আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়ক ঘেঁষে ভারতের চা বাগান

এদেশ আমার

ঘেঁষে জিরোলাইনে চা বাগান করেছে ভারত। ২০০১ সালের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ভঙ্গ করে মাঝিপাড়া বিওপির অধীন মেইন পিলার নং ৪৩৬ ও ৪৩৭ বরাবরে নো ম্যান্স ল্যান্ড অতিক্রম করে ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে চা চারা রোপণের চেষ্টা করে। তখন বিডিআরের তীব্র বাধার মুখে ভারতীয়রা চা চারা রোপণ করতে পারেনি। পরে ২০০৪ সালের মার্চে বিএসএফ টহল জোরদার করে ফের চা চারা রোপণের চেষ্টা করলে তখনও বিডিআরের বাধায় ব্যর্থ হয়। ২০০৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়ক জিরোলাইনে ৫০ গজ জমি পতিত রেখে চা চারা রোপণ করে।

সমপ্রতি ভারতীয়রা মহাসড়কের জিরোলাইন ঘেেঁষ চা বাগান করায় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়কটির জিরোলাইন প্রায় দুই কিলোমিটারে বড়-ছোট গর্তের সৃষ্টি হলে সড়ক ও জনপথ তা মেরামত এবং মহাসড়কটির প্রশস্তকরণের কাজে বিএসএফ বাধা দিয়েছিল। এছাড়া রাস্তাটি সুরু থাকায় ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে। পরে রাস্তাটিতে সংস্কারের নামমাত্র কার্পেটিং কাজ করা হলেও প্রশস্তকরণের কাজ করা হয়নি। ফলে দুই কিলোমিটার রাস্তায় চলাচলে তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড়গামী সব ধরনের যানবাহনসহ দূরপাল্লার যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

এব্যাপারে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ ২৫ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হাসিবের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে স্থানীয় বর্ডার গার্ড সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সীমান্তের জিরোলাইনে চা বাগান স্থাপন ও রাস্তা নির্মাণ করা যাবে। কোনো ধরনের স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু চা বাগান একশ’ বছরের স্থাপনা হিসেবে এর আগে বাংলাদেশ বিডিআর চা বাগান স্থাপনে বাধা প্রদান করে আসছিল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।