আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায় কৌতুকঃ '' পা হারানো লিমন "

সত্য বল সুপথে চল, ওরে আমার মন ...
কথায় আছে কারো পৌষ মাস,কারো সর্বনাশ। পা হারালো লিমন আর আমাদের মিডিয়াগুলোও নিউজের খোরাক পেয়ে গিয়ে সমানে লিখে চলছে '' পা হারানো লিমন ''। এ এক মহা কৌতুক। শিক্ষার্থী লিমনের পা কারা নষ্ট করেছে? উত্তর খুব সহজ ''র‌্যাব''। কিন্তু এই র‌্যাবই যখন প্রথম দিকে একের পর এক সন্ত্রাসীদের ক্রসফায়ারে মেরে ফেলতে শুরু করলো তখন আমাদের কোনো পত্র-পত্রিকা-চ্যানেল কোনো বক্তব্য দেয়নি এর বিরুদ্ধে।

বরংচ ফলাও করে বিভিন্ন কায়দায় প্রচার করেছে র‌্যাবের কীর্তি। আর আজ সেই র‌্যাবেরই হাতে প্রহৃত শিক্ষার্থী লিমনের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উল্টো করুনা করে বলছে '' পা হারানো লিমন ''। একই বলে রসিকতা। র‌্যাব বিগত ৪ দিন ধরে লিমনের গ্রামের বাড়িতে চিরুনি অভিজানের মতো করে অভিজান চালাচ্ছে। গ্রামের লোকজনকে শাসিয়ে চলছে যাতে তারা র‌্যাবের পক্ষে বলে আর লিমনের বিপক্ষে।

যে এসআই আরিফুল ইসলাম গত সোমবার বলেছে ' আহত লিমন ভালো ছেলে ও তার নামে রাজাপুর থানায় কোনো অবিযোগ নেই'। অথচ সেই এসআই একদিন পরেই অর্থাৎ মঙ্গলবার বলেন ' লিমনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় আগের একটি মামলা আছে'। কেন? লিমনের কলেজের নাম কাঠালিয়া পিজিএস কারিগরি কলেজ। সেই কলেজের অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন মাহমুদ নিজেই বলেন, লিমন শতকরা ৮০ ভাগ ক্লাসে উপস্থিত এবং তার রেজাল্ট সন্তোষজনক। এই লিমনের এবার এইএসসি পরীক্ষার হলে বসবার কথা ছিলো কিন্তু পালোনা রাষ্ট্রীয় সন্তাসীদের কালো থাবার কারণে।

এর দায় কে নেবে? রাষ্ট্র? অথচ এই লিমনকেই সন্ত্রাসী বানিয়ে বাংলাদেশের তথাকথিত র‌্যাব বাহিনী তার বাম পাকে নষ্ট করে দিলো। এতো ক্ষমতা তাদের কে দিলো? জনগনের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করার কি অধিকার তাদের আছে? সারাদেশে লিমনের মতো অনেক লিমন এমন অত্যাচারের শিকার হয়েছে এই র‌্যাব দ্বারা। প্রচারের অভাবে তাদের খোজ আমরা জানি না। কিন্তু যে পরিবারে ঘটেছে সেই ঘটনা সেই পরিবার গুলোই জানে এর কি যন্ত্রনা। মানুষ খারাপের কাছ থেকে খারাপ কিছুই আশা করে থাকে, কিন্তু যার কাছে মানুষ আশ্রয় চায়, তার কাছ থেকেই যখন আক্রান্ত হয় সেই কষ্ট হয় অবর্ণনীয়।

আরে আমি নিজে স্বাক্ষী রাস্তার পাশে সন্ত্রাসীরা আমাকে একের পর এক কোপাচ্ছে আমি চিৎকার করছি, র‌্যাব আমার পাশ দিয়ে চলে গেল নির্বিকার। আমি দেখেছি, র‌্যাব কিভাবে ক্রসফায়ার করে। পেছমোড়া করে বেধে রাখা হাত টা ধরে বিশাল এক ঝাকুনি দিয়ে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে একের পর এক গুলি করে তারা। রাতে অন্ধকারে নীরিহ মানুষের বাসায় সন্ত্রাসী ধরার নামে বাসার গৃহবধু-মেয়েটার শরীরে হাত দিয়ে যৌনসুখ নেয়। কখনও কখনও দেয় অশ্লীল প্রস্তাব।

এ আসলে কাদের চেহারা? কাদের চেহারার সাথে যেন মিল খুজে পাই। হ্যা, সেই পাকিস্থানী বাহিনীর জওয়ানদের সাথে মিল খুজে পাচ্ছি পুরোপুরি। হবেইতো, এখনও যে ওই ভুত আমাদের দেশের মানুষের উপর থেকে,সামরিক বাহিনী থেকে আর আমাদের রাজনীতি বিদদের কাধ থেকে নামেনি। বরংচ আরো জেকে বসেছে। যারা এই র‌্যাব নামক অবৈধ সন্তানের জন্ম নিয়েছেন তাদেরকই দায় নিতে হবে যাবতীয় ক্রাসফায়ার নামক হত্যাকান্ডের।

তাদেরকেই বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। দরকারবোধে প্রকাশ্য রাস্তায় তাদের গুলি অথবা ফাসি দিয়ে হত্যা করতে হবে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করত হবে মানুষ কে মানুষ না মনে করার শাস্তি কি হতে পারে সেই হিসেবে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।