আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এমন মৃত্যু ক’জনের হয়



শুকবার রাত সাড়ে ৯ টা। মণিরামপুরে আওয়ামী লীগের কর্মসূচী সেরে বাড়ি যান যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক যশোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি স্বপন সিংহ রায়। বাড়ি ফিরে পরিবারের স্বজনদের সাথেই সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। তারপর আবার উঠে পড়েন তিনি।

স্ত্রী-সন্তানদের বলেন, ডাক্তার দেখিয়ে আসি। এসে এক সাথে সবাই বসে খাবো। এরপর স্বপন সিংহ রায় একাই একটি রিক্সা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। পুরাতন কসবা কাঠালতলা এলাকার বাসা থেকে চলে আসেন দড়াটানা হাসপাতালে। তখন হাসপাতালের সামনে ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড, সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মনিরুল ইসলাম মনিরসহ আরো অনেকেই।

তাদের সাথে স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলেন তিনি। তারপর চলে যান ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারকে বলেন- তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করছেন। ডাক্তার তাকে সে মতে চিকিৎসাও দিতে থাকেন। কিন্তু কে জানতো এই লোকটির ইহকাল শেষ হয়ে গেছে।

কথা বলতে বলতেই তাই তিনি ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। ঘটনার আকস্মিকতায় থ’ হয়ে যান সবাই। কেউ জোনো কাঁদতেও পারছিলেন না। ক’মিনিট আগে যে লোকটি সবার সামনে দিয়ে হেটে গেলো সে লোকটি নেই ! মৃত্যুর হিমশিতল স্পর্শ যে এমনই হয়- তা মানতে চাচ্ছিলেন না অনেকই। তাই বাকরুদ্ধ হয়ে অনেকই ছোটেন হাসপাতালে।

সে খানে গিয়ে সবাই দেখেন সত্যি সত্যি অমায়িক ব্যবহারের অধিকারি স্বপন সিংহ রায় আর নেই। সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন পরপারে। স্ত্রী-সন্তানদের সাথে তার আর রাতের খাওয়া হয়নি। তার পরিবর্তে বুক ফাটা কান্নার রোল পড়ে তাদের বাড়িতে। জন্মিলে মৃত্যু অনিবার্য।

এ নিয়ে কারো কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু স্বপন সিংহ রায় যে ভাবে হারিয়ে গেলেন- তেমন মৃত্যু ক’জনের হয় ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।