আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাম না জানা বাংগালি কামলার কথা ।

আমার মাঝে আমি,নিজেকে বার বার খুজি । জয় হোক স্বপ্নের,সত্যি হোক জীবনের আশা । মানুষের মাঝে মানুষ,উড়ায় হৃদয়ের ফানুশ ।

বাংলাদেশই বোধয় পৃথিবীর একমাত্র কামলা প্রধান জাতি যাদের ২ ধরনের কামলা আছে । এই কামলা নিয়ে অবশ্য বাঙ্গালীদের গর্বের শেষ নাই ।

দুই ধরনের কামালারা হল ১। বিদেশী কামলা ২। দেশি কামলা বিদেশী কামলা এই জাতের কামলা বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে পাবেন । এমন কোন গ্রাম বাংলাদেশে পাবেন না যেখানে কামলা নাই । এই কামলাদের বিদেশে পাঠায়তে পেরে বাংলাদেশ আবার খুবই উতসশিত ।

আধুনিক যুগের এরা হল সিগনেচার করা ক্রীতদাস । ক্রীতদাস প্রথা নাকি পৃথিবী থেকে উঠে গেছে ? এই গাল ভরা কথা যে শুধুই মন জুড়ানোর জন্যে টা বুঝার জন্যে বাংলাদেশের দিকে তাকালেই হয় । একদা এক সময় নাস্তিক গুরু হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন “আমরা আমাদের একদল তরুনকে বিদেশে শ্রমিক হিসেবে পাঠাতে মেতে উথেছি,আম্রা হয়ে উঠেছি বিশ্বকাম্লার জাতি । ” এ সকল কামলারা ঐ দেশে কিভাবে থাকে তার একটু বর্ণনা দেয় ১। এক রুমে ঠাসাঠাসি করে কই জন যে থাকে টা আল্লাহ্‌য় বলতে পারে ।

২। ১৫ ঘণ্টা ১৬ ঘণ্টা কাজ করিয়ে বেতন দেয় অতিসামান্যই । ৩। দেশে জমিজমা বিক্রি করে ২ ৩ লাখ টাকা দিয়ে বিদেশে যেয়ে দোকানদারি করে ঘরবারি ছাফ করে । ৪।

২ বছর মেয়াদ শেষে কলুর বলদের মত খেতে আয় করে অতিসামান্যই,যা সে দেশে আনতে পারে । ৫। মানব দালালের মত কুত্তাদের হাতে পড়ে টাকা পয়সা হারাইয়া আত্যহত্যা তো কমন ব্যাপার । ৬। আর যাদের টাকাতে ঐ দেশের দূতাবাস চলে ঐ দূতাবাসের *তমারানি গুলা তো এই কাম্লাদের চিনতেয় পারেনা ।

৭। দূতাবাসের দূত গুলা তাদের বউ এর সাথে বিছানায় শুয়ে চাদরের তলে ফষ্টিনষ্টিতে সারাদিন ব্যস্ত থাকে । ৮। প্রতি বছর অবয়ধ পথে বিদেশে যাওয়ার সময় সাগরে ট্রলার ডুবি তো নিত্যনতুন ব্যাপার । এগুলা আমাদের গায়ে লাগেনা ।

অবশ্য আমরা যে কৃতজ্ঞতা স্বরুপ ঐ কামলাদের কথা স্বীকার করি এইটায় তো বড় কথা । কামলারা খালি খাটবো আর আমরা বীর পুরুষ তারা খালি শ্রমের মর্যাদা হ্যান ত্যানের বাল ছাল কথা বলিব । আমরা আসলেই কি মর্যাদা দেয় তাদের ?? আরেকটু ভাবি ?? আপনার বোন অথবা মেয়ের বিয়ে কি তাদের সাথে দেন যাদের পাঠানো টাকাতে াল কাটার জন্যে হাংকি পাঙ্কি রেজার কিনেন ?? ঐ কাম্লাগো বিয়ে হয় ওর মত কামলার বোন অথবা মেয়ে সাথেই । সো এই সব আবাল মারকা কথা আমারে বলিয়া লাভ নাই । আপানারা আপ্নাগো বোনের অথবা মেয়ের বিয়ে দেন প্রিন্স অব বাংলাদেশের মত আদম ব্যাপারি কেই ।

যার যত ট্যাকা আপানার বোন অথবা মেয়ে তাঁরই । সো নো হাংকি পাংকি উইথ মি ? আসলে সব দোষ আল্লাহ্‌ তায়ালারই । গরিব মানুষের কেউ থাকে না । কিছুই থাকে না । এ জগতে তারা হল সরকারি মাল ।

নিশিকন্যার মত সরকারী মাল । নিশিকন্যারা বিছানায় শুয়ে তাও কিছু ট্যাকা টুকা পায় । এরা তাও পায় না । যার যখন যে ভাবে মুন চাই তখন সেভাবে মজা লুটব । কে ঠেকায়বো এই বীর বাঙ্গালিগো ?? ডাক্তার আইজুর মত বলতে হয় “চুতিয়াদের দেশে থাকিরে ভাই ।

” কথা গুলা আমরা সকলেই জানি তবুও দূর্যোধন দূর্যোধন এর স্ট্যাটাস টা পড়ি এয়ারপোর্টে নামার পর প্রথম কাজ স্মোকিং জোন খুজে বের করা । স্মোকিং জোন খুজে পেতে সমস্যা না হলেও সমস্যা হলো লাইটার পাওযা নিয়ে । বাচ্চা বাচ্চা চেহারার এক ছেলেকে মনে হলো উপমহাদেশীয় । রিস্ক নিলাম না । ''ডু ইউ হ্যাভ লাইটার??'' একগাল হেসে সে বললো , ''স্যার নেন ! আমি বাংলাদেশি '' কথা হলো কিছুক্ষন।

সাউথ আফ্রিকা যাচ্ছে । মোজাম্বিক থেকে ইল্লিগালি ঢুকবে সেখানে । হাসিমুখ দেখে কেউ বুঝবেওনা দালালের কাছে পাসপোর্ট সহ সব কিছু রেখে দেয়া হয়েছে । এমনকি সিগারেটও । 'স্যার , দুইটা বেনসন দেবেন? দেশের টান কতদিন দেই না ।

বদলে এই মার্ল্বরোগুলা রাখেন '' । আমি তাকে পুরো প্যাকেট বেনসনই দিতে চাইলাম , নিলো না । দালাল নাকি সেটাও নিয়ে নেবে ! দুইটা বেনসনই নিয়েই অনিশ্চিত যাত্রার পথে থাকা ছেলেটি কি যে খুশী !! মনে পড়ে , রেলস্টেশনেও একবার এক পথশিশুকে 'ভাংতি নাই , দুই টাকা পরে নিস' বলতেই সে কিরকম আশা নিয়ে বলেছিল - '' কাল দুই টাকা দিবেন তো '' ? দুই টাকার জন্য মানুশ অপেক্ষায় থাকতে পারে , সব লুট হয়ে যাচ্ছে জেনেও দেশের 'বেনসন' টেনেও মানুষ খুশী থাকতে পারে ! আজব সহজ মানুষ গুলো , আর জটিল জীবন । Cest la vie !! এই তো জীবন । চলবে ।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।