আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেমন আছে তাহরীর স্কোয়ার!!! ফটো ব্লগ!!

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/

মাত্র তিন মাসের আগের কথা। বিশ্ববাসি সকাল বেলায় টিভি অন করত তাহরীর স্কোয়ারের পরিস্থিতি জানতে, আবার রাতে টিভি অফ করত তাহরীর স্কোয়ারের পরিস্থিতি জেনে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের অন্যতম এই টুরিষ্ট প্রধান দেশটিতে টুরিষ্টরা এখন এসে ফেরাউনের লাশ কিংবা গিজার পিরামিডের চেয়ে তাহরীর স্কোয়ার দেখার দিকেই প্রথম মনোনিবেশ করে। তাহলে কি সামুর ব্লগারদের দেখতে ইচ্ছে করে না তাহরীর স্কোয়ারের বর্তমান দৃশ্য? আমার মনে হয় অবশ্যই ইচ্ছে করে।

আর তাইতো আজ আপনাদের জন্য আমি নিয়ে এলাম তাহরীর স্কোয়ারের কিছু ছবি। তাহরীর স্কোয়ার মূলত কায়রোর প্রাণ কেন্দ্র। নীলনদের অতি নিকটবর্তি এই ময়দানটির চতুস্পার্শ্বে রয়েছে অসঙ্খ মিসরীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপুর্ন ভবন। কানাডা, ইংগল্যান্ড, আমেরিকার দূতাবাস সহ রয়েছে অসঙ্খ দূতাবাস। মিসরীয় সচিবালয়, টিভি ভবন, পররাস্ট্র মন্ত্রনালায় সহ প্রায় ২০ টি মন্ত্রনালয়।

তাহরীর স্কোয়ারের সাথেই রয়েছে আধুনিক ''আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন কায়রো'' আর নীলনদের উপারে অতি কাছেই রয়েছে বিক্ষাত ''কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়''। আরবলীগের মূল ভবন, বিশ্ববিক্ষাত মিসরীয় যাদুঘর, ফেরাউনের মমির মত সেনসেটিভ ভবন গুলোর মাঝামাঝি জায়গাটির নামই হলো ''তাহরীর স্কোয়ার''। এই তাহরীর স্কোয়ারের আশে পাশেই রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক ট্রাভেল এজেন্সি। এমন একটি ব্যাস্ত স্কোয়ারে প্রতিদিন কি পরিমানে লোকের আনাগুনা হতে পারে তা শহজেই বুঝা যায়। কায়রোকে যদি রাতের শহড় বলা হয় তাহলে তাহরীরকে বলতে হবে চিরপুর্নিমার শহড়।

প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের পদচারনায় মুখর থাকে এই বিক্ষাত স্কোয়ারটি। এ তো গেল মাটির উপরের গল্প। তাহরীর স্কোয়ারের নিচেই আন্ডার গ্রাউন্ডে রয়েছে বিশাল মেট্রো জায়েন্ট ষ্টেশন। কায়রোর তোনটি মেট্রো লাইনের তিনটিই এসে মিলিত হয়েছে এই তাহরীর ময়দানের নিচে। যার একটি চলে গেছে নীলনদের নিচ দিয়ে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।

যার ফলে লোকসমাগম এখানে দ্বিগুন। এত লোকসমাগম যেখানে সেখানে ফুটপাতে কমবেশি হকার বসাই স্বাভাবিক। মোবারক থাকা অবস্থায় পুলিশি করা নিরাপত্তার কারনে তেমন হকার বসতে পারত না। মাত্র অল্প কিছু হকার ঘড়ি, চশমা, গেন্জি ইত্যাদি বিক্রি করত। এই দৃশ্যপট সম্পুর্ন পাল্টে গিয়েছে, এখন বিক্রি হচ্ছে, বিক্ষোভে শহীদদের ছবি, মুবারক ও তার আমলের মন্ত্রিদের ব্যাংগাত্বক ছবি, বিভিন্ন রংএর মিসরের ভালবাসা লিখিত গেন্জি, মিসরের পতাকা ব্যাচ।

পতাকা, মাথার ক্যাপ, মেয়েদের মাথার উর্না, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, সবই কেবল ২৫ই ফেব্রুয়ারীকে চীর স্নরনীয় করে রাখার আয়োজন। ময়দানের মাঝের অংশটিকে আবার সাজানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে ফুল গাছ। সাথে বিভিন্ন পাতাবাহার গাছ দিয়ে সুন্দর করে সৃষ্টি করা হয়েছে মনোরম পরিবেশ। যার ফলে চীরচেনা এই তাহরীর স্কোয়ারটি এখন মিসরীয়দের নিকটও একটি উপভোগ্য স্থান।

ছবি তুলার স্পট। ১) ময়দানের পাশে রেলিংএ বিক্রি করা হচ্চে ২৫ই জানুয়ারীর বিক্ষোভের টি-শার্ট। ২) ২৫ই জানুয়ারীর স্নরনে বিভিন্ন নেমপ্লেট। ৩) পতাকা, টুপি, আরো বিভিন্ন ছোট ছোট স্টিকার ও ব্যাচ। ৪) মিসরের পতাকা আকৃতি গলার রুমাল।

৫) হ্যান্ডব্যাচ, বিভিন্ন স্টিকার। ৬) ব্যাচ। ব্যাংগাত্নক ছবি। ৭) ময়দানের মাঝখানে নতুন করে সাজানো হয়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.