আওয়ামী লীগের যে কয়েকজন এমপি, মন্ত্রী আছেন তার মধ্যে মনিরুল ইসলাম মনি ভাই অন্যতম যিনি এখনো কোনরকম স্বার্থ ছাড়াই খোঁজ খবর রাখেন। ক্যালিফোর্নিয়ার লস এন্জেলেসে প্রায়ই বেড়াতে আসেন। ওখানে থাকেন তার ছোটভাই জামি, যিনি একসময় ওখানকার বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়াও ফোবানা সহ নানান কারনে প্রায়ই ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক আসেন। এলেই একটা ফোন করেন, কুশলাদি জিজ্ঞাসা করেন।
সবচেয়ে ভালো লাগে যখন তিনি ঢাকা থেকে বরিশাল যান দৌলতদিয়া হয়ে, কখনো একা, কখনো সপরিবারে, ফেরীতে উঠেই কানাডায় লং ডিসট্যান্স ফোন করে বলেন, শোন, আমি এখন দৌলতদিয়া পার হচ্ছি, তোমার কথা মনে পড়লো, তাই ফোন দিলাম। ক্ষণিকের জন্য ফিরে যাই ২৩ বছর আগের কিছু স্মৃতিতে। ফোন করে গোয়ালন্দের বন্ধুদের বলি, তোরা একটু ঘাটে যা, মনি ভাইয়ের সাথে মিট কর। ওরাও খুশি হয়ে যায়, কিছুক্ষন ঘাটে ওদের সাথে গল্পটল্প করে উনি চলে যান বরিশালের উদ্দেশ্যে। সেই মনি ভাইকে নিয়ে মাঝে মাঝেই খুব বিব্রতকর কিছু খবর দেখে মর্মাহত হই।
সর্বশেষ আজ যেটা দেখলাম, কোন এক মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কোর্টের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দিকে ফোন বাড়িয়ে দিয়ে আইন মন্ত্রীর সাথে কথা বলতে বলেন। এ নিয়ে তিনি এবং ম্যাজিস্ট্রেট উভয়ই পরেন চরম বিব্রতকর এক অবস্হায়। মনি ভাইয়ের মনে রাখা উচিত, সরকারের শেষ সময়ে সরকার মরিয়া কি করে গত পাঁচ বছরে সমুদ্রের অতল গহবরে তলিয়ে যাওয়া 'ভাবমুর্তি' ফিরিয়ে আনা যায়। যে কারনে জনগন সরকারের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সে কারনগুলো সরকার সমাধানতো দুরের কথা তার ধারে কাছ দিয়েও যাবে না। কিন্তু যেহেতু এরা তথাকথিত 'পলিটিশিয়ান', তো এ ধরনের পলিটিশিয়ানরা নিজেদেরকে খুব চালাক ভাবে।
যেমন সকালের দিকে রাস্তার পাশে বসে যায় অনেকে 'প্রাকৃতিক' কাজ সারতে। সামনের দিকে ছাতি ফুটিয়ে ধরে, মনে করে কেউ তাকে দেখতে পাচ্ছে না। কিন্তু পিছনের দিকে যে পুরোটাই উদোম, দেখা যাচ্ছে, তা কিন্তু তারা টেরও পায় না। এরকম চালাক। তো এরা কখনোই জাতীয় স্বার্থ ক্ষুন্নকারী দেশপ্রেমিক আবুল হোসেনের টিকিটিও ছোবে না, কিংবা হাতে নাতে ধরাপড়া রেলওয়ের কালো বিড়ালকে লজ্জার মাথা খেয়ে দেশোবাসীর উদ্দেশ্যে 'নসিহত' বিতরন করার সুযোগ দিয়েই যাবেন, জেলখানায় পাঠানোর পরিবর্তে মন্ত্রীত্বে বহাল রাখবেন, সাগর-রুনির 'মাহি' কখনোই তার বাবা মা হত্যার বিচার পাবে না।
কিন্তু এরা ভালো করেই জানে কিভাবে এক ঢিলে অনেক পাখী শিকার করা যায়। আর সে শিকারের টার্গেট যেমন হলেন এমপি রনি, তেমনী এমপি মনি ভাইকে 'বলি' দিতে অতি চালাক পলিটিশিয়ানদের একটুও বুক কাঁপবে না। তাই মনি ভাইয়ের উচিত এখনই সাবধান হওয়া। তবে, সকলের কানে কানে একটা কথা বলি, 'অতি চালাকের গলায়.....' কি যেন হয়? রাজায় কিন্তু ধরা খাইছে, চারিদিকেই চেক, চেক, চেক! নো ওয়ে টু এসকেপ দ্যা স্টর্ম!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।