আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৩ বছর পর শনিবার সিরাজগঞ্জ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

যাহা বলি সত্য বলি....

প্র্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শনিবার সিরাজগঞ্জ সফরে আসছেন। দীর্ঘ ১৩ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নতুন রূপে সেজেছে সিরাজগঞ্জ। সফর সফল করতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও প্রশাসনের চোখে ঘুম নেই। প্রধানমন্ত্রীর সফর সংশ্লিষ্ট স্থান ও আশেপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সয়দাবাদে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, তারপরপরই সয়দাবাদ থেকে এনায়েতপুর সড়কের সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন, বিকেল ৩াঁ ২০মিনিটে দীর্ঘদিনের বন্ধ থাকা সিরাজগঞ্জ কওমী জুট মিল পুনরায় চালু কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

এছাড়া বিকেল সোয়া ৪টায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভয় প্রধান অতিথি হিসেবে তার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। বিকেলেই প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে সিরাজগঞ্জ ছাড়বেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সিরাজগঞ্জ আগমনকে প্রাণবন্ত করতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে কলেজ মাঠ, কওমী জুট মিল ও সার্কিট হাউসসহ শহরের গু‘ত্বপূর্ণ স্থানসমূহে দল ও বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো এলাকাজুড়ে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত বিশাল আকৃতির প্যানা সাইন বোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিভাগ এবং শহরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও রং তুলির কাজ করা হয়েছে।

সবকিছু মিলে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রস্তুত পুরো জেলা। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফর ও জনসভা সফল করার লক্ষে সিরাজগঞ্জে এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন উপদেষ্টা এইচ.টি.ইমাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না। তারা দলীয় পযায়ে বৈঠক ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফর ও কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় সিরাজগঞ্জের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন দাবি দাওয়া উপস্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সিরাজগঞ্জে আগমন উপলক্ষে জেলাবাসীর মধ্যেও উৎসাহ- উদ্দীপনার কমতি নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের প্রত্যাশাও অনেক। জেলাবাসীর দাবির মধ্যে রয়েছে: শহর রক্ষা বাঁধ ‘হার্ড-পয়েন্ট’থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, শিল্প পার্কের কার্যক্রম পুরোদমে চালু, সিরাজগঞ্জ যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঘোষিত সার কারখানা নির্মাণ, জেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানা ও গৃহ¯া’লীতে বিশেষ বিবেচনায় গ্যাস সংযোগ চালু, শহীদ রাসেল পার্ক নির্মাণ, রবীন্দ্র স্মৃতি বিজরিত শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, সিরাজগঞ্জ শহর হয়ে বগুড়া পর্যন্ত রেল সংযোগ নির্মাণ ও রায়পুরে জংশন স্থাপন। এছাড়া জেলায় টেকনিক্যাল ট্রেনিং স্কুল ও মেরিন একাডেমি নির্মাণ এবং যমুনা নদীতে স্থায়ীভাবে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে নাব্যতা সৃষ্টি ও নদীগর্ভে বিলীন হওয়া কৃষিজমি ও বশতভিটার পূনরুদ্ধার ও আবাসন কার্যক্রম চালু। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সয়দাবাদে পূর্বঘোষিত ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত প্রকল্পের বাস্তবায়ন, তাঁত শিল্প কল-কারখানা ও কৃষিক্ষেত্রে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, বাঘাবাড়ির মিল্ক ভিটার আদলে আরও কয়েকটি দুগ্ধ কারখানা স্থাপন, দীর্ঘ দিনের বন্ধ থাকা সরকারি সূতা কল চালু করাসহ বেসরকারিভাবে আরও কযেকটি পাট কল চালুর উদ্দোগ গ্রহণ।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান জানান, অন্যান্য দাবি ছাড়াও ১০০ শয্যার সরকারি জেলা সদর হাসপাতালকে ২৫০-শয্যায় উন্নীত করা, সদর হাসপাতালে কার্ডিয়াক ও বার্ন ইউনিট চালু করা, বঙ্গবন্ধু ইকো পার্কের উন্নয়ন, প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী নবরতœ মন্দির, বেহুলার কুপ ও ভিটাসহ জেলার সকল প্রতœতাত্বিক নিদর্শনের সংরক্ষণ এবং পর্যটকদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতসহ বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে হাটিকুমরুল মোড় এবং জেলার নলকা ও কড্ডার মোড় থেকে শহর পর্যন্ত ডিভাইডারসহ ৪-লেনের সড়ক নির্মানের দাবিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। আমাদের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী জেলাবাসীর দাবি পূরণের ঘোষণা দেবেন। সিরাজগঞ্জ স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক ডাঃ জহুরুল হক রাজা বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর চালুর পর উত্তারাঞ্চলের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলা আরও পিছিয়ে পড়েছে। জেলাবাসীর এসব দাবি পূরণ হলে সিরাজগঞ্জ পরিপূর্ণ শিল্প নগরীতে পরিণত হবে।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।