আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসাধারন শেষ চৈত্র.....

কাছিম চরিত্র ধারন করিয়াছি..........

কি যেন একটা স্বপ্ন দেখছিলাম। মনে পড়ছেনা। সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখলাম হলের ছয়জনের রুমটা শুনশান। থাকার ই কথা। তখন বারোটা ছাড়িয়েছে।

আরো আগে ওঠা উচিৎ ছিল। অফিস নেই। একটা প্রোগ্রাম ছিল। অপরাজেয় বাংলায়। বাউলদের চুল কেটে দেয়ার প্রতিবাদে।

গতকার পোষ্টার লিখেছিলাম। কিন্তু আজ যেতে পারলাম না। বাজে একটা অভ্যাস করেছি। রাত জাগা। কারন ছাড়া।

সাকালে উঠে আবার গড়াগড়ি করা হয়। নীল রঙয়ের গেঞ্জিটা বের করলাম। ২০০৫ এ কেনা। মাঝখানে পড়া হয়নি। সব জামাকাপড় নোংরা।

অবশ্য সব মিলিয়ে সংখ্যাটা বলার মত না। মানিব্যাগ হাতড়ে দেখলাম। ৭৭ টাকা সাকুল্যে। ধার করতে হবে। গতকাল দুইজনকে নক করেছি।

কারো কাছে নাই। সবগুলা আমার মত ফকির। এখনও নেটের বিল দিইনি। কেন্টিনে বাকী পড়েছে ছয় হাজারের বেশী। ছোট ভাইটা আসবে ঢাকায়।

এ মাসটা থাকবে। চিন্তার বিষয়। ফোনে গ্রামীনটা ভরা ছিল। চেন্জ করলাম। অনেক দিন পর এ সময়টাতে ক্যাম্পাসে যেতে খারাপ লাগছেনা।

ক্লাশ করছিনা দুইমাস ধরে। আসলে মনস্থির করতে পারছিনা। মার্স্টাস টা করবো কিনা। অপরাজেয় বাংলার প্রোগ্রাম শেষ। বন্ধুরা বল্লো ভালো পোগ্রাম হয়েছে।

টিচার ছিল চল্লিশজনের বেশী। বাউল এসছিলেন। ছাত্র ছাত্রীরা তো ছিলোই। আমি এসব শুনছিনা। একজনকে খুজছি।

ওর বেতন পাবার কথা গতকাল। টাকা দরকার। ফোন দিলাম। সে আসছে, প্রেসক্লাবে এসাইনমেন্টে ছিলো। ফোনের ব্যালান্স এখন দুইটা টাকা কয়েক পয়সা।

তিনি আসলেন। বল্লেন বিশটাকা দে। দিলাম। রিক্সাভাড়া। এরপর জিজ্ঞেস করলেন কিছু টাকা ধার দিতে পারবো কিনা।

তিনি বেতন পান্নাই। শুকনা হেসে না করলাম। মনে মনে আবার খোজা শুরু করলাম। এবার কার কাছে চাওয়া যায়। তিনটা নাম্বারে ফোন দিলাম।

কেউ ধরছেনা। মাঝখানে দুপুরের খাবার খেয়ে পকেটে ঝেড়ে দিয়েছি। আর লিখতে ইচ্ছে হচ্ছেনা। মেজাজ খারাপ। এখন ঘুমোবো।

কাল তো ক্যাম্পাস মাছের বাজার হবে। সো, কাল ও ঘুমাবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.