আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আব্বু আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো...



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর আত্মহত্যা নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | তারিখ: ২৮-০৩-২০১ ‘আব্বু তোমার সাথে যেদিন থেকে আমি কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি, সেই দিনই আমি বুঝতে পেরেছি, আমি ভুল করেছি। আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। প্রতি রাতেই আমি তোমাকে স্বপ্নে দেখি। বারবার মনে হয়, আমার ভুল হয়েছে। তোমার সঙ্গে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করে।

আব্বু আব্বু বলে ডাকতে ইচ্ছে করে...। ’ গলায় ফাঁস নেওয়ার আগে এ রকম তিনটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নিশাত ফারহাত ওরফে টুম্পা। আজ সোমবার সকালে রাজশাহী নগরের হেতেম খাঁ এলাকার একটি ছাত্রীনিবাস থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর লিখে যাওয়া চিরকুট থেকে পুলিশ ধারণা করছে, তাঁর বাবার ওপরে অভিমান করেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন। নিশাতের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা জুয়াড়ি গ্রামে।

নিশাতের মা রাফিজা হক জানান, নিশাত প্রথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিল। এক বছর পর সে বিষয় পরিবর্তন করে চারুকলা বিভাগে ভর্তি হয়। এ নিয়ে তার বাবা বকাঝকা করে। এর পর থেকে অভিমান করে নিশাত তার বাবার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। পুলিশ ও ছাত্রীনিবাস সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষে নিশাতসহ দুজন মেয়ে থাকতেন।

শনিবার ওই মেয়েটি বাসায় চলে যান। এ দুই দিন নিশাত ওই কক্ষে একাই ছিলেন। কিন্তু আজ নিশাত কক্ষের বাইরে না এলে প্রথমে ওই ছাত্রীনিবাসের অন্য মেয়েরা দরজা ধাক্কাধাক্কি করে। পরে তারা মালিককে খবর দেয়। মালিক এসে জানালার কাচ ভেঙে দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাঁর লাশ ঝুলে আছে।

পরে থানায় খবর দেওয়া হয়। বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিশাতের বিছানা থেকে লাল কালি দিয়ে লেখা তিনটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে নিশাতের মা বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেছেন। Click This Link


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।