আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিন ঘণ্টা বঙ্গবন্ধুর জীবনী পাঠ : বুড়িচংয়ে প্রখর রোদে শিক্ষিকাসহ ৫০ ছাত্রী অজ্ঞান

জানতে ভালোবাসি,...তাই প্রশ্ন করি...

কুমিল্লার বুড়িচংয়ের একটি হাইস্কুলে অ্যাসেম্বলি চলাকালীন শাস্তির ভয় দেখিয়ে জোড় করে দাঁড় করিয়ে ৩ ঘণ্টা বঙ্গবন্ধুর জীবনী শোনানোর সময় প্রখর রোদে শিক্ষিকাসহ অর্ধশতাধিক ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মারাত্মক আহত ছাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাত্রীদের আর্তচিত্কারে অবস্থা বেগতিক দেখে বক্তা আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়াল টপকিয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার তাহেরা জুনাব আলী বালিকা বিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় উপজেলার বিদ্যালয় মাঠে অ্যাসেম্বলি চলাকালীন প্রখর রোদে বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল ওয়াহাব মাস্টার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রমিজ উদ্দিন মাস্টার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর ওপর বক্তৃতা করার সময় ১০ ছাত্রী অসুস্থ হয়।

তারা মাঠ ছেড়ে ক্লাসরুমে যাওয়ার কথা বললে শিক্ষকরা শাস্তির ভয় দেখিয়ে বক্তব্য শুনতে বাধ্য করে। পরে একে একে শিক্ষিকাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে মাঠে লুটে পড়েন। এ অবস্থা দেখে ওই আওয়ামী নেতারা স্কুলের পেছনের ওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায়। অন্যান্য ছাত্রীদের চিত্কারে স্কুলের আশপাশের লোকজন ছাত্রীদের উদ্ধার করতে এসে দেখে স্কুলের মূল ফটক তালাবদ্ধ। এলাকাবাসী এসে তালা ভেঙে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মনিপুর ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রুমি, জান্নাতুল কোবরা, ফাতেমা আক্তার, আফরোজা আক্তার, ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী তানজিনা আক্তার এবং শিক্ষিকা জেসমিন আক্তারসহ প্রায় ৩০ জনকে হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হয়। হাসাপাতালে সাংবাদিকদের তারা জানান, স্কুলে অ্যাসেম্বলি চলাকালীন শাস্তির ভয় দেখিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা বঙ্গবন্ধুর জীবনী তাদের শোনানোর সময় তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অভিভাবক আবদুল কুদ্দুস, আবদুল খালেক জানান, কোমলমতি মেয়েদের প্রখর রোদে দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য শুনতে বাধ্য করা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এ ব্যাপারে বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল ওহাব মাস্টারের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। মূল খবর এখানে:


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।