আমি আইনের কথা ই শুধু বলবো।
আদালত
আমাদের মধ্যে আদালত নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারনা আছে। এই সম্পর্কে কিছু (জানা বিষয় নিয়ে আবার) লিখলাম।
আমাদের মধ্যে অনেকের আদালতের সম্পর্কে কিছু (তিক্ত ও হতে পারে) ধারনা আছে, তাও আমি আদালতের সঠিক চেহেরা তুলে ধরতে চাই।
আমাদের আদালত প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত।
১। উচ্চ আদালত( সুপ্রিম কোর্ট)
২। নিন্ম আদালত( জেলা আদালত)
সুপ্রিম কোর্টঃ সুপ্রিম কোর্ট এ দুইটা ভাগ রয়েছে ১) High Court Division ২) Appellate Division
হাই কোর্টের যেমনি কিছু আদিম এখতিয়ার আছে তেমনি আপিল আদালত হিসাবে আপিলেট ডিভিশন এর ও কিছু ভিন্নতর এখতিয়ার আছে। হাই কোর্ট যেমন রিট, নির্বাচন, জাহাজ সম্পর্কিত, নিন্ম আদালত থেকে করা আপিল সহ অন্যান্য কিছু বিষয় নিয়ে ফয়সালা করে তেমনি আপিল আদালত হিসাবে আপিলেট ডিভিশন হাই কোর্ট থেকে আগত আপিল গুলোর ফয়সালা করে। কিন্তু মধ্যবিত্তের জন্য সুপ্রিম কোর্ট একটি আতঙ্কের নাম।
কারন এখানে কোন মামলা করা মানেই লাখ টাকার শ্রাদ্ধও। কিন্তু নিরুপায় হলে মানুষকে তো কত কিছুই করতে হয়। আশা করি এমন কিছু আইনজীবীর আগমন ঘটবে সুপ্রিম কোর্টে যারা মানুষের কল্যনে কাজ করার চেষ্টা করবে। (বলে রাখা ভালো এই অধম সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছে !)
নিন্ম বা জেলা আদালতঃ নিন্ম আদালত ও প্রধানত কার্যকারনের দিক দিয়ে দুই প্রকার। এখানে বলা ভালো আমি ভাগ করছি বিষয়ের দিক দিয়ে।
আমরা যারা District Court এ গিয়েছি তারা এটা ভালজানি। নিন্ম আদালতে দুই প্রকারে মামলা নির্ধারিত হয় ১)দেওয়ানী মামলা(Civil Matter) ২) ফৌজদারি মামলা(Criminal Matter). দেওয়ানী মামলা যে আদালতে বিচার করা হয় সেই আদালতকে জজ কোর্ট বলা হয়(যেমন-১ম সহকারী জজ আদালত)। আবার ফৌজদারি আদালতয়ের দুই ভাগ আছে। ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা জজ।
১।
দেওয়ানী আদালতঃ দেওয়ানী আদালতে বিচার করা হয় যে বিষয়গুলো তা হল- জমি,টাকাপয়সা,সম্পত্তি,সম্মানের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন, কোন পদবি নিয়ে যে প্রশ্ন বা দাবি। এমনকি মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান,সাকো, রাস্তা, পারিবারিক বিষয় সম্পর্কিত বিষয় গুলোও দেওয়ানী আদালতে বিচার্য। দেওয়ানী আদালতের মধ্য সর্বোচ্চ ক্ষমতাময় আদালত হচ্ছে জেলা জজ। একই সাথে একটা জেলাতে আরও যারা থাকেন- যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, সিনিয়র সহকারী জেলা জজ, সহকারী জেলা জজ ইত্যাদি।
২।
ফৌজদারি আদালতঃ ফৌজদারি আদালত শরীরের সাথে সম্পর্কিত অপরাধ গুলো নিয়ে কাজ করে, অন্য ভাবে বলা যায় যেই আদালত কোন অপরাধের জন্য শাস্তি দিতে পারে তাকেই আমরা ফৌজদারি আদালত বলবো। ফৌজদারি আদলতের কাজই হচ্ছে অপরাধের বিচার করা। অপরাধ যে কোন প্রকারের হইতে পারে তার বিচার কিন্তু ফৌজদারি আদলত ই করবে। কিন্তু উক্ত আদালতের ও দুই তা ভাগ আছে। যেমন- ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও দায়রা আদালত।
ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবরা সর্বোচ্চ ৫ বছরের সাজা হবে এমন অপরাধের বিচার করতে পারেন। অন্য দিকে দায়রা আদালত ৫ বছরের উপরের শাস্তি হবে এমন অপরাধের বিচার করে থাকেন। জানা প্রয়োজন যে ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্য ১ম শ্রেণীর, ২য় শ্রেণীর ও ৩য় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। তেমনি দায়রা জজ আদালতের সাথে যুগ্ম দায়রা ও রয়েছেন।
আমাদের আরও কিছু আদালত রয়েছে- নারী ও শিশু নির্যাতন দমনের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে ও কিছু আদালত আছে যাদের আমরা স্পেশাল আদালত বলি, যেমন- দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল, অস্ত্র মামলার জন্য স্পেশাল আদালত ইত্যাদি।
কোন প্রশ্ন থাকলে প্রয়োজনে ইমেইল করুন এ।
জেনে রাখার জন্য ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।