আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হয়, আপনি ধরে নিছেন আমরা ছাগল নয় আপনি একজন নির্লজ্জ দলকানা মানুষ।

এইটা আমার ব্লগ।

এই বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এবং আরও বিভিন্ন আয় থেকে সরকার প্রায় ১২০ হাজার কোটি আদায় করে এবং এই ১২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৬০,০০০ কোটি টাকা বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে সরকার ব্যয় করে। এই ৬০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৭০% লুটপাট হয় এবং বাকি ৩০% দিয়ে সরকার কিছু প্রজেক্ট করে। তার মধ্যে দুই তিন হাজার টাকার কিছু সিগ্নেচার প্রজেক্ট থাকে। যেমন ওভারব্রিজ বা রেল এর বগি কেনা বা আরও কিছু ডেভেলপমেন্ট এক্তিভিটি ।

সম্পূর্ণ মেরে খাওয়ার পর বাকি থাকা টাকা দিয়ে গড়া এই একটা দুইটা ওভার ব্রিজ আর রেল এর বগি কেনা কে নিজস্ব অর্জন হিসেবে দেখিয়ে পোষা বুদ্ধিজীবী এবং দলকানারা সম্মিলিত ভাবে সাফল্যের যে কোরাস গাইতে থাকে, তা এত আনচেলেঞ্জড ভাবে পার পেয়ে যায় যে তা আমাদের সামগ্রিক অর্থনৈতিক বুদ্ধিব্রিত্তিক দ্বীনতাটা প্রকট ভাবে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। সরকার এর পুরো বাজেটে কত টাকা দুর্নীতি হয় তা মাপার কোন সুযোগ আমাদের নাই। কিন্তু, যেই দেশের জিডিপির ১৮% আসে ন্যাশনাল বাজেট থাকে সেই দেশে দ্রশ্যমান দুর্নীতি এবং অদ্রশ্য খরচের পার্থক্যে থেকে বোঝা যায়, এই ১২০ হাজার কোটি টাকার বড় একটা অংশই মেরে খাওয়া হয় এবং এবং অল্প টুকুই প্রোজেক্ট একজিকিউশান হয়। কিন্তু, তাতেই তাদের গর্ব দেখে তাজ্জব বনে যেতে হয়। আমাদের অর্থনীতিটা প্রথিবির ৫৫ তম বৃহত্তম।

ফলে, আমাদের দেশে যত বড় বাজেট হয় তাতে বিএনপি হোক, আওয়ামী লীগ হোক আর এরশাদ হোক সবাই কোন না কোন প্রজেক্ট দেখাতে পারবে। চাপাবাজি যেইখানে প্রধান স্টাটিসটিক্স সেই খানে, আসলে বিএনপি না আওয়ামী লীগ বেশি দুর্নীতি করছে বা কে কার চেয়ে বেশি উন্নতি করছে তার চেয়ে বড় ইন্ডিকেটার হওয়া উচিত, ইন্সটিটিউশান বিল্ডিংএ একটা সরকার এর অবদান কতটা তার ভিত্তি করে। কারন, শুধু মাত্র ভিজিবল ইন্ডিকেটার নয়, এই ইন্সটিটিউশান গুলোই একটা দেশের কাঠামো ধরে রাখে, যার মধ্যেই দেশে সুশাসন, উন্নতি, সামাজিক শোষণ থেকে মুক্তি এবং দারিদ্র মুক্তি নিশ্চিত হয়। এই হিসেবে বিগত চার বছরে, আওয়ামী লীগ এর অবদান যদি দেখেন, তাহলে দেখবেন আওয়ামী লীগ একটাও প্রতিষ্ঠান গড়ে নাই বা সংস্কার করে নাই। বরং আওয়ামী লীগ এর এই আমলে গত ৩৫ বছরে গড়ে তোলা অনেক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গ্যাছে, বা ধ্বংসের দারপ্রান্তের চলে গ্যাছে।

