আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাল কিছু জানুন এবং জানুন কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা

এখানে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

বর্ষাস্নাত রাত্রি ও গভীর নিদ্রা : ১৭ই রামাযান শুক্রবারের রাত, বদর যুদ্ধের পূর্বরাত সৈন্যদের শ্রেণীবিন্যাস শেষ হয়েছে। সবাই ক্লান্ত-শ্রান্ত। হঠাৎ বৃষ্টি এলো। মুসলিম বাহিনী ঘুমে এলিয়ে পড়ল। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন বাহিনীর সকল ক্লান্তি দূর হয়ে গেল এবং যুদ্ধের জন্য দেহমন প্রস্ত্তত হয়ে গেল।

বালু-কংকর সব জমে শক্ত হয়ে গেল। ফলে চলাফেরায় স্বাচ্ছন্দ্য এলো। সেই সাথে অধিক হারে পানি সঞ্চয়ের ব্যবস্থা হয়ে গেল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘স্মরণ কর সে সময়ের কথা, যখন তোমাদের স্বস্তির জন্য তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদেরকে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন করা হয় এবং তোমাদের উপরে তিনি আসমান হ’তে বারি বর্ষণ করেন। তোমাদেরকে পবিত্র করার জন্য, তোমাদের থেকে শয়তানের কুমন্ত্রণা দূরীভূত করার জন্য।

তোমাদের হৃদয়গুলি পরস্পরে আবদ্ধ করার জন্য এবং তোমাদের পাগুলি দৃঢ় রাখার জন্য’ (আন‘ফাল ৮/১১)। শয়তানের কুমন্ত্রণা ছিল এই যে, সে দুর্বলচিত্ত মুসলমানদের মধ্যে এই প্রশ্ন ঢুকিয়ে দিয়েছিল যে, আমরা যদি ন্যায় ও সত্যের পথে থাকব, তাহ’লে আমরা এই নিম্নভূমিতে ধূলি-ময়লা ও নিগৃহীত অবস্থার মধ্যে কেন? এটা নিঃসন্দেহে আমাদের পরাজয়ের লক্ষণ। পক্ষান্তরে কোরায়েশরা পাহাড়ের উচ্চ ভূমিতে আছে। তারা উট যবেহ করে খাচ্ছে আর ফূর্তি করছে। এটা নিশ্চয়ই তাদের জন্য বিজয়ের লক্ষণ।

সকালেই যেখানে যুদ্ধের সম্মুখীন হ’তে হবে, সেখানে রাতেই যদি মুষ্টিমেয় মুসলিম বাহিনীর মধ্যে এ ধরনের বিভ্রান্তি ঢুকে যায়। তাহ’লে সেটা সমূহ ক্ষতির কারণ হবে। সেকারণ আল্লাহ তাদের বৃষ্টি বর্ষণের মাধ্যমে গভীর ঘুমে বিভোর করে দিলেন। ফলে ঘুম থেকে উঠে প্রফুল্লচিত্তে সবাই যুদ্ধে জয়ের জন্য একাট্টা হয়ে প্রস্ত্তত হয়ে গেল। হযরত আলী (রাঃ) বলেন যে, বদর যুদ্ধের রাতে এমন কেউ বাকী ছিল না যে, তিনি ঘুমাননি।

কেবল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ব্যতীত। তিনি সারারাত জেগে ছালাতে রত থাকেন। (SUBHANALLAH) -------------------------------------------------------------------- মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে; প্রাচীন জাহেলী যুগের সৌন্দর্য প্রদর্শনের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না। তোমরা ছালাত প্রতিষ্ঠা করবে ও যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর আনুগত্য করবে। ’ (আহযাব ৩৩/৩৩)।

পর্দার মধ্যেই মা-বোনদের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন শান্তি এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য ক্ষমা ও মহা পুরস্কার রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিন নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজতর হবে; ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (আহযাব ৩৩/৫৯)। সন্তান-সন্ততি লালন-পালনে মহিলাদের (মায়ের) ভূমিকা অত্যধিক।

একজন আদর্শ মা সমাজের অশ্লীল এবং বেহায়াপনা বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যখন সন্তান-সন্ততি ছোট থাকে তখন যদি মা ছালাত ক্বায়েম করে, কুরআন তেলাওয়াত করে, বাড়ীতে অবস্থান করে ও প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ার সময় পর্দা করে বের হয়, তাহ’লে এসব কাজ-কর্ম সন্তানের উপর প্রভাব ফেলবে। মাকে দেখে সন্তান-সন্ততি শিক্ষা নিবে। অপরপক্ষে পিতা যদি নিয়মিত মসজিদে গিয়ে ছালাত ক্বায়েম করে, বাড়ীতে কুরআন তেলাওয়াত করে, অন্যান্য ফরয কাজগুলো পালন করে, তাহ’লে সন্তানের উপর পিতার এসব কাজের প্রভাব পড়ে। এভাবে ছেলে-মেয়েরা পিতা-মাতার নিকট থেকে শিক্ষা পাবে।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------- ওপরের দুটি অংশ ফেবুর নবীদের কাহিনী (story of Prophets(AS) নামক পেজ থেকে নেয় হয়েছে। আপনারা তো ফেবুতে অনেক কিছুই করেন কিন্তু এরকম কোন পেজে কি লাইক দিয়েছেন? ফেবুতে ঢুকলেই দেখা যায় কত আজে-বাজে জিনিসের ছড়াছরি। আপনি যদি এরকম কয়েকটি পেজে লাইক দিয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন ফেবুও আপনার একটি ইসলামি জ্ঞান চর্চার অংশ বা কেন্দ্রে পরিনত হবে। আর আপনিও খারাপ জিনিসের বদলে অনেক ভাল জিনিস শিখতে পারবেন। নিচে পেজটির লিংক দিলাম।

তবে এরকম আরো পেজ আছে, আমি কিছুটা অসু্স্থ তাই অন্য গুলোর লিংক দিতে পারলাম না, এটুকুই অনেক কষ্টে লিখলাম। আপনারা একটু খুজলেই পাবেন। https://www.facebook.com/nobider.kahinii

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।