুল্য। সারাদিন খেলাধূলার চ্যানেল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বাবা মা কিছু বলার সাহস পায় না, পাছে ছেলে বিগড়ে যায়। এই হল অনেক ভদ্রবাড়ীর অবস্থা। এইভাবে যদি বাবা মায়েরাও তাদের সন্তানদের হেন কাজে বাঁধা দিতে সাহস না পান, তাহলে দেশটা কোথায় যাবে? ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়।

আমরা যখন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছি তখন এত প্রলোভন ছিল না। আমাদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটাতে কোন উপকরণ ছিল না, এক টিভি ছাড়া। তাও আবাসিক হলে থাকতে খেতে যাওয়ার এক ফাঁকে মিনিট ত্রিশেকের জন্যে দেখা। তাতে আপকারের পরিবর্তে উপকারই হত। লেখাপড়ার ফাঁকে একটু বিশ্রাম আর কি।

তাই আর সময় নষ্ট না করে আপনার আশেপাশের আত্মীয় অনাত্মীয়র সন্তানের খোঁজ নিন। অভিভাবকদের অবিহিত করুন কোন গোলমাল দেখলে। এই উপকারটুকু করলে ওনারাই একদিন আপনাকে ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।