এর প্রথমেই আসবে ব্যাঙ্কিং সেক্টর এবং শেয়ার মার্কেট। সরকারি ব্যাংক গুলোতে হাজার দুর্বলতা সত্ত্বেও বিগত ১০/১৫ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক এর কড়া নজরদারিতে ব্যাংক গুলো খেলাপি ঋণ সংস্কৃতি থেকে নিজেদেরকে গুছিয়ে এনেছিল। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান এবং আসম কিবরিয়াকে এর জন্যে ক্রেডিট দিতে হবে। কিন্তু আনপ্রেসিডেন্টেড ভাবে, এই সরকার ক্ষমতা নেয়ার পরে ছাত্র লীগ, শিক্ষক লীগ, দলকানা লীগ ইত্যাদি ইত্যাদি হতে আকণ্ঠ দুর্নীতিমগ্ন এবং যোগ্যতাহীন ব্যাক্তিদেরকে সরকারি ব্যাংক এর ডাইরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এবং তাদের হাতে দেশের টাকশালের চাবিটা দিয়ে দেয়া হয়।

এবং তাদের প্রত্যক্ষ কন্ট্রিবিউশানে, ব্যাংক গুলোর আমানত কে খেলাপি ঋণে পরিনত করা হইছে। এদের কল্যানে আজ ৩০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি বাংলাদেশে এখন ডাল ভাত হয়ে গ্যাছে। আমরা হলমারক এর তানভির কে গালি দেই। কিন্তু তানভিররা সুযোগ নেবেই। এই তানভিরদের সুযোগ করে এবং সহায়তা করে রাস্তাটা বানিয়ে দিছে আওয়ামি লিগ এবং শেখ হাসিনার সরকার।

(আজকেও ডেইলি স্টার এর পড়লাম ১২০০ কোটি টাকা মেরে দিছে বিসমিল্লাহ গ্রুপ। সবাই বলেন, আমিন। ) শেয়ার মার্কেট এর কথা সবাই ভুলে গ্যাছে। কিন্তু, এই শেয়ার মার্কেটকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে, দেশের মধ্যেবিত্তের সঞ্ছয় কেড়ে নিছে, কিন্তু এই আওয়ামিগ এর পলিসি প্রসেস এবং সিস্টেম। এর প্রধান বেনেফিসিয়ারি ছিল সেই ১৯৯৬ এর নায়ক দরবেশ এবং এইবার সাথে আরও যোগ হইছিল, লোটা কম্বল এবং আওয়ামী লীগ বিএনপি সহ ফাইনান্সিয়াল মার্কেট এর আরও অনেকেই।

কিন্তু পুরো দেশ, মেডিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক, স্টক এক্সচেঞ্জসহ এই পুরো সিস্টেম কলাপ্স এ নেতৃত্ত দিছে, আমাদের দেশের রাবিশ অর্থমন্ত্রী। আমাদের মত অনেকে যারা অর্থনীতির বেসিক নিয়ে, দুই একটা পাতা পড়াশোনা করছি, আমরা বার বার বলছি, এই মার্কেট পড়বে। এই মার্কেট এ জাস্ট কাগজ বেচা কেনা হচ্ছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী তখন বলে গ্যেছে, এই বুম আমাদের উন্নতির অবদান। গ্রামে গঞ্জে ব্রোকার হাউজ খোলা হইছে,বিদেশে গিয়ে ব্রোকার হাউজ খোলা হইছে, মধ্যে বিত্তের সঞ্চয় কে টেনে নিয়ে এনে, দরবেশদের খপ্পরে নিয়ে আনার জন্যে।

আমার কাছে এইটা পুরো সিস্টেমের কলাপ্স যার পুরো দায় আওয়ামী লীগ এর। কারন, একটু সতর্ক হলেই, এইটাকে ঠেকানো যেত। হিন্ডসাইটে এমন বলছিনা। এই সাজানো স্টক মার্কেট মার খেয়ে যে, অনেক লোক আত্মহত্যার পথ নিজে নেবে এইটা তখন দিবালোকের মত সত্য ছিল। এরপরে আসেন বিচার বিভাগ।

