আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গান থেকে পাওয়া নদী।[মনু নদী, মৌলভীবাজার]

শেষ বারের মতো সতর্ক করছি...

গান থেকে পাওয়া এক নদী। তার নাম মনু। ফকির আলগিরের কন্ঠে এই গানটি শুনেই মনু নদীর প্রতি এক ধরনের আতংক তৈরি হয়। আগে গানটি দেখে নেই। নিচে ডালো লিংক দেয়া আছে।

" আল্লাহ মেঘ দে পানি দে কইব নাতো আর। এমন পানি দিলা তুমি ভাসল ঘরদোয়ার। সোনার ধানে ভরা ছিল ঐ যে সোনার মাঠ মনু নদীর পারে ছিল রাজনগরের হাট। বানে সবই কাইরা নিল গরু ছাগল ভাইসা গেল ডুইবা গেল শত শত সখীনার সংসার। কবর দিবার নাইরে মাটি গাঙ্গে ভাসে লাশ।

ভাইয়ে কান্দে বোনে কান্দে ,মায়ের দীর্ঘ শ্বাস বানে সবই কাইরা নিল, চাল চুলা ডুইবা গেল। রাইয়া গেল শত শত সখীনার চিৎকার। " মৌলভিবাজারের অন্যতম নদী মনু। এখন দেখলে তাকে চেনাই যায় না এটি একটি নদী। দুপাশে বালু চর।

এক পাশে মৌলভীবাজার শহর। আন্য পাশে বস্তি। এই শহরটা যেমন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে। নিজেদের নিরাপদ রাখতে নির্মানা করা হয়েছে বাঁধ। আছে বৃহত্তর আবয়বে স্লুইজ গেইট।

তারপরও শহরের বন্যা হবে এত সাহস পানির নেই। কিন্তু অন্য পাশের আবস্থা বিপরীত। বর্ষা মৌসুমে উপচে উঠে পানি। প্রচন্ড স্রোত। ঘোলাটে পানির কুন্ডলী।

এই নদীতে কখনো কাউকে মাছ ধরতে দেখিনি। প্রচন্ড স্রোতের মাঝে মাছ থাকে কিনা আমার জানা নেই। আর এই ফাল্গুনে বালীর ভেতর যে জলের রেখা দেখা যায় তাতে মাছ থাকা সম্ভাবনাই নাই। মৌলভীবাজার বাংলাদেশের সীমান্ত আঞ্চল। ভারতের এই নদী আঞ্চলে বন্যা হলে তার প্রভাব খুব দ্রুতই দেখা যায়।

গাছপালা,পশু এমনকি মাঝে মাঝে নাকি মানুষ পর্যন্ত ভেসে আসতে দেখা যায়। একটা বর্ষাতেই আমি এখানে ছিলাম, যদিও মানুষ ভেসে আসতে দেখিনি। কিন্তু সব সময়ই নদীতে কিছু ধ্বংসাবশেষ ভেসে যেতে দেখা যায়। ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে বাংলায় যে পরিমান তথ্য পাওয়া যায় তার বেশির ভাগই ভয়ানক। তীর ভাঙ্গার জন্য আস্থির মানুষের মান বন্ধন, বন্যার্তদের সমস্যা ইত্যাদি।

মনু নদীর যে কয়টা ছবি পেলাম তাও স্বত্ব আরোপ করা। আমার কাছে উঠানো কয়েকটা আছে কিন্তু ব্লগে দিতে পারছিনা। কোন ভাবেই আপলোড করা যাচ্ছে না। গাটি শুনতে চাইলে। ডাউনলোড করুন


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।