আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

না জানার অহংকার

একজন সুখী মানুষ

ধর্মীয় ব্যক্তিরা কোন দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে 'পাপ' জাতীয় কিছু বলে বেড়ান। ভালই লাগে শুনতে দেখতে। কিন্তু নাস্তিক আছে তারা এগুলোর বিরুদ্ধাচরণ করে বেড়ান। এখানে অবশ্য আমার মত খুদে নাস্তিকেরাও যেমন আছে তেমন বাঘা বাঘা নাস্তিকেরাও আছে। এদের যুক্তি গুলো পড়তে ভালই লাগে।

শেষমেশ যা মনে হয় ধর্মীয় ব্যক্তিরা মাথা গরম করে আবেগের ভারে নূইয়ে পড়ে। ওদের জন্য দুঃখও লাগে। কেন তারা বিজ্ঞানের আবিষ্কার তৈরী জিনিস ব্যাবহার করে কিন্তু বিজ্ঞান বিশ্বাস করে না। এই জন্য তাদের দেখে আরো খারাপ লাগে যে ওদের মাথা কত মোটা। আর আমাদের নাস্তিকদের মাথা কত চিকন।

তবে এই চিকন মাথা নিয়ে নাস্তিকেরা তীক্ষ্ণ যুক্তি দিয়ে আস্তিকদের নাস্তা নাবুদ করেন। যখন এই নাস্তানাবুদ পর্বটা চলে তখন আস্তিকদের আরো বেশী হিমশিম খেয়ে উলটাপালটা কথা বলেন, শুনে ভালই লাগে। কেন ভাললাগে জানেন, এই সময় মানুষের মস্তিষ্ক এক্সপেরিমন্ট করা যায়, যে মানুষ প্রতিক্রিয়া সইতে না পেরে যে আচরণ করে সেটা। এই দেখুন না জাপানের সুনামির জন্য বিজ্ঞ ধর্মবিদরা কত সুন্দর কারণ বর্ণনা করেছেন। কেউ বলেছে জাপানের লোকজন বেশী পাপ করেছে।

কেউ বলছে পতিতার সংখ্যা বেশী ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ধরনের কথা গুলো শুনতেই ভাল লাগে, এতে কম রাগও হয় না। গা ঘিন ঘিন করে শুনলে এগুলো। কেন যে ওরা ভুগোল জানে না, মনে ওদের ধর্ম বই গুলোতে ভুগোল পড়তে মানা করেছে। তাই হবে।

তা না হলে সামান্য ভুমিকম্প সম্পর্কে এতটুকুও ওদের ধারণা নাই কেন? না না একটু মনে ভুল হলো। ঈশ্বর বা আল্লাহ ওদের এমন অবস্থা করেছে যে মানে ওদের কষে এমন থাপ্পর দিয়েছে যে স্কুল কলেজে ভূগোল পড়লে তা আর মনে করতে পারছে না। থাপ্পর দিয়েছে এই কারণে যে ভূগোলের ওই বিষয় গুলোতো ঈশ্বর আল্লাহর বিরুদ্ধ বা এতে তার ব্যবহার করলে ঈশ্বর আল্লাহ নিজেই সমস্যায় পরবেন। তখন কেউ ঈশ্বর বা আল্লাহর নাম নিবে না। তাই কায়দা করে সময় থাকতে তাদের থাপ্পর দিয়ে ব্রেন থেকে ভূগোলের জ্ঞান মুছে দিয়েছেন।

তাই ঈশ্বর তার নিজের ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু নাস্তিকদের তো কেউ নেই যে এমন করবে। তাদের আছে চিকন মাথা যা দিয়ে চিন্তা করে করে অনেক কিছু আবিষ্কার করে সঠিক কারণটি খুঁজে বেড় করে। আর যারা করে না তারা বিভিন্ন বই পড়ে। তাই ওদের বই আর যুক্তিচিন্তার মধ্যেই থাকতে হয়।

ওহ আরো একটা কথা ঈশ্বর বা আল্লাহ ওদের বেশী বেশী বইও পড়তে নিষেধ করে। যদিও বা পড়তে দেয়, তা জীবিকা নির্বাহ করার জন্য। বাকী (যুক্তি বিচারে) অন্ধ থাকতে বলে। যদি না থাকে তাহলে পাপ হয়, আর পাপ হলে তারা নাকি মরার পরে আগুনে পুড়বে মানে ঈশ্বর বা আল্লাহ ওদের পূড়বে। তাই ইহ জগৎ ওদের কাপূরুষ নামে খ্যাত।

কারন ওরা ভীতু। হ্যাঁ, আবার ভীতু হলেও কি হবে অহংকার করতে দ্বিধা করে না। কিসের অহংকার? না জানার অহংকার, কারণ ওরা কিছু জানে না বা ওদের জানতে হয় না। কারণ ওদের জানার কাজটা ঈশ্বর বা আল্লাহই করেন। তাই তাদের অহংকার।

যারা কষ্ট করে পড়েছেন, তাদের অনেক ধন্যবাদ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।