সব সরকার বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কে দলীয় করন করছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ এর হাতে, এই দলীয়করনে কোন রাখঢাক এবং লোকলজ্জা করা হয় নাই। আগের সরকার এর আমল গুলোতে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ নিয়ে কিছু মস্করা করত কিছু চুশিল, এই আমলে তা বন্ধ হইছে। ফর একজামপ্ল আওয়ামী আমলে র্যা ব এর হাতে মানুষ হত্যা হালাল ছিল। বিচার বিভাগ আওয়ামী লীগ এর নির্লজ্জ তরবারিতে পরিণত হইছে।

ইদানিং বিভিন্য ইস্যুতে কোর্ট এ গিয়ে মানুষ জনের কাছে নাম উল্লেখ করে শুনতে পাই, কোন কোন জাজ পয়সা খেয়ে রায় দেয়। বিচার বিভাগ এবং কোর্ট সিস্টেমে বছর এর পর বছর ধরে চলে দীর্ঘসূত্র বিচার প্রক্রিয়ার কারনে, বাংলাদেশের মানুষের যে ব্যাপক ভোগান্তি তা দূর করতে আওয়ামী লীগ কোন উদ্দেগ নেয় নাই। বিচার বিভাগ আধুনিকিকরনের কোন উদ্দেগ সরকার নেয় নাই। বিরোধীদল এর নেতাদের যেভাবে সরকার এর ইচ্ছা মত জামিন হচ্ছে, ঢোকানো হচ্ছে, বের করা হচ্ছে তাতে সরকার এর ইচ্ছার সাথে বিচার বিভাগ এর কোন পার্থক্যই করা যাচ্ছেনা। শিক্ষা খাতে একটা নতুন ইউনিভারসিটি হয় নাই, সরকারি স্কুল হয় নাই, একটা মেডিকেল, টেকনিকাল, পলিটেকনিকাল ইউনিভারসিটি হয় নাই।

জাতীয় ভার্সিটি যেই খানে এই দেশের ম্যাক্সিমাম গ্রাজুয়েট পড়ে, তাতে সেশন জট হইছে প্রায় ৮ বছর মেয়াদি। শিক্ষা খাতকে রাজনিতিকরন করা হইছে নির্লজ্জ ভাবে। আইন করা হইছে, প্রতিটা স্কুলে এমপি কোটায় ১০% সিট রাখতে হবে। প্রতিটা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ হইছে, আওয়ামী লীগ এর প্রতি আনুগত্য এবং লেজুড়ব্রত্তির ইতিহাস এর ম্যাপকাঠিতে-মেধা বা যোগ্যতা বা নিয়ম অনুসারে সিন্ডিকেট এর ইলেক্সান অনুসারে নয়। এবং সহজ পরিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে এভারেজ এবং লো এভারেজ মেধার ছাত্রদের এ প্লাস দেয়ার মাধ্যমে পড়া শোনাকে এমন একটা রসিকতায় পরিণত করা হইছে যে, মেধাবি ছাত্ররা নিরুৎসাহিত হয়ে গ্যাছে পরিস্রম করার ব্যাপারে।

ফলে, পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থায় একটা ডাম্বিফিকেসান হইছে। যেই সিস্টেমের পাইপের এক সাইডে ঢুকবে মেধাবি ছাত্র এবং আরেক সাইডে বের হয়ে আসবে এ প্লাস ধারি কিছু স্টুডেন্ট, যাদের ম্যাথ, সাইন্স,ইতিহাস, ইংরেজি, ক্রিটিকাল এনালীসিস কোন দিকেই গভীরতা নাই । এবং বিশ্ব কম্পিটিশানে যখন সে পরবে, তখন ডেইলি লেবারি করা ছাড়া কোথাও সে প্রতিদন্দিতা করতে পারবেনা। তবুও বলতে হয়, একটা মানুষের মধ্যে চেষ্টা ছিল। তিনি হলেন শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি সেকেন্ডারি লেভেলে কারিকুলাম কারেকশানের জন্যে চেষ্টা করেছেন, তার নিজের সাধ্যমত। অনেক স্কুলকে এমপিওর আন্ডারে এনেছেন। শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়েছেন। কিন্তু, সিস্টেম এর স্রোতের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো একটা মানুষ আর কত করবে? তার চেসটার সুযোগ নিয়ে, সচিবেরা তাদের নিজের লেখা কবিতা ঢুকাইছে, যে সবে বঙ্গেতে জন্মে হিংসে বঙ্গবাণীর মত ক্লাসিক কবিতার বাদ দিয়ে। কিন্তু, এই লোকটাকে সালাম তার চেষ্টার জন্যে।

