আমার ব্যক্তিগত ব্লগ
গতকাল রিক্সা দিয়ে বাসায় ফিরছি, শুরু হলো বৃষ্টি। আমার ছেলে (শাফিন) মহাখুশি, ওর বাপ ততটাই চিন্তিত হয়ে পড়ল। ছেলে ভিজে অসুস্থ না হয়ে পরে। এরমধ্যে রিক্সা ওয়ালা জানালো তার কাছে পর্দা নেই। সাজাহানপুরের একটা ফার্নিচারের দোকানের সামনে দাড়ালাম।
সামহোয়্যার আউট বলল, দৌড়ে ঐ গলিতে গিয়ে দাড়াও। আমি শাফিনকে নিয়ে দৌড়ে গেলাম ফার্নিচারের দোকানে। ওখানে বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম। বৃষ্টি কমে এলে আবার রওনা হলাম। তখনও ফোটা ফোটা বৃষ্টি পরছে।
শাফিন এতেই খুশি। একবার বলে, এই আমার পায়ের উপর পানি পরল, আমার হাতে পানি পরেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। ওর মন রাখতেই হয়তো পরের কাহিনী শুরু হলেো।
বৃষ্টির পর আপনারা যারা ফ্লাইওভারের নীচ দিয়ে গিয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন, বৃষ্টির পর ফ্লাইওভারের জায়গা জায়গা দিয়ে পানি পড়ে। রিক্সা যখনই এ ঝরনার নিচ দিয়ে যায়, শাফিন চিৎকার করে উঠে "বৃষ্টিই ই ই ই"।
রিক্সাওয়ালা পর্যন্ত হাসতে হাসতে বার বার ঘুরে ওর কান্ডকারখানা দেখতে লাগল। আমি যতই ওনাকে বলি, ভাই পানির নীচ দিয়ে না গিয়ে পাশ দিয়ে সরে যান, উনি আমার কথায় কান না দিয়ে শাফিনের জন্য পানির নিচ দিয়ে ভিজাতে ভিজাতে নিয়ে চললেন। বলেন, কেমন লাগে ফ্লাইওভার ধোয়া পানিতে ভিজতে। শাফিন ওর ছোট দুহাত বাড়িয়ে যতটা পারে পানি ধরতে লাগল। খুশিতে রিক্সা থেকে লাফিয়ে পরে আরকি।
রাস্তায় জমা ঘোলা পনি দিয়েও কয়েকবার খেলার কথা বলল। এভাবে বৃষ্টি উপভোগ করে বাড়ি ফিরলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।