আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহত মুক্তিযুদ্ধার ভিক্ষাবৃত্তির জীবন!



১৯৭১ সালে রাজশাহীর বেলপুকুর যুদ্ধে একটি পা হারান নূর ইসলাম। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অনেক আগে বাপ-দাদার সাথে ঢাকায় বিক্রমপুর থেকে রাজশাহীতে চলে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের সময় তিনি ইপিআর-এর কাছে ট্রেনিং নেয়ার পর তার দায়িত্ব পড়েছিলো রাজশাহী শহরের শিরইল কলোনীতে থাকা অস্ত্রধারী অবাঙ্গালীদের অবরোধ করা। এরপর নগরবাড়ি ঘাটে ঢাকা থেকে আসা আক্রমণকারী পাক সেনাদের প্রতিরোধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এসময় পাক সেনারা স্বাধীনতাকামীদের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে কৌশলে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়ে আসতে থাকলে তিনি এবং তার সঙ্গীরা বুঝে ফেলেছিলেন সেই কৌশল এরপর বেলপুকুর রেলগেটের কাছে শুরু হয় চরম যুদ্ধ, তিনি গুলিবিদ্ধ হন। ইপিআররা তাকে রাজশাহী হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছিলেন ।

হাসপাতালে অবাঙ্গালীরা হুমকি দিলে তিনি ছাড়পত্র না নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসেন। এরপর তিনি ৭ টাকা নিয়ে কোন রকমে নওহাটা হয়ে কানপাড়া ফলার বিল দিয়ে পৌঁছে ছিলেন বেগুন বাড়ি। পরে সেখানেও টিকতে না পেরে তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন পুঠিয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। দেশ স্বাধীনের পর আবারো তিনি ভর্তি হয়েছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে ঢাকায় তার অপারেশন হয়। সেই সময় বঙ্গবন্ধুর দেয়া ১ হাজার টাকা দিয়ে তিনি একটা কৃক্রিম পা লাগিয়েছিলেন।

বর্তমানে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এখন পেটের দায়ে ভিক্ষা করতে হয়। তিনি থাকেন আসাম কলোনীতে। আমার লেখাও বানানের ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে পড়বেন ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।