কিন্তু, আমার একজন প্রাক্তন বস এর মত বলতে হয়, you have done hard work, thanks. But, effort does not count only result matters. আসেন প্রশাসনে। প্রশাসনকে শুরুতে উইচ হান্টিং করা হইছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষের শক্তি নাম দিয়ে। কিন্তু উদ্দশ্যে ছিল, দুর্নীতির উদ্দেশ্যে আওয়ামি অনুগত দের জায়গা করে দেয়া। প্রশাসনকে আধুনিকিকরন করা বা নতুন ইনফরমেশান সিস্টেম এর আন্ডারে মডার্ন মেনেজমেন্ট প্রাকটিস নিয়ে আসার কোন চেষ্টা করা হয় নাই, যেইটা ছিল সময়ের দাবী। তত্ত্বাবধায়ক আমলে, অনেক গুলো ভুল হইছে।

কিন্তু একটা কাজ ঠিক ছিল। সেইটা হইলো, একটা শক্তিশালী দুদক গড়ে তোলা। যেই দুদকটাকে আরও ক্ষমতা দিয়ে, আরও শক্তিশালি করে , আইনি কাভার দিয়ে সরকারি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে একটা শক্ত প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি গড়তে পারতো আওয়ামী লীগ। যেই প্রতিষ্ঠান হতে পারতো, দুর্নীতির বিরুদ্ধের এই দেশের মানুষের রক্ষা কবচ। কিন্তু, আওয়ামী লীগ নিজেই দুর্নীতিবাজদের পক্ষে দাড়াইছে।

এই টার্গেটে আওয়ামী লীগ এর প্রথম কাজ ছিল দুদক কে বসিয়ে দেয়া। এবং দুদকের আইনি ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আইন করা হইছে প্রাইম মিনিস্টার এর অফিসের পারমিশান না নিয়ে কোন বিচার করা যাবেনা। এবং কোন বিচারকারজে যদি দোষ প্রমান না করা যায়, তাহলে তদন্তকারি অফিসারকে জেল খাটতে হবে। কি অবিশ্বাস্য একটা আইন। এর উদ্দেশ্য ছিল ক্লিয়ার।

যাতে কোন ভাবেই কোন দুর্নীতির কোন বিচার দুদক করতে না পারে। যার ফলাফল হিসেবে, বিগত পাচ বছরে এক জন দুরনীতি বাজ কর্মকর্তারও বিচার হয়নি। একজনও না। এই স্ট্যাটিস্টিকই যথেষ্ট, আওয়ামি লীগ এর উদ্দেশ্য বুঝতে। এর আগে দুই কোটি টাকার নিচের কাজ করতে হলে, ৫ বছরের এক্সপেরিয়েনস লাগতো।

কিন্তু, আওয়ামী লীগ তাদের ক্যাডারদের কন্ট্রাক্ট এবং টেন্ডার দেয়ার জন্যে, এই নিয়ম টা বাতিল করে । ফলে গত পাচ বছরে, একটা কন্ট্রাক্ট বা টেন্ডারও হয় নাই, যাতে প্রত্যক্ষ ভাবে দুর্নীতি হয় নাই এবং যার ফলে আওয়ামী লীগ এর ক্যাডার বা প্রশাসনের হর্তাকর্তারা কন্ট্রাক্ট কন্ট্রাক্টে হিস্যা পায় নাই। একটাও দেখাতে পারবেনা। অবস্থা এত খারাপ হইছে। ভুতুড়ে বিল দেখিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের লোক এখন কি ভয়ংকর অত্যাচার করতাছে, অফিস এবং প্রতিষ্ঠান এর উপর তা চিন্তাও করতে পারবেননা।

কারন, সরবোচচ পর্যায় থেকে প্রশ্রয় দেয়া হইছে দুর্নীতির। আবুলের মত চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ কেও, সরকার দেশপ্রেমিক সারটিফিকেট দিছে। পুলিশ বিভাগ কে কোন সিস্টেম ছাড়া কোন বিচার ছাড়া, গুলি করা শেখানো হইছে। পুলিশ, ডিবি, এন এস আই এবং অন্যান্য প্রতিস্ঠানে এমন ভাবে প্রাক্তন ছাত্র লীগ এর ক্যাডারদের ঢোকানো হইছে যে, অনেক সময় ছাত্র লীগ এর সাথে পুলিশ এর পার্থক্য করা মুশকিল হয়ে গ্যাছে। কিছু কিছু আন্দোলন এর সময় দেখা গ্যাছে, ছাত্র লীগ এর ক্যাডাররা পুলিশের ভেতর থেকে পাশা পাশি গুলি ছুড়তাছে।

এইটা যে পুরো রাষ্ট্র যন্ত্রের পুরো আইনি ব্যবস্থার এবং পুরো সিস্টেমের কত বড় একটা অবৈধ গর্ভপাত - তা চিন্তা করলেও শিওরে উঠতে হয়। সব চেয়ে বড় ভণ্ডামিটা করা হইছে, ডিজিটাল বাংলাদেশের নাম দিয়ে। এই ২০১৩ সালে এই ন্যশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে হয় নাই। যেইটা না হলে, প্রতিটা ব্যাংক এর সম্মিলনে একটা উনিভারসাল পেমেন্ট সিস্টেম না থাকার কারনে ইকমার্স হবেনা। এই বেসিক কাজটা সরকার চাইলে মাত্র ১২ মাসে করতে পারত।

কিন্ত সব ছিল লিপ সার্ভিস। এখন পর্যন্ত সরকারি টেন্ডারকে অনলাইন সিস্টেমের আন্ডার আনা হয় নাই। যেইটা করলে টেন্ডারবাজি বন্ধ করা যেত। একদম বেসিক একটা কাজ। ইন্ডিয়া এইটা করে ফেলছে ১৯৯৯ সালে, আমাদের ডিজিটাল পরিবরতনের সরকার ৫ বছরে এই কাজ তা করতে পারে নাই।

সরকার এর একমাত্র মাথা ব্যাথা ছিল, দখল করা। ইন্সটিটিউশান বিল্ডিং, কাপাসিটি বিল্ডিং, দুর্নীতি দুরিকরনে সরকার এর কোন সিন্সিয়ায়ারিটি ছিল না। প্রতিটা স্কুল, প্রতিটা মসজিদ, প্রতিটা ব্রিজ, প্রতিটা টোল, প্রতিটা বাজার, প্রতিটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান সরকার এর লোক জন দখল করছে। এই ভাবে প্রতিটা প্রতিষ্ঠান কে ভেঙ্গে দেয়া হইছে। তবুও আওয়ামী লীগ এর সাপোরটারদের বলতে শুনি, আমরা কুড়িল ওভারব্রিজ করছি, কুইক রেন্টাল এর মাধ্যেমে বিদ্যুৎ বাড়াইছি,এই প্রজেক্ট করছি ওই প্রজেক্ট করছি।

আমার থেকে টাকা নিয়ে, আমাকে একটা জামা কিনে দিছেন। কিন্তু আমার চাকুরি কেড়ে নিছেন, আমার ছেলের স্কুল দখল করছেন, আমার ব্যাংক এর টাকা মেরে দিছেন, আমার চাকুরির জায়গায় আপনার অযোগ্য ভাইরে ঢুকাইছেন, আমার বাসার সামনে রাস্তাটায় কোন সংস্কার করেন নাই, আমার সুবিচার পাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করছেন, আমার ট্যাক্স এর টাকা মেরে খাইছেন। কিন্তু, এই টাকা মারা শেষে আমার টাকা দিয়ে একটা লাল জামা কিনে দিয়ে গর্ব করতাছেন যে আমার জন্যে অনেক করছেন। হয়, আপনি ধরে নিছেন আমরা ছাগল নয় আপনি একজন নির্লজ্জ দলকানা মানুষ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।